somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয় হারাবার দিনগুলোতে নজরুল :: আরও কিছু কথা!!!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই মাত্র আমার ভগ্নিপতি আমাকে জানে মারার হুমকি দিয়েছেন। আমার বউ নামের কলঙ্ক আমাকে ফোন দিয়ে মাঝে মাঝে হত্যার হুমকি দেয়। হায়রে কপাল!!! যিনি মৃত্যুকে জয় করে ঊর্ধে চলে যায়, মৃত্যুকে যিনি নিত্যদিন নিজের পরম বন্ধু ভেবে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যায় জীবনে মানুষের মতো বেঁচে থাকার অধীকার যে শুধু তাঁরই আছে। নজরুলের একটি বাণী খুব করে মনে পড়ছে, “মৃত্যু ভয় মেরেছে তোদের, মৃত্যু তোদের মারেনি ভাই।।
তাই মরে সব ভুত হলি তোরা আলোকের দূত হলিনে তাই।।”
দেখ বন্ধু আমি অনেক দিন থেকে নজরুলের এই চেতনাকে নিজের মনের মধ্যে নিয়ে জীবনকে দেখেছি। আজও আমার চোখ সূর্যের মতো। যার তেজে মানুষ শীতের মধ্যে খানিকটা রোদ পায়। আবার দেখো আবার ঐ সূর্য দাবানল হয় আট্রেলিয়ার মতো একটি ঠান্ডা কান্ট্রির বন জঙ্গলকে জ্বালিয়ে পুরিয়ে ছাড়খাড় করে দিতে পারে। আবার ঐ সূর্য রবিন্দ্রনাথের মতো ঠান্ডা শচীন টেন্ডুলকারের মতো রূপ নিয়ে তোমাকে শোনাতে পারে, “আমারো পরানো যাহা চায়, তুমি তাই, তুমি তাই গো.............আমি তোমার বিরহে রহিবো বিলীন, তোমাতে করিবো বাস, দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরস মাস....”। তোমার হৃদয় মাঝারে এই মহামানবদের শক্তির সূর্যকে সত্যজ্ঞানে শ্রদ্ধা ও সন্মান দেয়ার মাধ্যমে সত্যের জন্ম দিতে পারে। এ যে অনুভুতির ঊর্ধে আর এক অনুভুতি। এই অনুভুতির ছোয়া যারা পায় নি তারা কি করে বুঝবে ফিলিংস কাকে বলে। তোমরা যে তোমাদের আত্মাকে নিয়মিতো ফিলিংস নামের মিথ্যে জঞ্জালে কলঙ্কিত করে রেখেছো। আমি টাকা চাইলে তোমরা আমাকে ভুল বুঝবে আমি তা জানি বন্ধু। তারপরও চাচ্ছি। কেনো জানো আমি যে সমাজের সামাজিক মানুষ গুলোর মধ্যে বাস করি তাদের কাছে যেনো আমাকে ছোট না হতে হয়। কিন্তু কোনো ভক্তের কাছে লেখক যে কখনও ছোটো হয় না। তোমাদের মধ্য থেকে যদি কেউ আমাকে আজ আর্থীক সাহায্য বা ঋণ দিতে তাহলে আমার আমি আরও টেনশন মুক্ত হয়ে লিখতে পারতাম। তারপরও বলছি একজন সত্যিকারের যুগ স্রোষ্টা যে টেনশনকে চিরদিনের জন্য পেনশনে পাঠিয়ে তারপর তোমাদের মাঝে আবির্ভুত হও। যে লেখায় তুমি তোমার মন্তব্যের ভাষা হারিয়ে ফেলবে সেটাই যে প্রকৃত সত্য বন্ধু!!! এমন এক কঠিন পরিস্থিতিতে আমার প্রাণের প্রিয় গুরু নজরুল লিখেছিলেনঃ
বন্ধু গো বড় বিষ জ্বালা এই বুকে,
তাই দেখিয়া, শুনিয়া, ক্ষেপিয়া, গিয়াছি যাহা আসে বলি মুখে।।
আমাদের মহানবী (সঃ) এর জীবন থেকে শিখতে পাবে “মহানবীর শিক্ষা, করোনা ভিক্ষা, মেহনত করে খাও সবে”। আমি কি মেহনত করে আমার ভক্তদের মাঝে সত্যের প্রকাশ ঘটাতে চাচ্ছি কি না বলো? বন্ধু, তোমরা আমাকে ভুল বোঝ না। আমি যে ফুলের মতো তোমাদের মাঝে নিত্যদিন ফুঁটে নিজেকে ঝড়িয়ে দেই। আমার প্রাণের আদর্শ নজরুল তার বন্ধু মোতাহার হোসেন চৌধুরী যাকে তিনি মতিহার বলে সম্বোধন করতেন; কাজী মোতাহার হোসেন নজরুলের লেখা এক চিঠিতে বলেছিলেন,
“বন্ধু! আমি যেদিন চলে যাবো হয়তো কতো সভা, সেমিনার হবে আমার নামে। ত্যাগী, নেতা, বীর বলে সম্বোধন করবে। বক্তার পর বক্তা টেবিল ভেঙে ফেলবে থাপ্পর মেরে, সেই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের বন্ধু তুমি যেনো যেও না, যদি পারো চুপটি করে আমার জীবনের অজানা কোনো অধ্যায়ের কথা স্মরণ করে পথে ঝড়া কোনো ফুল পেলে তাকে আলিঙ্গন করে বলো, আমি তোমায় পেয়েছি বন্ধু”।
