somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাওয়াই মিঠাই শখগুলো

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




তোমার শখ কি?

এ প্রশ্নটা খুব অহরহ করা হলেও যাকে করা হয় সে ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা কোন শখের কথাটা বলবে। অনেক সময় নিজেই খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায় নিজের শখ। আবার বেশিরভাগ সময়েই শখ গুলো খুব ক্ষণস্হায়ী হয়, তাই সেগুলো চলে গেলে আবেদন কমে আসে।

একবার খুব সখ হলো বাগান করার, বাসায় পাওয়া বিচিত্রার সব কাটিং যোগাড় করে অনেক খানি জমানো হলো। বাগানের কাজে হাত দেয়ার আগেই নিজেকে বেশ বিখ্যাত গোছের কিছু মনে হতে লাগলো। একদিন স্কুল থেকে ফিরেই বলা নেই কওয়া নেই সামনে বেশ খানিকটা শুকনো খটখটে জায়গা ছোট্ট কোদাল দিয়ে কোপাকুপি শুরু করে দিলাম। কি বুনবো ভাবছি আর এ ঘর সে ঘর করতে করতে এক ঠোন্গা সরিষা পেলাম। সেগুলোই হলো আমার প্রথম চাষাবাদ।:|

স্ট্যাম্প জমানোর জন্য জান প্রাণ দিয়ে দিলাম একবার। যাকেই পাই পারলে প্রথমেই বলি, আপনার কাছে স্ট্যাম্প আছে? ভাই আপুকে বলি খামের ভিতরে করে যেন পাঠায়। বিশেষ কৌশলে পানিতে চুবিয়ে খাম থেকে ওগুলো ছাড়ানো শিখলাম। শেখা হয়নি কেবল কিভাবে স্ট্যাম্প বদলা বদলি করতে হয়। আমার মাথায় তখন এতটুকু বিদ্যা হয়নি যে দুইটা করে একই স্ট্যাম্প থাকলেই কেবল বদলানো যায়। আমার এক চালাক বন্ধু এই সুযোগে আমার অনেক গুলো ওয়ান এন্ড অনলি পিস স্ট্যাম্প হাপিস করে দিলো। X(

ঘুড়ি জমানোর ইচ্ছা জাগলো একবার। তাও আবার কেটে উড়ে আসা গুলো। কাজটা অতোটা সোজা না। কারণ যারা উড়ায় তারা ঘুড়ি কেটে যাওয়ার সাথে সাথে সেটাকে ওয়াচে রাখে, আর প্রায় সবাই গাছে ওঠার ও ওস্তাদ। আমি ছাদে বসে ঘুড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতাম আর আশা করতাম কখন একটা দুটো গোত্তা খেয়ে ছাদেই পড়বে। অবশ্য এমন ভাবেই অনেকগুলো জমিয়েও ফেললাম। তবে ছাদে বৈকালিক বাতাস খাওয়ার নাম করে যে ছেলে ঘুড়ি ওড়ানোর মতো ভয়ন্কর কাজে লিপ্ত এ খবর আমার আম্মাজান জানার পরে সেগুলো আমাকে রপ্তানী করতে হয়েছিলো। :|

স্টীকার নেশায় পেয়ে বসলো একবার। স্কুলের সামনের মজার খাবার বাদ দিয়ে নিত্য নতুন চকমকে ঝকঝকে স্টীকার কেনা শুরু হলো। ঐ কেনা পর্যন্তই অবশ্য কারণ বাসায় কোথাও লাগাতে গেলে নিজের নিরাপত্তার বিষয়টাও চলে আসে। পোলাপাইনের চাহিদা বুঝে স্কুলের হুজুর স্যার বইয়ের দোকান স্টীকারে বোঝাই করে ফেললো। দুদিনেই আমার কাছে স্টীকার গোডাউন হয়ে গেলো। বন্ধুরা কাছে পিঠে ঘোরে, বদলাতে চায়। ততদিনে অবশ্য স্ট্যাম্পে ধরা খেয়ে বদলা বদলি করার নিয়ম শিখে গেছি।:P

স্কাউটিং করার ইচ্ছা জাগলো মনে। কি সুন্দর পোশাক, রুমালে পিন লাগানো থাকে, একটা ভাবই আলাদা। স্কুলে একজন ভদ্রলোক এলেন। তিনি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেবেন। বেচারা পুরো জোকার, দেখলেই হাসি পায়। একটু পর পর বলছিলো, 'তোমাদের বুজতে অবে, স্কাউট সম্পূর্ণ আলেদা'। স্কাউটের প্রতিষ্টাতার ইয়া বড় নাম মুখস্হ করতে দিলো আর সারা বিকাল লেফট রাইট। দুই বিকালেই যাবতীয় ভাব বাস্পীভূত। :D

ছবি কৃতজ্ঞতা


সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৫
২৩টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×