somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পরে (পর্ব-২)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুন! আমি তোমার প্রেমকে শ্রদ্ধা করি। আমি তোমাকে শ্রদ্ধা করি। আমাদের প্রেমের মধ্য শ্রদ্ধা, ভক্তি ও সম্মান মিশে আছে।

আমি তোমার সব স্বপ্নকে পূরণ করার জন্যই তোমাকে তোমার ইচ্ছে মতো আফটার ওয়েডিং কি হবে তা বলতে থাকতাম। তুমি আনন্দভরে সেই কথা শুনতে চাইতে। আমিও বলে যেতাম। কি লাভ হলো জান? আজও আমাকে ঐ একই কথা বলতে হচ্ছে। এখন আমাদের রোমান্স করার পালা। আর সেই সময়ে এসে তোমাকে পুরোনো দিনের কথা শুনাতে হচ্ছে।

প্রকৃতি এমন একটি নাটক সাজালো যেখানে মনে হচ্ছে, তুমি বুঝি সিনেমায় সিনেমার নাইকাদের মতো পিছনের সব স্মৃতি হারিয়ে বসে আছো। মুন! পিছনের স্মৃতি হারিয়ে গেলে ভালো কিন্ত পিছনের স্মৃতি যখন সামনে এসে দাঁড়ায় তখন টাসকি খাওয়া অবাক হওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকে না। আসলে কি করার থাকে না? অবশ্যই করার আছে। ভেষে চলো সেই প্রেম নিয়ে। কেউ তোমাকে পাত্তা না দিক তাতে অসুবিধা নাই। তোমার প্রেমের ভেলায় তুমি ভেষে যাও। আমি তোমার প্রেমের ভেলার নিচে বয়ে চলা জলের মতো পরম মমতায় তোমাদের ভাষিয়ে নিয়ে যাই। সেই স্রোতে অন্যকেউ না ভাষলেও কোনো অসুবিধা নাই। আমাদের স্বপ্ন আজও আমাদেরই আছে। এই বাজে সমাজ আমাদের নানা রকম কষ্ট দিয়েছে ঠিকই কিন্তু তাই বলে আমাদের স্বপ্নের সাথে যুদ্ধ করে জিততে পারে নি। আমাদের স্বপ্ন আমাদেরই আছে। কে নেবে তাকে? কাকে সেই অধীকার দেওয়া হয়েছে যে, দু’জনের স্বপ্নকে কেড়ে নেবে?

মুন! যখন আমাদের বিয়ে হবে। আমরা দুজন দুজনের জীবনের সব স্মৃতিকে নিজেদের মধ্যে শেয়ার করবো। জীবনের ভালো খারাপ সব অভজ্ঞতা নিজেদের মধ্য বলে দেবো। তাতে কেউ কারও সামনে কোনো প্রকার ভনিতা করবো না। তোমার জীবনের যত সুন্দর সুন্দর জায়গায় সাথে তোমার স্মৃতি গেঁথে আছে। আমি তোমার সেই সব স্মৃতিঘেরা প্লেসে তোমাকে নিয় ঘুরে বেড়াবো। তোমার শৈশব-কৌশরীও যৌবনের স্মৃতি মধুর সব স্থানে তুমি আমকে নিয়ে যাবে। আমি দু’চোখ ভরে তোমার একান্ত জায়গাগুলো দেখবো আর তোমার মিষ্টি মধুর বর্ননা শুনবো। আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি। তাই তোমার কোনো পছন্দকে আমার না করার কোনো প্রশ্নই আসে না। তোমার স্মৃতি তোমার কাছে যতখানী দামি তার থেকে আমার কাছে আরও বেশি দামি। প্রকৃতি তোমাকে যা যা আনন্দ দিয়েছে আমি সেই আনন্দময়ীর সাথে পরিচিত হতে চাই। সারাজীবনেও এই দেখার শেষ নেই।

তোমার মাথা সব জায়গায় উচু হয়ে থাকবে। আত্মিয়-স্বজন মহলে তোমাকে নিয়ে বেড়াতে যাবো। সেই হারিয়ে যাওয়া কোনো আত্মিয়ের বাড়ীতে হঠাৎ করে হাজির হবো। তাদের আপ্যায়ন গ্রহন করবো। সেই সব বাড়ীতেও আমাদের বাসর হবে। আমাদের থাকার জন্য তারা তাদের শোবার ঘর ছেড়ে দেবে। সেখানে দুজন একসাথে থেকে মিলন ঘটাবো। আমাদের মিলনে আকাশ, পাতাল, সমাজ, বিজ্ঞান, পরিবেশ, প্রকৃতি সব নেচে উঠবে। আমাদের সুখ দেখে অন্যরা ঈর্ষা করবে। আমরা তাঁদের তা বুঝতে দেবো না।

