somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পরে (পর্ব-৯)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ কেনো জানি মনে হচ্ছে আমার এই লেখা তুমি পড়ছো। অবাক নয়নে ও হাসিমুখে তুমি আমার লেখা পড়ছো। পড়ার তালে তালে তোমার অন্তর দেবতা কেঁপে কেঁপে উঠছে। কেনো জানি মনে হচ্ছে তুমি আমার উপর বিরক্ত হতে গিয়েও বিরক্ত হও নি। আজ আমাদের দুজনের চিন্তাধারা একই রকম হয়ে উঠেছে। যার সাথে তোমার হাজার জনমের মিল, তার উপরে তুমি কিভাবে বিরক্ত হবে?

আমার সব স্বপ্ন তোমার জন্য। আমার সব লেখা তোমার চরনে উৎসর্গকৃত। আমার সব ভালোবাসা শুধু তোমায় ঘিরে। আমার জীবন তুমি। আমার মরন তুমি। আমার আনন্দ তুমি। আমার প্রাণ তুমি। তুমি আমার সব আনন্দের আনন্দ। এজন্যই আমাদের প্রেম নিত্যানন্দ। যে প্রেমের কোনো ক্ষয় নেই। যে প্রেমের কোনো লয় নেই। যেখানে শুধু হাসি আর আনন্দ, গান আর গান, আবেগ আর আবেগ, নৃত্য আর নৃত্য, গান আর গান, স্বপ্ন আর স্বপ্ন। তোমার সব স্বপ্ন সব আশাকে আমি সার্থক করে দিলাম। আমি চিরকাল হয়তো এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে থাকবো না। কিন্তু আমার এই লেখা থেকে যাবে। ইন্টারনেটের কোন পাড়াগাঁয়ে বসে আমার লেখা তোমার আগমনের প্রতিক্ষায় কাঁদতে থাকবে। আমাকে তুমি বরন করে নাও নি কিন্ত এমন একদিন আসবে যেদিন আমার লেখার কাছে তুমি ছুটে আসতে বাধ্য হবে। সেদিন আমার জন্য তোমার চোখের টলমল জল ফালানোর দরকার নেই। আজ যাকে এত সহযে পেতে পারতে, কাল কেনো তাঁর জন্য এতো মায়া দেখাবে?

শুধু তুমি আমার কাছে আসোনা বলেই আমাদের স্বপ্ন আটকা পড়ে আছে। তাকে মুক্ত করতে হবে। আমরা কোনো ফ্যমিলি প্লানিং করি নি। আমরা প্রেম করেছি। প্রেমের থেকে বড় ফ্যামিলি প্লানিং আর কিছু নেই। তুমি এমন ভাবে আমার প্রাণে গেঁথে আছো, যে তোমাকে ছাড়া আমি স্বপ্ন দেখতেও পারি না। আমার অন্তর জুড়ে তোমার রাজ্য। সেই মুক্ত স্বাধীর রাজ্যের কথাই আমি সবাইকে বলে বেড়াই।

আমার জীবনের দিকে একবার তাকিয়ে দেখো প্রিয়তম? আমি নিজে নিজে জলন্ত মোমের বাঁতির মতো নিজেকে নিঃশেষ করেও তোমাকে ডেকে বেড়াই। অনেকে ভাববেন যার এতো এতো মনের কথা সে আবার অসুখি থাকে কি করে? আমি আর পাঁচটা মানুষের মতো না। আমি তোমার মতো। ঠিক তোমার মনের মতো করেই আমি তোমার কাছে হাজির হই। তোমাদের মনের মধ্যেই আমি বেঁচে থাকি। আমার এই অন্তহীন প্রাণের জীবন্ত চাওয়া কোনোদিন ফুরাবে না। আমার জীবন অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে ভরপুর। তোমার বিরহ আমাকে এতো বেশি কষ্ট দিয়েছে যে, আজ আমি অফুরন্ত প্রাণ শক্তি দিয়ে অন্যদের রাগকেও প্রেমসুখে রাঙিয়ে দিচ্ছি।

প্রিয়তম! তোমাকে নিয়ে সব পর্যটন প্লেসে যেতে ইচ্ছে হয়। কোন নির্জন দ্বিপ, যেখানে কোনো মানুষ নাই। আমরা সেখানে বেড়াতে যাবো। আবার জনবহুল কোনো জনসভায় তোমার সামনে বসে বক্তৃতা কবর। আমি তোমাকে এগুলো দেখাবোই। আমি তোমার সব স্বপ্ন পূরণ করে দেবো। আমি এমন এক পর্যায়ে বসে তোমার সাথে কথা বলবো যেখানে তোমাকে কেউ কোনোদিন খারাপ বলতে পারবে না। আমাদের কোনো দুর্নাম করতে পারবে না। তোমার প্রেম জয়ী। তোমার প্রেম সুন্দর কে বুকে ধরে কালজয়ী হিসেবে এই মহাবিশ্বে থেকে যাবে। আমি তোমার সব স্বপ্ন, সব আশা, সব দাবি পুরণ করে দেবো। আমি নিরাশায় ভুগি সেটা বড় ব্যপার না আমি চাই তুমি সবসময় নিরাশা মুক্ত থাকো।

