বসন্তের রাঙা প্রভাত সোনারোধে
আমরা ক’জন পাড়ার উঠতি বালক বালিকা
কলিম কাকার কুড়ে ঘরের পিছনে কুড়াই কৃষ্ণচূড়া
হঠাৎ পরমিতা দুহাত বাড়িয়ে আমার হাতে গুজে দেয়
একমুঠো কৃষ্ণচূড়া
সঙ্গে ভাঁজ করা পত্র
অধিকারের সুরে বলে বাড়িত গিয়ে পড়িস......।
সেদিন ফুল আর চিঠি সযতেœ রেখে দিয়েছিলাম মালাট বাধা বইয়ের ভীতর
বেমালুম ভুলেছিলাম পত্র আর তার কথা
তার পর অনেকদিন..........
অনেক মাস... বছর......
আজ অনেকদিন পর আবার তার সঙ্গে দেখা
আমাকে দেখে বাতাসে এক আকাশ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো-
আমার চিঠিঠি পড়িসনি তাইনা!!!
তখন তার কপালে জমেছে বিন্দু বিন্দু ঘাম
মায়াময় চোখের ভীতর জলের অগ্রিম আনাগোনা!
নিবোর্ধ আমি নিরুত্তর
নিস্পলক দাড়িয়ে থাকি বটবৃক্ষের মতো
বুকের ভীতর শুনতে পাই পাথর ভাঙ্গার অস্ফুট শব্দ
আর জল চোখে চেয়ে থাকি
সংসারি পরমিতার কুসুমিত কোমল মুখে ।