somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফ্যামিলি পলিটিক্স

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের জীবনে এমন কিছু কথা থাকে যা অন্য কাউকে বলা যায় না। নিজের মনের তুষের আগুন নিয়ে নিজেকেই ভুগতে হয়। আমি আমার কথাগুলোকে আপনাদের মাঝে সহজে প্রকাশ করছি। যাতে আপনারা আমাকে দিয়ে আপনাদের মনের মিল-অমিল খুঁজে পান।

গতকাল আমার ছোট বোনের বিয়ে হলো। অনেক আত্মীয় স্বজন এই অনুষ্ঠানে আসে নি। আমি মনে মনে কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু কাউকে কিছু বলতে পারি নি।

মানুষের হঠাৎ অনেক বেশি টাকা-পয়সা হওয়া ঠিক না। বিশেষ করে যারা অশিক্ষিত। যারা সামাজিকতাকেও টাকা দিয়ে গোলাম করে রাখতে চায়, তাদের টাকা-পয়সা হওয়া ঠিক না। যারা টাকা-পয়সার ওজন সইতে পারে না, তাদের হাতে হঠাৎ টাকা পয়সা হলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

আমার মায়ের ছোট ভাই ও আমার একমাত্র মামা অনেক বেশি টাকা-পয়সার মালিক বনে গেছে। আমার মামা সৌদি আরবের রিয়াদে থাকেন। তাঁর অঢেল সম্পত্তি ও টাকা পয়সা দ্বারা সব কিছু জয় করতে চায়। মামার সেই প্রচেষ্টা আজ প্রায় স্বার্থক। তিনি কখনও বুঝতে চায় না যে, মানুষ তাঁকে নয়। তাঁর হাতের অর্থকরিকে ভালোবাসে।

গতকাল আমার বোনের বিয়েতে আমার খালারা আসেন নি। তারা সবাই আমার মামা এর গোলাম। মামার দেয়া টাকা পয়সায় তাঁদের পেট চলে। তাঁদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের লেশ মাত্র নাই। আমি শুধু সবার থেকে আলাদা। আমি কখনও তাঁদের কাছ থেকে ভিক্ষা নেই না।

আমার মামাকে আমি আমার ছোটবেলায় পাগলের মতো ভালোবাসতাম। আমার জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসতাম। আজ এই সময়ে এসে আমার সে কথা ভাবতেও ঘৃনা হয়। যাদের কাছে টাকা পয়সা গড/আল্লাহ্ এর সমতুল্য জ্ঞান হিসেবে গৃহিত হয়, তাদের সাথে আমি কি করে মিলে থাকবো বলেন? এমন মামা আমার দরকার নেই। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার যদি অনেক অনেক অর্থকড়ি থাকতো তাহলে সেই টাকা দিয়েই ওদের শিক্ষা দিতাম।

আজ কেনো যেনো মনে হচ্ছে, এই সুন্দর পৃথিবীটাকে অসুন্দর করার জন্য রেশারেশি সব থেকে বড় অস্ত্র। সেটা ফ্যামিলি পর্যায়ে হোক আর ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়েই হোক না কেনো।

আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির একজন সাধারন মানুষ। আর এই আর্থিক অনটনের পরিচয়টুকুই যেনো আমি! তাইতো সবার লাঞ্চনা আমার উপর এসে আঘাত করে। আমি কোথায় যাবো? কি করবো? কার কাছে মনের সব কথা খুলে বলবো? আমি চরম একাকিত্বে ভোগা একজন মানুষ।

এমন এক মায়াবী ক্ষনে আমি আমার মনের কথা আপনাদের মাঝে রেখে গেলাম। আপনারা নিশ্চই ধীরে ধীরে আমাকে বুঝতে শিখেছেন। আমি এমনই। আশেপাশের মুখোশধারী মানুষ নামের মানুষগুলোর কার্যকলাপ দেখলে রাগে-ক্ষোভে-অভমানে আমার মাথা হেট হয়ে যায়। আমি এমন একটি পরিবেশ চাই যেখানে সবাই ন্যাচারাল আচরন করবে। বাস্তব জীবনে যদি এতো বেশি অভিনয় দেখতে হয় তাহলে টেলিভিশনের পর্দার ভিতরে ঢুকে যাওয়া ঢেড় ভালো!

আপনি আমি যদি নিজেদের একটু নিঃঅহংকার করে নেই। তাহলে দেখবেন এই পৃথিবীতেই আর কোনো মানুষ রেশারেশি করে নিজেদের দুঃখ কে বরন করে নেবে না।

কি হয় অঢেল অর্থকড়ি দিয়ে? অর্থ দিয়ে কি কখনও প্রেম কে কেনা যায়? অর্থ দিয়ে কি মৃত্যু মানুষের জীবন ফেরৎ দেয়া যায়? অর্থ দিয়ে কি স্থায়ী ভাবে মানব মনে জায়গা করে নেয়া যায়? অর্থ দিয়ে কি আপনি ১সেকেন্ডও পিছনে যেতে পারবেন?

আমি জানি অর্থ ছাড়া সমাজ সংসারে চলা যায় না। কিন্তু এমন সব মানুষের কাছে অঢেল অর্থ আসতে হয় না যারা মানুষকে অমানুষ মনে করে ও সমাজের অন্য মানুষদের কষ্ট দেয়।

কেনো এই রেশারেশি? কেনো আমার সবাই একই সমাকে সুন্দর ভাবে মিলেমিশে বাস করতে পারি না? আমরা কেনো অকারনে মানুষকে কষ্ট দেই? একটু সম্পদ, একটু ধন, একটু ক্ষমতা আমাদের সমাজের মানুষ গুলোকে মানুষ থেকে অমানুষ বানিয়ে দেয় কি করে?

এই সবের কারণ ও সমাধান আমি আপনাদের সামনে ধীরে ধীরে দিয়ে দিয়েছি। আমার সবগুলো লেখা পড়ে দেখুন। দেখবেন আমি আপনাদের জীবনের প্রতিটা সমস্যা নিয়েই আলোচনা করেছি এবং সমাধান দিয়ে দিয়েছি।

আমার লুকানোর মতো কোনো কিছুই নেই। আমি জানি আজ হোক আর কাল হোক আমাকে এই সুন্দর পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে। আমার দেহটিকেও আমি নিজের জন্য আগলে রাখতে জানি না। আজ মানুষ আছি কাল লাশ হবো। তাহলে আমি কেনো আমার মনের কথা আপনাদের বলবো না বলুন? আমি সবসময় আমার নিজের কথাগুলোকে আপনাদের মনের সহজ ভায় প্রকাশ করে গিয়েছি।

আমি জানি ও মানি, টাকা-পয়সা মানুষের মেন্টাল স্টেজ তৈরি করে দেয় না। একারনে আর্থিক ভিত্তিতে সমাজ ও পারিবারিক মাপকাঠি করা ঠিক না।

আমাদের এই সুন্দর বাংলাদেশের মধ্যে অনেক অনেক সুন্দর কাজ করে দ্রুত অনেক উপরে ওঠা সম্ভব। আমাদের দারিদ্রকে আমরাই দূর করতে পারি। এজন্য রাষ্রিা য় ম্যানেজমেন্টে প্রকৃত জ্ঞানী, মুক্তচিন্তার অধিকারী ও সৎ মানুষ দরকার।

[মিডিয়া কর্মিদের অনুরোধ করছি। আপনাদের জন্য আমার এই লেখা। আমি চাই এসবের মধ্য থেকেই আপনাদের আইডিয়া গ্র করবে। ]

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×