নজরুলের প্রকৃত আদর্শে আদর্শিত মানুষ কখনও যে মিথ্যে বলতে পারে না। নজরুলকে বুকে নিতে পারার শক্তি যার আছে তার যে মিথ্যে বলার ক্ষমতা হারিয়ে যায়। সে যে মহাকালের চীর ক্ষমতায় ঊর্ধের আর এক মানুষ হয়ে সবার মাঝে বিচরণ করে। আমি টাকা চেয়েছি বলে তোমরা আমাকে এতোখানী ভুল বুঝলে। আমি যে তোমাদের মতো না কিন্তু ভক্তের হৃদয়ে যে আমাদের স্থান। শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারীর একটি বানী আছে, “তোরা আমার চরন ধরিস না, আচরন ধর”। আবার তিনিই বলেছেন, “যত গুপ্ত ততো পোক্ত”। মহামানবরা যে সত্যকথা বলেন। যারা সারাজীবন তাদের মাজার, কবর বা মাটির মূর্তি দেখে অভ্যস্থ তারা কিকরে তাদের এই মহামূল্যবান কথাগুলো হৃদয়ে ধারন করবে বলো? মহামানবদের হৃদয়ে জাগ্রত করার জন্য বিশাল বড় হৃদয় লাগে। “সদর উদ্দীন আহমেদ চিশতী” তাকে আমি আমার জীবনে সামনা সামনি একবার দেখেছি। তখন তার উপর ভক্তি আসে নি বলে তাকে মন দিয়ে সেজদা করিনি। এতো আমার ব্যার্থতা গুরুর ব্যার্থতা নয়। একজন মহামানব তো মানুষের রাখাল। মেষ ভেরা তো রাখালের কথা শুনতে চায় না তাই বলে কি রাখালের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। একজন আদর্শিক রাখাল কখনও পশুদের ভুল পথে যেতে চায় না। তা তোমরা যদি যিষু খৃষ্টের বলা “রাখাল ও একটি দুষ্ট মেষ” নামক রূপক গল্পটি হৃয়য়ে প্রতিষ্ঠিত করতে পারো তাহলে বুঝবে। আমাকে তোমরা যা ইচ্ছে তাই মনে করো কিন্তু ভুল বোঝ না। ভুল বলে প্রচার করো না। আরে ভুল যে সত্যের চীর শত্রু। আমাকে অভিষাপ দেবার ক্ষমতা তোমাদের দেয়া হয় নি। কেস, মামলা, সাধারণ ডায়রী তোমাদের মানায় আমাকে না। তোমাদের মধ্য থেকে যদি কেউ আমার ভগ্নিপতিকে বুঝিয়ে দিতে পারো সত্যের শক্তি কতোখানী তাহলে তার ভুল এমনিতেই ভেঙ্গে যাবে। আমার আর ভাঙ্গাতে হবে না। আমি তো একজনের ভুলের কাছে জিম্মি নই। ভুলকে সংশোধনে রুপান্তর করার জন্যই হযরত মোহাম্মদ (সঃ), মাওলা আলী (রাঃ), হাসান (রাঃ), হোসাইন (রাঃ), শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু, গৌতম বুদ্ধ, বাবা লোকনাথ, লালন ফকির, শ্রী রাম কৃষ্ণ পরমহংসদেব, নজরুলদের প্রমুখ গুরুদের আবির্ভাব হয়। তাদের স্থান যে ধর্মের ঊর্দ্ধে। অধর্মকে তাড়িয়ে তারাই যে সত্যের রূপকার হয়ে নিত্যদিন ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করছে। তুমি যদি প্রকৃত মানুষ হও তাহলে তুমি তার বাণী তোমার হৃদয় দিয়েই অনুভব করতে পারবে। শুধু ব্লগের একটি লেখা ভেবে আমায় ভুল বোঝ না। একদিন সন্ধ্যায় বাবা লোকনাথের আশ্রমে গিয়ে নজরুলের একটি বিখ্যাত গান “কি দিয়ে পূজিব ভগবান, তোমারে আমি” এই গানটি জৈনক শিল্পী গেয়ে ছিলেন। সেই গানের লিরিক থেকে তাওহীদ কথাটিকে বাদ দিয়ে অন্য একটি শব্দ বসিয়ে গাওয়া হচ্ছে। আরে বন্ধু তাওহীদ অর্থ একাত্ববাদ এটি শুধু যে মোসলমানের শব্দ কেনো ভাবছো এই তাওহীদের বানী সব ধর্মেরই মর্মকথা। যাই হোক আমার লাঞ্চ টাইম হয়ে যাচ্ছে আসল বিষয় বিকেলে লেখার চেষ্টা করবো। টাকার সংস্থান হল খানিকটা টেনশন মুক্ত থাকতাম। তোমরা তোমাদের জেগে ওঠাকে আরও বেগবান করে যাও আমি তোমাদের সংগে আছি। দুনিয়ার কোনো আদালতে একজন প্রকৃত মোমিন কে সাজা দিতে পারে না। একজন বঞ্চিত মানুষের রক্ত যে বিবেককে তাড়িয়ে বেড়ায়। নজরুলের চেতনাই একজন প্রকৃত বাঙালীর চেতনা হয়ে উঠতে পারে। আজ মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যাদের বিজয় সারাজীবনই হয় তাদের হৃদয় দিয়ে একদিন বিজয় দিবস নামক অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তার শক্তি যে অসীম।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×