আসলে ব্লগ লিখতে ভয় পায় না, লজ্জা লাগে । পাছে কোন সত্যি বলে ফেলি । মনে তো অনেক রাগ জমে থাকে । কিন্তু প্রকাশ করতে মানা । কিন্তু দুটো ভিন্ন প্রশ্ন বেশ কয়েক দিন মাথা খারাপ করে ফেলছে ।
বেশ কয়েক দিন থেকে অনার্স পরীক্ষা চলছে । কিন্তু নিয়ম হচ্ছে পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন বই বা নোট, ফোন নিয়ে যাওয়া যাবে না, কারন তাতে “অসৎ উপায়” প্রয়োগ হতে পারে, আগে তো নিতে দিতো, কিন্তু রুমে ঢুকে তা একটা নির্দৃষ্ট স্থানে রেখে দিতো । এখন মেইন গেটে পুলিশ বসিয়ে সবগুলো রেখে দেয়া হয় । মজার ব্যাপার কি, এতেও নকলবাজ দের নকল করা কমে না । আগে চিরকুট লিখে নিয়ে যেত, এখন আস্ত বই নিয়ে যায় । আচ্ছা পুলিশ দিয়ে বা ফোন কেড়ে নিয়ে কি নকল কমানো যায় ।
কয়েক দিন আগে বি. সি. এস পরীক্ষা দিলাম, তখন ফোন গুলো বাইরে একটা মাদুরের উপর রেখে কেন্দ্রে ঢুকলাম । আমার ঘড়িটাও চেক করে দেখলো, যে এটা কোন ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা আছে কিনা । অনেকেই দুর-দুরান্ত থেকে এসেছে যাদের পরিচিত কেউই হয়তো কেউই কাছে নেই, তাহলে তারা যোগাযোগ করবে কিভাবে ? আমার তো মনে হয় কয়েক দিন পরে “মেটাল ডিটেক্টর” এর মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে হবে ।
আর একটা প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের যা পরিস্থিতি তাতে আমি আমার বোন, স্ত্রী বা পরিবারের বাকি নারী সদস্যদের ন্যূনতম নিরাপত্তার জন্য কি করবো ? তারা ফোন নিতে পারবে না ? রাস্তায় কোন পরিস্থিতিতে আছে, আবার কোন শাহবাগ ঘটনার স্বীকার হচ্ছে কি না ? আমি কি করে জানবো ? তখন তো নিজেকে বাংলা সিনেমার পুলিশ মনে হবে, ঘটনা শেষে ঘটনা স্থলে হজির ।
শিক্ষা ব্যবস্থা এমন কেন নয়, যে শিক্ষার্থী মন থেকে বুঝবে, নকল করা অন্যায় । আমাদের মানসিকতা কেন বদলায় না ? কেন প্রাইমারি ক্লাসের একজন ছাত্রী..... নির্যাতনের স্বীকার হয় ? এসব দেখে আমার পরিবারের এক সদস্য আমার কাছে একটা আগ্নেয়াস্ত্র চেয়েছে । এখন আমি তো তাকে সারাদিন কোলে নিয়ে স্কুল বা কলেজে বসে থাকতে পারবো না । আমি কি তাকে একটা বন্দুক কিনে দিতে পারি ? সে যদি ঘটনাস্থলে দুইটা খুনও করে তাতেও সমস্যা নেই, কারন এখানে খুনিদের বিচার হয় না । আর আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে কাওকে খুন করলে সেটা কি খুন বলে বিবেচিত হবে, নাকি আইন হতে তুলে নেয়ার চেয়ে নিজের শেষ সম্বল মান-ইজ্জত রাস্তায় বিলিয়ে দিয়ে আসবে ?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ২:২৯