পরমিতা তোমাকে বলছি.....!
তুমি কেনো নিরব হয়ে আছো?
না কি কোনো প্রিয় কবিতার প্রেমে গভীর আচ্ছন্ন ?
অথচ তোমাকে দেখার তীব্র তৃষ্ণায় যাযাবর জীবন ছেড়ে
হাজার মাইল দীর্ঘ মরু পথ অতিক্রম করে দাড়িয়েছি তোমার মাটির গড়া চৌকাটে।
তুমি নিরব কেনো?
না কি আমায় চিনতে পারছোনা?
আমিতো তোমার সেই সকালের কবি
যে প্রত্যেক প্রতুষ্যে একটি করে তোমাকে ভালোবাসার কবিতা শুনাতো
অথচ আজ আমাকে তুমি চিনছোনা
আমার মুখ জুড়ে জেগেছে রাবীন্দ্রিক দাড়ি
মাথায় বিদ্রোহী নজরুলের অগোছালো বাবরি কেশ
চোখে জীবাবান্দের বড় নির্জন প্রিয়তার ধূসর ছবি
সবচেয়ে বড় আশ্চয্য ক্যাম্পাসের সেই সুর্দশন পরিপাটি তরুন কবির
চোখের নিচে জমেছে ছোপ ছোপ কালো দাগ
জেনো কত সহস্র শতাব্দি নিদ্রাহীন
পোশাক পরিচ্ছদে তোমার কাছে নিত্যদিন আপাগো বলে হাত পাতা
ক্যাম্পাসের মতি পাগলের উজ্জল ছায়া
নিশ্চয় আমাকে তোমার না চেনারই কথা!!
তুমি কি এখনও মগ্ন হয়ে আছো তোমার হাতের কবিতার বইয়ের প্রতি?
অথচ দেখো আমি চেয়ে আছি তোমার চোখের তলদেশে
যে চোখে আমাদের প্রথম দৃষ্টি বিনিময় হয়েছিলো
যে দৃষ্টি বিনিময়ের সরল পথ ধরে রুপায়ন হয়েছিলো প্রেম
আহ! কি সরল আভার মায়াবী প্রতিচ্ছবি সেই চোখের গহীনে।
আমি কি ফিরে যাবো?
তবু তুমি নিরুত্তর
মনে হচ্ছে তুমি গভীর মনযোগে গান শুনছো হেমন্ত দার
গান শুনতে শুনতে এক হয়েছে দু’চোখের পাতা
তুমি কি শুনছোনা!
পরমিতা তোমার নিথর শিয়রে একগুচ্ছ গোলাপ রেখে
হেটে যাই আমার সেই চিরচেনা যাযাবর জীবনের অন্তহিন পথে
কারন আজ আর আমার ভালোবাসা ছাড়া তোমাকে দেবার কিছু নেই