সকল সমালোচনা , সন্দেহ , টিকেট না পাবার আশংকা , আত্মীয় স্বজন এর ভ্রুকুটি , সবকিছু উপেক্ষা করে চললাম অনন্ত জলিল সাহেবের নিঃস্বার্থ ভালবাসা মুভি দেখতে । তা ও আবার মুভি রিলিজের প্রথম দিনের প্রথম শো । মাঝে মধ্যে হলে গিয়ে বাংলা মুভি দেখার পাগলামি থাকলে ও এমনটা করিনি কখনো । যাই হোক মুভিটা বেশ উপভোগ্য ছিল সবকিছু মিলিয়ে । মুভির পর্যালোচনা করতে গিয়ে বলবো ম্যাড়ম্যাড়ে প্রথমার্ধে কিছু মজার আইটেম সং আর ধুন্ধুমার অ্যাকশন ছাড়া তেমন কিছু ছিলনা । আর বর্ষার অভিনয় ছিল ন্যাকামি মার্কা । কিন্তু জলিল সাহেব আশ্চর্যজনক ভাবে আশাতীত ভালো অভিনয় করছিলেন । আগের সব মুভিতে টাকে নিয়ে যারা হাসাহাসি করতেন তাদের মুখে চুন কালি দিয়ে অনেক ভালো অভিনয় করেছেন তিনি । ভালো উন্নতি বলতে হবে । উচ্চারণ গত জটিলতার অবসান হয়েছে মোটামুটি । এখন এক্সপ্রেশন আর নাচ টা আরও ভালো করলে তিনি ই হতে পারেন পরিপূর্ণ একজন সুপার স্টার । মজা করে নয় , সত্যি বলছি সামনের মুভিতেই তিনি পরিপূর্ণ রুপেই বাংলার রজনীকান্ত হবেন । ফিরে আসি আসল কাহিনিতে - বিরতির পরে বদলে গেল দৃশ্যপট । দারুন সব গানের সাথে কাহিনীতে টুইস্ট । মুভিটা গতি ফিরে পেল । আর অনেক কমেডি সিকোয়েন্স তো পুরো মুভিতেই ছিল । সে যাই হোক নাচে গানে ভরপুর , ধুন্ধুমার অ্যাকশন দৃশ্যে ভরা জমজমাট আয়োজনের মুভি । দর্শক মজা নিয়েই বাড়ি ফিরবে । সমালোচকের দৃষ্টিতে নয় , নিখাদ মজা নেবার উদ্দেশ্যে হলে যান । সময়টা হাসি তামাশায় কাটবে । আরও ভালো করার সুযোগ ছিল কিন্তু বর্ষার কাঁচা অভিনয় সেই সুযোগ নষ্ট করেছে । যদিও দ্বিতীয়ার্ধে বর্ষা অভিনয়ে আগের চেয়ে কিছুটা ভালো করেছেন । আর পরিচালক হিসেবে A . J ( অনন্ত জলিল ) চেষ্টা করেছেন । প্রথম পরিচালনা বলে ভুল মাফ করা যায় । কিন্তু কিছু সিকয়েন্স চেঞ্জ একটু স্লো করে সেখানে সিনের পটভূমি টা একটু পাল্টে দিলে সেই টিপিক্যাল বাংলা মুভির দোষ থেকে মুক্ত হতে পারতেন । তবু জলিল সাহেবের আয়োজন বেশ ভালই ছিল বলতে হবে । গানের থ্রি ডি রুপে চিত্রায়ন , ২৩ তলা থেকে জাম্প , ভালো কিছু গানের সমাহার , ব্যায় বহুল কিছু চিত্রায়ন , ভালো কিছু অ্যাকশন - অনেক নতুন চমক আছে বলতে হবে । অনন্ত জলিলের এই মুভির জন্য রইল শুভকামনা ।
দেখে এলাম ঈদ এর মুভি " নিঃস্বার্থ ভালবাসা" ; কিছু পর্যালোচনা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন
যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।
আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন