somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন টিভি চ্যানেল :: ইত্যাদি :: মাটি ও মানুষ :: ডিজিটাল লাইব্রেরী

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি কমপক্ষে দু’টো নতুন চ্যানেল অনুমোদন দেবার জন্য বলেছিলাম। সরকারকে রিকোয়েস্ট করেছিলাম। যার প্রতিফলন (পজেটিভ রেসপন্স) এখন পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি না। দিনের পর দিন বয়ে যাচ্ছে। আমাদের গুনীজনদের বয়স বেড়ে যাচ্ছে। সময় নষ্ট হচ্ছে। আমাদের সম্ভাবনাকে আজও আমরা কাজে লাগাতে পারছি না।

আমি বলেছিলাম যতক্ষন পর্যন্ত “ইত্যাদি” এবং “মাটি ও মানুষ” চ্যানেল দুটি “হানিফ সংকেত” ও “শাইখ সিরাজ” এর নামে অনুমোদন না দেয়া হবে। ততোক্ষন আমি প্রধানমন্ত্রীর পা ছাড়বো না। পা ধরে থাকবো। আমি আজও পা ধরে আছি। তারপরও দুটো টেলিস্টেরিয়াল কাম স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের ব্যাপারে আলাপ- আলোচনা শুনলাম না।

সরকার কে ভালোটা বুঝতে হবে। আজকের এই পরিস্থিতিতে মিডিয়ায় টাই পাসিং নিউজ প্রদান করে ব্যস্ত রাখলে হবে না। মিডিয়ার মালিকানা মিডিয়া কর্মীদের হাতে দিয়ে দিতে হবে। সরকারের কোনো প্রকার চালাকি মেনে নেয়া হবে না। আমি আমাদের বাংলাদেশের সব মিডিয়ার গার্ডিয়ান হিসেবে কথা বলছি। আমার কথা সরকারকে অবশ্যই শুনতে হবে।

সরকারকে বুঝতে হবে কোনটা দরকারি আর কোনটা ইস্যু। ইস্যু ব্যবহার করে কোনো স্বাভাবিক ঘটনাকে চাপা দিতে অন্য দিকে আই ওয়াশ করানো হয়। আমার প্রাণপ্রিয় মিডিয়া কর্মিরা এ ব্যপারে নিশ্চই অবগত আছেন। যেমন ধরুন বিচারপতি অপসারন, মিডিয়ার কিছু রুলস এ্যান্ড রেগুলেশন নিয়ে হাল সময়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এগুলো ইস্যু ভিত্তিক মিডিয়া কভারেজ। যেখানে ফলাফল কি হলো তা মোটেও বড় ব্যপার না। এসব বিষয়ে কতদিন পাবলিককে তাল দিয়ে আটকে রাখা হলো সেটাই বড় বিষয়।

এজন্য বলছি, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের সত্যিকারের সুস্থ্য বিনোদনের জন্য এ দুটি চ্যানেল দ্রুত অনুমোদন দিয়ে দিন। এবং এখানে উক্ত ব্যক্তিদের আর্থিক ভাবে সরকার ও গনতান্ত্রের অধীনে চালিত ব্যাংক সমূহ সাহায্য সহযোগীতা করবেন।

এই অনুষ্ঠান দুটির প্রতিটি এক একটি ইন্ডাস্টির মতো বিশাল হয়ে উঠবে। শুধু মাত্র একটু খানি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আর পারফেক্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যপার। বাংলাদেশ ও বিশ্ব মিডিয়ায় এ দুটি চ্যানেল দারুন প্রভাব ফেলতে পারবে। বিশেষ করে ইত্যাদির প্রতিটা সিকুয়েন্স/ট্রাক কে আরো বেশি জোড়ালো ও সুন্দর নির্মান শৈলি দেখাতে হবে। মাটি ও মানুষ চ্যানেলটি হবে পুরোপুরি কৃষি ভিত্তিক। যেখানে শুধু বাংলাদেশই নয়। বরং সমস্ত পৃথিবীর কৃষি নিয়ে এই চ্যানেলে কথা বর্তা হবে। “ইত্যাদি” এবং “মাটি ও মানুষ” নামের চ্যানেল দুটি দুটো ভিন্ন ভাষায় একই সাথে প্রচারিত হবে। বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় চ্যানেল দুটি চলবে। টেলিস্টেরিয়াল হিসেবে শুধু বাংলা ভাষায় বাংলাদেশের ভৈগলিক সীমানার ভিতরে চলবে। আর স্যাটেলাইট বাংলা ও ইংরেজী চ্যানেল দুটি খুব সুন্দর মার্কেটিং এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে।

