মেঘের ভিতর মেঘ থাকে, গলির ভিতর গলি। তেমনি প্রতিটি মানুষের ভিতর আরেকটি জগত থাকে। বাইরে থেকে সেই জগতের অস্তিত্ব খোঁজে পাওয়া যায় না। নিভূতে, গোপনে বেঁড়ে ওঠা সেই জগত কখনো কখনো প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের মতো তছনছ করে দেই সবকিছু।
অর্থ প্রার্চুযে ভরা , খ্যাতি ও ক্ষমতার উচ্চ শিকড়ে ওঠা মানুষটি সবার কাছে সমীহ অর্জন করে। সেই মানুষটির ভিতরকার জগতের লুকিয়ে থাকা কান্নায় ভেসে যায় জোস্না। রাতের গভীরতায় অতৃপ্তি নির্ঘুম করে দেই। প্রবল ব্যক্তিত্ব চুরমার হয়ে কান্নার নোনাজলে প্রকাশ পায় অসহায়ত্ব। দিনের আলোয় আবারও স্বরুপে ফিরে আসা মানুষটির ভিতরকার জগতটা থমথমে হয়ে থাকে। অপ্রকাশিত সেই কষ্ট যখন সুনামির মতো আগ্রাসী ও ধ্বংসাত্নক হয়ে ওঠে। তখনই বাইরের জগতটি এলোমেলো হয়ে যায়। তিল তিল করে গড়ে তোলা সাফল্য, অর্জন, পারিবারিক জীবন সবটায় অর্থহীন মনে হয়। এই মুহূর্তেই আত্মহত্যা প্রবল শক্তি নিয়ে মনের দরজায় করাঘাত করে। বেঁচে থাকা ও নিঃশেষ হয়ে যাওয়া মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায়।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে লুকিয়ে থাকা কষ্ট, প্রিয় মানুষের আঘাত, বিশ্বাসভঙ্গের যন্ত্রনা ও ঠকে যাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা মনের ভিতর গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে।বাহ্যিক হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত হয়ে মিশে থাকার অন্তরালে অপ্রকাশিত এই জগত বেঁচে থাকা কঠিন করে দেই। সমুদ্রের ভিতর তলিয়ে থাকা প্রকন্ড আইসবার্গের মতো গোমট বাঁধা এই জগত কে মোকাবেলা করতে হলে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।জীবন কে অর্থবহ ও প্রাঞ্জল করতে হলে নিজের সাথে এই যুদ্ধে জয়ী হতেই হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:০৩