somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জামাত-শিবিরকে এতো ভয় কিসের?

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকার জামাত শিবিরকে এতো বেশি ভয় পাচ্ছে কেনো? এত ভয় নিয়ে একটি সরকার চলতে পারে না।

দেলোয়ার হোসেন সাইদী সহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী আসামীদের রায়ের ডিসিসন ঝুলে আছে। দেলোয়ার হোসেন সাইদীকে মুক্তি দিলে কার কি অসুবিধা ছিলো? সেই কবে আমি দেলোয়ার হোসেন সাইদী সাহেবের মুক্তি কামনা করেছিলাম। খালাস যখন দিতেই হবে তাতে দেরী করে লাভ কি? অন্যান্য অপরাধীদের দ্রুত সঠিক বিচার দাবি করছি।

দেখুন! সেই মানুষ পোড়ানোর মহূর্তগুলো মনে পড়লে আজো শরীরের মধ্যে শির শির করে ওঠে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্নে শঙ্কিত হতে হয়। মনে হয় আবারও বুঝি সেই বাজে দুর্দিন চোখের সামনে চলে আসবে। মনে মনে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। আজকের যে নিরাবতা চলছে, তা কি সাধারন মানুষের নিরাপত্তার জন্য ভালো নাকি শত্রুদের আরও বেশি সুযোগ দেয়া।

বর্তমান এই সরকার আসলে জামাত-শিবিরকে আর একটি বড় সুযোগ দিয়ে দিচ্ছে। বর্তমান সরকার ২য় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে জামাত-শিবির বেশ নীরব। আর সরকারও জামাত-শিবিরকে চ্যালেঞ্জ করার মতো সাহস দেখাচ্ছে না। তাই কৌশলে নিজামী, মুজাহীদ, সাইদী ও অন্যান্য যারা আছেন তাদের বিচার প্রক্রিয়াকে এক হিসেবে স্থগিত করে রেখেছেন। আমার প্রশ্ন হলো, বিচার প্রক্রিয়া যখন কৌশলে স্থগিতের মতো করে রাখা হবে তখন এতো টাকা খরচ করে এই ট্রাইবুলাল পালার কি মানে হয়? যখন বিনাবিচারে দিন পাড় করা হবে তখন ঐ আসামীদের অহেতুক এত টাকা পয়সা খরচ করে আটকে রাখার কি মানে হয়? তাদের আটকে রাখা ও ট্রাইবুনালের প্লেস ভ্যালু ও প্রতিদিনের খরচ বাবদ কত টাকা প্রতিদিন খরচ হচ্ছে, এই অর্থ কি আপনার আমার মতো সাধারণ মানুষের অর্থ না?

এই যে সময় পাড় হচ্ছে, তাতে কি জামাত-শিবির শক্তিশালী জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আবার মাথাচারা দিয়ে ওঠার মতো সুযোগ পেয়ে গেলো না? এই নীবর সময়টা জামাত-শিবিরের জন্য গোল্ডেন মোমেন্ট হয়ে উঠতে পারে। আজ জামাত-শিবির নীরব কাল দেখা যাবে এই সময়ে জামাত-শিবির নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। এমন হলে জামাত-শিবির আরো কিছু নতুন নামের জঙ্গি সংগঠন সহকারে মাথা চারা দিয়ে উঠে আসতে পারে। তার জন্য দায়ি হবে এই সরকারের এই সময়ে উদাসীনতা।

বন্ধু! আমাকে এখন পর্যন্ত সরকার পূর্ণরূপে মুল্যায়ন করতে পরে নি। আমার এই পথচলায় আমি জামাত-শিবির দ্বারা বাধাগ্রস্থ হয়েছিলাম। আমার উপরে প্রাণনাসের হুমকি এসেছিলো। যে কথা আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম। আমি সরকারের কাছে আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেছিলাম। আজ পর্যন্ত সে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাকে মুগ্ধ করতে পারে নি। তারপরও আমি বাংলাদেশ ও বিশ্ব শান্তির কথা কখনও থামিয়ে দেই নি।

আমরা ইতিহাস থেকে বুঝতে শিখি না। ১৯৭৫এর ১৫ আগষ্টের আগেও এমন একটি থমথমে নিরব সময় এসেছিলো। বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতি একটি সুন্দর দিকে মুভ করতে ছিলো। যা ক্ষতি হয়েছে, সব বোঝাগেছে গ্রেট লিডার মুজিব শহিদ হবার পরে। এবারও যদি তেমন কোনো পরিস্থিতি আসে তার জন্য দায়ি কে? অবশ্যই সরকার। সরকার এখন আর তাদের আসল কাজ বুঝতে পারছে না। জোটের নামে যেসব কমিউনিস্ট সরকারে অবস্থান করে আছেন তারা আসলে বাস্তবতার ভিত্তিতে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আজকের অবস্থান কেমন? এসব চিন্তা করার কেউ নেই। মন্ত্রী-নেতা-মিনিস্টার ও সুবিধা ভোগীরা শুধু সুবিধা ভোগ করতেই ব্যস্ত। তারা যতদিন বেঁচে থাকবে শুধু সুবিধা সুবিধা খুঁজতে খুঁজতে জীবন পাড় করে দিবেন। সমস্যা হবে এই বাংলাদেশের সুন্দর বৃহত্তম রাজনীনিতিক দল আওয়ামীলীগের আর এই অন্ধ ভক্ত সমর্থকদের।

বন্ধু! আমরা সবাই জামাত-শিবির কে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেবার পক্ষে ছিলাম। নিজের জীবন, পরিবার ও প্রানপ্রিয় প্রেমিকার জীবনের মায়া ত্যাগ করে আমি এপথে এসেছিলাম। আমি শত লাঞ্চলা ও হুমকির পরও দেশ ও দেশের সাধারণ মানুষের সেবা করতে চেয়েছিলাম। আমি চেয়েছিলাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির কে একটি ইন্টারন্যাশনাল জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষনা করা হোক। আর বাংলাদেশে এই জঙ্গিদের যেনো কোনো প্রকার তৎপরতা না থাকে। আজ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ঢাকা, বগুরা, খুলনা, যশোহ্‌র সহো বিভিন্ন জায়গায় নিরবে জামাত-শিবির তাদের সংগঠন ও জঙ্গি বাহিনি তৈরি করে নিচ্ছেন। আর এর পিছনে আছেন কিছু ইন্টারন্যাশনাল সংস্থা, বিদেশি গোয়েন্দা বাহিনি ও সরকারের সহয়তা নেয়া উচ্চ পজিশনের কিছু মানুষ। যাদের মধ্যে কমিউনিস্টরাও আছেন। কেনো এমন হলো? এমন তো কোনোভাবেই হবার কথা ছিলো না।

আজ ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার কেনো বন্ধ হয়ে গেলো? এই ষরযন্ত্র কারা করেছে? কেনো করেছে? আমরা অহেতুক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দোষারোপ করছি। একবারও কি ভেবে দেখেছেন আজ বাংলাদেশের উপর নতুন এক কৌশল কাজ করছে। বাংলাদেশে এমন পলিটিক্স বহুকাল পরে এলো। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আমাদের একবার শিক্ষা হয়ে গেছে। আজ যদি শেখ হাসিনাকে হারাই তাহলে আবারও এই জাতি পঙ্গু হয়ে যাবার পথে যাবে। এই পরিস্থিতি কখনই কাম্য না। শেখ হাসিনাকে এখন থেকে আরও বেশি নিরিবিলি হয়ে খুব ঠান্ডা মাথায় এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। এখনই শেখ হাসিনার আসল পারফমেন্স দেখানোর সময়। আওয়ামীলীগ আর কমিউনিস্ট কখনও এক না। দুটোর আদর্শ দু’ধরনের। তাকে এই জিনিসটি উপলব্ধি করতে হবে। যারা জানেন না তাদের বলছি শেখ হাসিনার সাথে আমার ভাই-বোনের প্রেমের সম্পর্ক। আমি তাঁর রাসেল।

