somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পরে (পর্ব-৫)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি তোমাকে ভালোবাসি। আই লাভ ইউ। এই কথাটি আমাকে তুমি কতবার বলেছো? হিসাব আছে। অবশ্যই নাই। হিসাব নিকাষ করে প্রেম হয় না। এই পৃথিবীতে শুধু হিসাবের জাল বিছানো আছে। হিসাব নিকাশ করতে করতেই মানুষ জীবন কাটানোর পর মারা যাচ্ছে। হিসাব নিকাশের কারেন্ট জালের ফাঁকা দিয়ে কখন যে প্রেম পড়ে গিয়েছে তাও খেয়াল করার সময় পাচ্ছে না।

যে সময় প্রেমের কাছে এসে ধরা দেয় না, সেই সময়ের কোনো দামই নাই। প্রেমের দামেই সময় মূল্যবান হয়ে ওঠে। আমি আর তুমি দু’জন দু’জন কে কখনও দুরে সরিয়ে রাখতে চাইতাম না। এখনও চাই না। কিন্তু কি করবো মুন? আজকের সময় আমাদের ভালোবাসার বহু কাছে থেকেও বেঈমানী করে যাচ্ছে। তাইতো তুমি আমার কাছে আসো না। তারপরও তোমার আফটার ওয়েডিং আমি লিখে দিলাম। আমি চিরকাল পৃথিবীতে থাকবো না। যারা আছেন তাঁদের প্রেমকে সহজ করার জন্য আমি তোমার কাছে তোমারই আমানত রেখে যাচ্ছি। তোমার আমানত তুমি বুঝে নিয়ে এবার না হয় কাছে আসো। তোমাকে সামনা সামনি আই লাভ ইউ বলতে ইচ্ছে হয়। খুব কাছ থেকে তোমাকে জনম জনম আই লাভ ইউ বলতে বলতে জীবন কে ধন্য করতে দাও।

একই পৃথিবী কতো সুন্দর ছিলো। আজ সে পৃথিবী আমার কাছে মূল্যহীন। জীবনের সব সফলতার কোনো দাম নেই যদি প্রেমকে হারাতে হয়। আজও আমার তোমাকে অর্জন করে নেবার যুদ্ধ থামে নি। আমি তোমার কাছের থেকেও কাছে ছুটে আসছি। আমি তোমাকে জয় করার অভিযানে নেমেছি মুন! তোমার সাথের দাম্পত্য জীবন পাওয়া আমার অধীকার। প্রেমের অধীকার। তাইতো আমি আমার সমস্ত অধীকার নিয়ে তোমার চরনে লুটিয়ে পড়েছি। আমার সমস্ত প্রেম দিয়ে তোমাকে পুজা করছি।

বিয়ের পর তোমার পছন্দের ড্রেস পরবে। আমিও তোমার জন্য নতুন নতুন ড্রেস নিয়ে আসবো। তোমার যে ড্রেস পছন্দ হবে সেই পোষাক তুমি পরবে। আমার পছন্দের কোনো কিছু অপছন্দ হলে তুমি ফেলে দিও। আমি তোমাকে জোড় করে আমার রুচি তোমার উপর চাপিয়ে দেবো না। আমি জানি মুন প্রেম মানুষকে এক হতে শিখায়। প্রেম দুজনের রুচিকে এক করে দেয়। তারচেয়ে ভালো হয় তোমার রুচির সাথে আমাকে বেঁধে নাও। তুমি তোমার পছন্দের পোষাক পরবে। আর আমি দু’চোখ ভরে তোমাকে দেখবো। তোমার পছন্দের জন্য আমি বিশ্ববিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারদের ডিজাইন নিয়মিত দেখবো। তোমাকে যে পোষাকে মানাবে সেই পোষাক আমি যে কোনো ভাবে হোক তোমার কাছে তুলে দেবো। তোমাকে আমি এমন ভাবে সাজাবো মুন! যাতে সবাই তোমাকে দেখে ঈর্ষা করে। তোমার ফ্যাশন থাকবে বিশ্বসেরা। আমি তোমার ফ্যাশনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সাহায্য করবো। আমার জান এমন ভাবে চলবে যাতে সবাই আমার জানের অনুকরন করে। মুন! আমি তোমাকে আমার মেধার সবটুকু ঢেলে দিয়ে তোমাকে সাজাবো।