এ বিষয়ে আমি আগেই আলোচনা করেছিলাম। আমরা কিন্তু খুব দ্রুত এই দুটি চ্যানেল চালু করতে পারি। আমাদের কাছে যে সব অনুষ্ঠান বা প্রচারিত/অপ্রচারিত যেসর অনুষ্ঠান রয়ে গেছে তা দিয়েই অন্তত বছর খানেক এই মিডিয়া চ্যানেল দু’টোকে বিনা বেগে চালিয়ে নেয়া সম্ভব। আমাদের একটি নতুন ফরম্যাট থাকবে। প্রতি পনেরো মিনিটে সারে তিন মিনিট সর্বোচ্চ এ্যাড চলবে। তারমানে টোটাল প্রচার সময়ের সর্বোচ্চ ২৫% সময় বিজ্ঞাপনের জন্য নির্ধারিত হতে পারে। সম্প্রচারে এলে আমাদের এই চ্যানেলগুলো নিয়ে অনেক এক্সপৃমেন্ট করার আছে। আমাদের দেখতে হবে কি করে মানুষকে আরো বেশি আকর্ষন করা যায়। আমি টিভি চ্যানেল গুলোর জন্য কিছু কিছু আইডিয়া বেড় করে দিয়ে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। আমি চাই আমার বাংলাদেশের মিডিয়া পুরো বিশ্ব কে হাতের কাছে টেনে নিয়ে আসুক।

আমি আবারও আন্তরিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের প্রতি আকুর আবেদন নিবেদন করছি।

যাই হোক, আব্দুল্লাহ্ আবু সাইদ সাহেবের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র হলো দেখার মতো একটি জিনিস। একটি মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম যে কি পারে- তার বড় উদাহরন হতে পারে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, ঢাকা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্ররী, দেশের প্রতিটা সরকারি পাঠাগারকে ডিজিটালে রুপান্তর করতে হবে। অনলাইনে কাঙ্খিত বইয়ের অর্ডার করা যাবে। আবার নির্দিষ্ট ফিতে পাঠকরা বাসায় বসে বই সংগ্রহ করে পড়তে পারবেন। পড়া শেষে আবার বই ফেরত পাঠাতে পারবেন। প্রতিটা লাইব্রেরীতে অনলাইনে বই পড়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আজকের সময় হলো পরিবর্তনের সময়। আব্দুল্লাহ্ আবু সাইদের মতো যারা আমাদের জ্ঞানী-বিজ্ঞ পুর্বপুরুষ আছেন তাদের কথা আমাদেরই চিন্তা করতে হবে। এরা ত্যাগি ও মৃত্যুঞ্জয়ী। এই সব মানুষদেরকে আমাদের বুঝতে হবে। তাঁদেরকে আমাদের সাহায্য করতে হবে।

আজ এই মায়া ক্ষনে, আমি দ্রুত আমার সমস্ত কথা ও প্রস্তাবের বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আমার চাওয়া কখনই আমার একার জন্য না। আমার চাওয়া হলো প্রতিটা শান্তিকামি ও মুক্তচেতা মানুষের মনের চাওয়া। আমার কথা হলো প্রতিটা স্বাধীনতা প্রত্যাশি মানুষের মনের কথা। আমার দাবি হলো প্রতিটা বাঙালীর মনের দাবি।

“দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পর” নামক ধারাবাহিক লেখাটি লিখেছিলাম। শুধুমাত্র বাংলাদেশি মিডিয়াকে ডেইলি সিরিয়াল তৈরির একটি আইডিয়া হিসেবে। যেখানে সুস্থ্য ধারার মিডিয়া প্রোগ্রাম উপহার দেয়া যাবে। আমি প্রতিটা সময়ে বাংলাদেশের মিডিয়ার উন্নয়ন সম্পর্কে ভেবেছি। আমি সবসময় বিষ দিয়ে বিষের ক্ষয় করতে চেয়েছি। বিদেশী সিরিয়াল দেখে আমাদের সোসাইটির যতখানি ক্ষতি হয়ে গেছে বা এখনও ক্ষতি হচ্ছে। এর ক্ষতিপুরুণ হবে মিডিয়ার সুস্থতা দ্বারাই। আমাদের মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে আমরা অনেক সামাজিক সমস্যার সমাধান করতে পারি। প্রতিটা মিডিয়াকে আমার কিছু বলার আছে।

আমি মিডিয়া কর্মিদের বলবো, আপনারা কোনো অবস্থাতেই হতাশ হবেন না। আমি আপনাদের গার্ডিয়ানের মতো সবসময় পাশে আছি। আমি আপনাদের অধীকারের জন্য সবসময় লড়ে যাচ্ছি। আমি আপনাদের সুন্দর সুন্দর আইডিয়াকে কাজে লাগাতে বলছি। আমি আপনাদেরকে সৎ পথে ইনকামের রাস্তা বেড় করে দিচ্ছি। এই ভন্ড সমাজ মিডিয়াকে অহেতুক ভন্ড বানিয়েছিলো। আমি সেই ভন্ডদের হাত থেকে মিডিয়াকে মুক্ত করতে এসেছি।

আমার চলা-বলা-কথা-কাজে আপনারা তার প্রমাণ পেয়েছেন। বাংলাদেশি মিডিয়াকে আমি বিশ্বেরসেরা মিডিয়া বানাতে চাই। সেই স্বপ্ন চোখে নিয়েই আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষন করি। আপনারা আপনাদের আইডিয়াকে কাজে লাগান। আমাদের দেশে কৃয়েটিভ সমাজ তৈরি করুন। নতুনদের প্রচুর পরিমানে সুযোগ দিন। যারা কৃয়েটিভ তাদের জন্য পথ বেড় করে দিন। যারা সৃষ্টিশিল তাঁদের মুল্যায়ন করুন।

বাংলাদেশী মিডিয়াকে পুরোপুরি রাজনীতিক প্রভাব মুক্ত করুন। পলিটিক্যাল পার্টি গুলো নিজেদের দলের বিজ্ঞাপন প্রচার করুন। কোনোভাবেই মিডিয়ায় প্রচারের ক্ষেত্রে মিডিয়াকে ক্রেডিট নাম করে ফাঁকি দিবেন না। প্রতিটা পলিটিক্যাল পার্টি যথা নিয়মেই টিভি ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিন।

বাংলাদেশ এর মিডিয়ার প্রতিটি ধাপে মিডিয়া বোদ্ধাদের নিয়ে আসুন। সমস্ত মিডিয়ার মধ্যে ইউনিটি নিয়ে আসুন। যারা মিডিয়াকে ক্ষতিগ্রস্থ করছেন সেই সব খারাপ মানুষদের মিডিয়ায় না বলুন। চিন্তাশিল/কৃয়েটিভিটির বড় বাধা হলো যথাযথ ভাবে মুল্যায়ন না করা। প্রতিটি সৃষ্টিশিল মানুষকে চাপ মুক্ত রাখুন। তাঁদের কে স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ দিন। আমরা আমাদের মিডিয়াকে খুব সহজেই অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারি।

আমাদের সবার সম্মিলিত চেষ্টাই আমাদের মিডিয়াকে বহুদুর নিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ্!

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×