মুন! কারও বাড়ীতে বেড়াতে গেলে কতটা ধনি হতে হয়? নাকি আন্তরিকতা থাকলেই সবার মন জয় করা যায়? আবশ্যই আন্তরিকতা ও সাহোস দিয়ে মানুষ সব পরিবেশকে জয় করে নিতে পারে। তোমার সব সুখস্মৃতি আমার আপনের থেকেও আপন হয়ে যাবে। আজ তুমি আমি পাশে থাকলে, আজই বেড়াতে যেতাম। আজই তোমার সুখময় স্থানগুলো দেখতে বেড় হয়ে যেতাম। তোমার সাথে ঘুরতে যেতাম। তুমি আমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যেতে। সবার সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিতে। দেখতে বাকি কাজটুকু আমিই করে নিতাম।

আমাদের ছোট্ট সংসারে কোনোদিন কোনো ঝগড়া আসবে না। ঝগড়া আসার যত পথ আছে আমরা তা আগেই জেনে গিয়াছি। সমাজের যতো অপকৌশল আছে আমরা সেখান থেকে বহু দুরে থাকার চেষ্টা করতাম। তারপরও কোনো সামাজিক লিকেজ আমাদের সামনে চলে এলে আমরা তাকে লাথি দিয়ে তাড়িয়ে দিতাম। যে কোনো প্রকার কুট কৌশল আমাদের প্রেমের মধ্যে ঢুকতে পারবে না। আমরা সেই কুট কৌশলকে ছারপোকার মতো মেরে ফেলবো। যেখানে গভীর প্রেম থাকে সেখানে কখনও সাহোসের অভাব হয় না। আমি তোমাকে সেই সাহোস দিয়ে দিলাম। তুমি শুধু আমার নাম টি তোমার অন্তরে রেখে দাও। যদি কখনও তোমার মিষ্টি ঠোটে আমার নাম উচ্চারিত হতে চায়। তুমি তাকে না বলো না। জোড়ে জোড়ে আমার নাম বলে দিও। নিজের কাছ থেকে নিজেকে কখনও লুকাতে হয় না। নিজের কাছ থেকে নিজেকে লুকানো হলো পৃথিবীর সব থেকে বড় দুর্বলতা। আর দুর্বল জায়গায় আর যাই থাকুক না কেনো, দুর্বল জায়গায় প্রেম থাকতে পারে না। প্রেম থাকে মানুষের অন্তরের সবল স্থানে। আমরা সারা জীবন আমাদের অন্তরের সবল স্থানের সাথে বেঈমানী করতে চাই বলেই এতো এতো বিপদ ও খারাপ লাগা এসে জীবনকে মরুময় করে তোলে।

প্রেম কি কখনও হারিয়ে যায়? তাহলে প্রেমিক প্রেমিকাকে তোমরা কোথায় হারাতে বলবে? আবার প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রী, বর-কনে, মিস্টার-মিসেস, ব্রাইড-ব্রাইডগুডুম কোথায় হারাবে বলো? আমরা তো সেই বিয়ের মধ্য থেকে প্রেম পাই নি। আমরা প্রেমের মধ্য থেকে নিজেদের জামাই-বউ হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। তাহলে আমাদের জীবনে দুঃখ-কষ্ট-জ্বালা-যন্ত্রনা আসবে কোথা থেকে? এই ছোট্ট জীবনে কি আমরা কি শুধু হতাশ হবার জন্যই এসেছি? আমরা কেনো হতাশাকে তাড়িয়ে দিয়ে সুন্দরের পথে আমাদের অনন্ত আনন্দ যাত্রাকে নিয়ে যাবো না? আমরা সারাজীবনের জন্য নিজেদের আপন করে নিয়েছি। এই কথা তো আর বাচ্চাদের পুতুল খেলা না যে, বাচ্চা বড় হলো আর পুতুল ঘরের-কোন্ থেকে কোনো এক ফাঁকে হারিয়ে গেছে। প্রেম সব থেকে বড় বিষয়। প্রেমের থেকে কোনো বড় বিষয় কোনোদিন ছিলো না। আর প্রেমের থেকে বড় বিষয় কোনোদিনও আসবে না। প্রেমের মধ্যেই মানুষ বেঁচে থাকে। আমি তোমার প্রেমকে নিজের কাছে রেখে ও নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে বাঁচতে চেয়েছি- এটা কি আমার অপরাধ? এই অপরাধ যতবড় অপরাধই হোক না কেনো আমি সেই অপরাধকে নিজের করে নিলাম।