জানো মুন? আমি খুব সুন্দর আলপোনা আঁকতে পারি। সারা ঘরময় আলপোনা একে দেবো। বাজার থেকে আলতা কিনে এনে তোমার পায়ে আলতা মেখে দেবো। নিয়মিত তোমাকে সাঁজাতে থাকবো। কোনোদিন তোমার পয়ের আলতার দাগ শুকাতে দেব না। আমি নিজ হাতে তোমার পায়ে আলতা পড়িয়ে দেবো। সুন্দর সুন্দর আলপোনার ডিজাইনে আলতা মেখে তোমার জীবন কে লাল রঙের মতো টকটকে করে তুলবো। আমি শুধু রেড কালার ইউজ করেই তোমার পায়ে আলতা পরাবো না। অনেক ফিউশন নিয়ে আসবো ডিজাইনের মধ্যে। কখনও লাল, কখনও সবুজ, কখনও নীল, কখনও ম্যাজেন্টা, কখনও ফিরোজা, কখনও সব রঙ মিলিয়ে তোমার চরনে আলতা পরিয়ে দেবো। অসম্ভব এক সুন্দরের জগতে তোমার আমার দাম্পত্য জীবন গেঁথে থাকবে। তোমার পায়ের পাতায় সবুজ রং মেখে পায়ের পাতার মধ্যখানে টকটকে লাল রং মেখে বাংলাদেশের পতাকা বানাবো। মুন! তোমার পায়ের পাতা আমার কাছে বাংলাদেশের পতাকার থেকেও বেশি দামি। তোমার হাসি ভরা মুখ আমার কছে পুরো বিশ্বের থেকেও দামি। আমার দামি মুনকে আমার মনের মতো করে সাজাবো।

মুন! তোমার কপালে বড় বড় টিপ লাগিয়ে দেবো। কাচ-পোকার টিপ খুজে এনে তোমার কপালে পরিয়ে দেবো। সিঁদুর রাঙা লাল সূর্যের মতো টিপ তোমার কপালে পরিয়ে দেবো। বাংলাদেশের বিশেষ দিবসের দিন তোমার কপালে বাংলাদেশের মানচিত্রের মতো করে কাটা টিপ পরিয়ে দেবো। ২১শে ফেব্রুয়ারী ও শোক দিবসের দিন তোমার কপালে কালো টিপ পড়িয়ে দেবো। তোমার মাঝেই আমার সব কিছু নেচে উঠবে। আকাশের তারার মতো আমার দুটি চোখ দিয়ে তোমাকে অনন্তকাল দেখে যাবো। তোমাকে সাজানোর জন্য নতুন নতুন স্টাইল নিয়ে আসবো। যা হবে বিশ্ব সম্পদ। আমার মনের সব ফ্যাশন তোমাকে ঘিরে।