বন্ধু! বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রিক দেশ। যার কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গনতন্ত্রকে আর একবার আঘাত দিতে পারলে বাংলাদেশ অনেক পিছনে চলে যাবে। আপনারা ভাবতে পারেন শেখ হাসিনাকে মেরে ফেললে আর কি বা হবে? আপনাদের বলে রাখছি আজ শেখ হাসিনা মারা গেলে (আল্লাহ্ না করুক) কাল অনেক নেতা-উপনেতা-পাতিনেতা-ক্যাবিনেটদের চেহারার ভোল পাল্টে যাবে। কথার টোন পরিবর্তন হয়ে যাবে। নতুন নতুন সুযোগ নিয়ে সবাই মাথা ঘামাবে। এ যেনো একটি মানব মিনারের মতো। মানব মিনারের উপরের জনকে কাবু করতে পারলে এর ইফেক্ট একদম নিচ পর্যন্ত পরে।

বন্ধু! আজ আমাদের হারাবার সময় না, আজ আমাদের দাঁড়াবার সময়। আমরা বাঙালীরা আর একবার দাঁড়িয়েছি। এবার কোনো ঝামেলা হলে আর মুখ দিয়ে কথা বলবো না। এবার আমরা আবার অস্ত্র হাতে দাঁড়াবো। দেশের মাটির মধ্যে কোনো প্রকার ঝামেলা আমরা মেনে নেবো না। আমাদের প্রাণ দিয়ে আমাদের মুরব্বী, গুণিজন, ত্যাগি ও অগ্রপথিকদের রক্ষা করবো। আমাদের নেতা নেত্রী আমাদের সম্পদ। আমাদের হাসিনা, আমাদের খালেদা, আমাদের এরশাদ এই বাংলার সম্পদ। তাঁদেরকে যদি আমরা না বাঁচাই তাহলে কারা বাঁচাবে?

সময় এসেছে বন্ধু! আজ শিবিরকে না বলুন। সরকার ও জনগনের সকল চেষ্টা দিয়ে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদকে নির্মুল করুন।

এখন বাংলাদেশের একটি সুন্দর টার্নি সিচুয়েশন চলছে। এখন যদি আমরা আমাদের সময়কে ঠিক ভাবে কাজে না লাগাতে পারি তাহলে সেই দুঃখ অনেক দীর্ঘ, কুৎসিত ও মারাত্মক হবে।

আমরা আমাদের সমাজের মাফিয়া, বাজে পলিটিশিয়ান ও জঙ্গিবাদকে দুর করবো। এই দেশ আপনার আমার। আমাদের দেশের পরিবেশ সুন্দর রাখা আমাদের দ্বায়িত্ব। কোনো বিদেশীর পরামর্শে এই দেশ চলবে না। আমাদের পলিটিক্স, মিডিয়া ও সমাজ ব্যবস্থা আমরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রন করবো। আমাদের এই পথ চলার যেখানে যে বাধা আসবে আমরা নিজেদের শক্তিবলে তাই মোকাবেলা করবো। আমাদের অগ্রগতির সামনে আর কাউকে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেবো না।

এতোকাল যখন কষ্ট করেছি, কষ্ট আরো করবো। আমি আবারও বলছি। আমি দরকার হলে জীবন দেবো তারপরও জঙ্গিবাদ ও অন্য কোনো বাংলাদেশে কোনো বাজে শক্তি উত্থান হতে দেবো না।

বন্ধু! আর পিছনে তাকাবার সময় নেই। জামাত-শিবিরকে আর মাছের কাটার মতো গলায় আটকে রাখলে হবে না। জামাত-শিবির কে দেশ থেকে নির্মুল করতে হবে। তাঁদের কোনোপ্রকার অপকর্ম করতে দেয়া হবে না। আজ থেকে আপনারা এই ব্যপারে সাবধান হয়ে যান। সরকারকে বলছি আপনারা শুধু ক্ষমতাকে দির্ঘস্থায়ী করার জন্য এমন নিরব ভাবে থাকতে পারেন না। যে কাজ একবার দ্রুতগতিতে শুরু হয়েছিলো তাকে মাঝপথে থামিয়ে দিবেন না। দ্রুত জামাত-শিবির নিয়ে চিন্তা করুন ও ওদের এদেশের মাটি থেকে উৎখাত করে দিন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মধ্যে সু্ন্দর একটি ম্যনেজমেন্ট নিয়ে আসুন। যে পথ আগেই আপনাদের সামনে খুলে দিয়েছি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×