মুন! তুমি আমি সারাদিন ও সারারাত একসাথে থাকবো এর থেকে আনন্দের বিষয় আর কি হতে পারে? অনেক দিনের অনেক আশা ভালোবাসা সব কিছু সেখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। দুজনের মধ্যে কোনো বাধা থাকবে না। আমি তোমার হাসি ভরা মুখখানি দেখার অধিকার পাবো। এর থেকে বড় অধিকার আর কি থাকতে পারে? তোমার মুখ মলিন দেখলে আমি তোমাকে হাসতে বলবো। তুমি হাসি হাসি মুখে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকবে। আমার সমস্ত আত্মা জেগে জেগে শুধু তোমার রূপের জয়গাঁথা গাইতে থাকবে। এর থেকে পরাবাস্তব আর কি থাকতে পারে। আমি তোমার মাঝে হারিয়ে যাবো। তুমি আমার মাঝে হারিয়ে যাবে। দু’জন কাছাকাছি আসবো। সেই দিনের মতো করে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকবো। তোমার জোড়া ভ্রু নেচে উঠবে। আমি সেই নাচন দেখে দেখে পাগল হয়ে যাবো। মিলনে দু’জন একাকার হয়ে যাবো। দুজনের হৃদয় মিলে একটি হৃদয় হয়ে যাবে। সেই এক হৃদয়ের আবেগে পুরো বিশ্ব আমাদের গোলাম হয়ে নাচবে। মুন! এতো সুন্দর জীবনটা শুধু তোমাকে দেখাবো বলেই পেয়েছিলাম। তাকিয়ে দেখো আজ আমার প্রেম ভরা বিশ্বাসের দিকে। দেখবে আর সব কোথায় যেনো হারিয়ে গিয়ে শুধু একটি পরিপূর্ণ প্রেমের জুটি সারা বিশ্ব মাতিয়ে রেখেছে। মুন! আজ তোমাকে আদর করার দিন। আজ সব বিরহ ভুলে যাবার দিন। আজ পিছনের সব তৃক্ততা ভুলে যাবার দিন। আজ নিজেকে ভুলে গিয়ে তোমার সাথে বেঁচে ওঠার দিন। আজ শুধু মিলনের দিন। আজ শুধু মিলন হবে। কোনো কথা নয়। শুধু তোমার মনের কথা আমি শুনবো। শুধু তোমাকে কাছ থেকে দেখবো। শুধু তোমার সব কথা শুনবো। আমাদের এই মিলন মধুর প্রেমের থেকে আর কি সুন্দর এই মাটি-গাছ-প্রানীর পৃথিবীতে আছে।

চলবে.........

[আমার প্রাণপ্রিয় মিডিয়া কর্মিদের বলছি। আমার দাম্পত্য জীবন লেখাটির উপর ভিত্তি করে আপনারা ডেইলী সোপ উপহার দিন। তাতে পরকিয়া ও অন্যান্য হিংসাত্বক ব্যপার কমে যাবে। সাধারন মানুষের উপর মিডিয়ার পজেটিভ এফেক্ট ফালানোর এখনই সময়। আপনারা আপনাদের সৃষ্টিশিলতাকে ভালোর দিকে কাজে লাগাবেন। এ আমার বিশ্বাস। ]
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগ লিখেছি: কথাটার পরে ভাসছে ১১ বছর ১১ মাস... কথাটা

লিখেছেন আবু ছােলহ, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮

ব্লগ লিখেছি: কথাটার পরে ভাসছে ১১ বছর ১১ মাস... কথাটা

গুগল থেকে নেয়া ছবি।

সামুতে মাল্টি নিক নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। অনেকের কাছে মাল্টি যন্ত্রণারও কারণ। শুধু যন্ত্রণা নয়, নরক যন্ত্রণাও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×