মুন! তোমার হাতের মেহেদী কখনও শুকাতে দেবো না। আমি নিজ হাতে তোমার হাতে মেহেদী লাগিয়ে দেবো। বাহারি ডিজাইনে তোমার হাত ভরে উঠবে। আস্তে আস্তে নিখুঁত করে তোমার হাতে মেহেদী লাগিয়ে দেবো। তোমার নকে বিভিন্ন কালারের নেইলপালিস দিয়ে রাঙিয়ে দেবো। আমাদের দাম্পত্য জীবনে তোমার হাতের মেহেদী কখনও হারাবে না। আমাদের বিবাহিত জীবনে তোমার শরীরের সব আলপোনা আমি নিজ হাতে এঁকে দেবো। সবার চোখ তাক লেগে যাবে। বাংলাদেশি মিডিয়া আমাদের সুখ সময়কে ধরে রাখবে। আমি আমার চেতনার সাথে তোমার চেতনাকে মিশিয়ে এমন এক পরিবেশ তৈরি করবো যা দেখে ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া প্রোডাক্টের জন্য আমরা আইডল হয়ে উঠবো। ওয়ার্ল্ড মিডিয়া তোমার রঙে সাজবে। সমস্ত ভারত বর্ষ তোমার পোষাক, তোমার স্টাইলকে গুরুত্ব দিবে ও অনুকরণ করবে। আকাশের চাঁদ-তারা-গ্রহ-রবী তোমাকে দেখার জন্য এই পৃথিবীতে আলো ছড়াবে। আমার সবকিছু দিয়ে আমি তোমাকে সাজিয়ে রাখবো জান! তোমার রঙে এই পৃথিবী সেজে উঠবে।

তোমার ভ্রু নিয়ে আমি আর তোমাকে ভ্রু প্লাগ করতে দেবো না। তোমার ভ্রু হবে ন্যাচারাল। আহারে কি সুন্দর ছিলো তোমার জোড়া ভ্রু। তোমার জোড়া ভ্রু তোমার চোখকে পাহারা দিয়ে রাখতো। তুমি আমার দিকে তাকালে তোমার ভ্রু নেচে উঠতো। আমি তোমার দিকে তাকিয়ে আর চোখ ফিরাতে পারতাম না। শুধু তোমায় চেয়ে চেয়ে দেখতাম। মুন! তুমি আমার সাথে তোমার ভ্রু নিয়ে বায়না ধরো না। যদি বায়না ধর তাহলে তুমিই জিতবে। তোমার জোড়া ভ্রুকে আলাদা করতে যদি তোমার মন চায় তুমি করবে। আমি বাধা দেবো না। আমি তোমার স্বাধীন ইচ্ছাকে সবসময় সম্মান করেছি। কোনোদিনও তোমার মুখের উপরে কিছু বলে আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি এবং কখনও তা চাইনা।

মুন! তোমাকে আমি আমার মন মতো সাজিয়ে নিয়েছি জান! কেউ তা দেখে নি। কেউ তা বোঝে নি। কেউ তা জানে নি। আমি আমার মনের মধ্য সব এতকাল পুষে রেখেছিলাম। আরো কতো কি যে স্বপ্ন তোমাকে ঘিরে দেখেছি। তোমাকে নিয়ে আমার সব স্বপ্নকে আমি ভালোবাসি কারণ আমি তোমাকে ভালোবাস মুন! আমি কখনও তোমার মন খারাপ দেখতে পারবো না। তোমার একটু আনন্দই আমার আনন্দ। তোমার একটু সুখই আমার সুখ। তোমার একটু চাঙ্গা হয়ে তাকানোই আমার শক্তি বল। আমি তোমাকে কোনোদিন কোনোকিছুর বিনিময়ে হারাতে চাই নি। তারপরও আমাদের কাছে এক নকল ভাগ্য এসে আমাদের ধোঁকা দিচ্ছে মুন। যেখানে তুমি আমি একসাথে থাকতে পারবো না, সেখানে কেনো আমরা নকল ভাগ্যর দোহাই দেবো? ভাগ্যকে আমি আমার ভালোবাসার গোলাম বানিয়ে রাখলাম। আমি দেখতে চাই এই নকল ভাগ্যের শক্তি কতো। তুমি যদি একবার বুঝতে যে আজ আমাদের সামনে কতোবেশি সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে তাহলে আমার মোটেও দুঃখ লাগতো না। আমি তোমার কোনো ভুলেই তোমার উপর দুঃখ পাই না। বরং তোমার ভুল হলে আমার নিজের কাছে নিজেকে আসামীর মতো দাঁড়া করাই। তোমাকে এখনও কাছে পাইনি বলে নিজেকে খুব বড় অপরাধী মনে হয়।
চলবে..............


সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×