আমাদের বিয়ের পরে আমরা দুজন বিভিন্ন দাওয়াত গ্রহন করবো। সবখানে দুজন একসাথে যাবো। সবাই আমাদের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকবে। আমাদের প্রেম কে নিজেদের আইডল হিসেবে দেখবে। আমাদের নাম নিয়ে অনেক দম্পতি তাদের বিবাহিত জীবন শুরু করবে। স্বামী-স্ত্রী বিবাদে জড়ালে প্রশাসন আমাদের উদাহরন পেশ করবে। আসলে আমরা দুজন প্রেমের আইকন হিসেবেই এই পৃথিবীতে এসেছি। এজন্যই তোমাকে ভালোবাসার মতো ভালোবাসাই আমার কাজ। আমি আমার কাজ নিয়মিত করে যাচ্ছি। আমি যত বেশি প্রেম তোমাকে দেবো ততোবেশি আমি আনন্দিত হবো। তোমাকে পাশে বসিয়ে তোমার সুন্দর চেহারা দেখতে থাকবো। আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসী। অনেক অনেক সুন্দর হবে আমাদের জীবন।

এই লেখা তোমার কাছে রেখে গেলাম। তুমি আমাকে বুঝে নিও। আমি আমার মনের কথাগুলো তোমার মধ্য দিয়ে সবাইকে বলে দিলাম। এমন ভাবে বলে গেলাম যাতে মানুষ ভাবে আকাশের ঢাকনা ভেঙ্গে কেউ বুঝি এসে কথা বলে গেলো। আমি এমনই। আমি যখন আসি তখন ঝড়ের বেগেই আসি। আমি ধুমকেতুর মতো আকাশে জ্বল জ্বল করে জলের বুকে উজ্জ্বল ছায়ার মতো করেই আসি। আমি আকাশের বিজলী ঝটায় তোমার নাম লিখতে লিখতে আসি। আমি আকাশের মেঘ দিয়ে তোমার নাম লিখে লিখে ভালোবাসার গান গেয়ে বেড়াই। আমি চিরসত্য ও চিরসুন্দর।

এই লেখা গুলো আমি তোমার জন্য লিখে যাচ্ছি। যদি কখনও কারো দ্বারা বড় কোনো আঘাত পাও আমার লেখাগুলো পড়ে নিও। যদি কখনও মন ভালো থাকে আমার লেখাগুলো পড়ে নিও। দেখবে আমি পিছন থেকে তোমার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। ছায়ার মতো করে আমি তোমার কোলে এসে শুয়ে পড়েছি। তুমি আমাকে কি দিয়ে ফিরাবে প্রিয়? আমি যে সবকিছুর ভিতর থেকেই তোমার কাছে এসেছি।

তুমি আমি মিলে এই বিশ্বকে নতুন রং দিয়ে সাজিয়ে দেবো। আমাদের সামনে যা আসবে তার সব কিছুকে আমরা আমাদের আপন মহিমায় সুন্দর করে দেবো। কোনো বিরহ, কোন দুঃখ আমাদের আর স্পর্শ করতে পারবে না। আমাদের দুজনের সব স্পর্শ আজ থেকে প্রেমের মোরকে ভরে দিয়ে দিলাম।

মানুষ যা খুশি তাই করুক। মানুষ এখনও বোঝে না যে আমি আর তুমি কোনো ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার নই। আমরা বাস্তবের মানুষ। এই দু’জন কে মিলিয়ে দেবার দ্বায়িত্ব যাদের তারা আমাদের এখন পর্যন্ত মিলিয়ে দেয় নি। এই প্রেমহীন মিলহীন পৃথিবীতে আমি তোমাকে ছাড়া কি করে থাকবো। পৃথিবীতে আজ স্বার্থপরের আখরা। মানুষ মানুষের প্রেম কে সম্মান দিতেও আনইজি বোধ করে।

সবাকে বোঝানোর জন্যই আজ আমি চিতকার করে আমাদের ভালোবাসার জয়গাথা গেয়ে গেলাম। যা কোনোদিন ফুরাবে না। তুমি শুধু আমার থেকো প্রিয়তম। আমি তোমাকে ছাড়া আর কিছু চাই না। আমি তোমার অনেক কাছে এসেছি। তাকিয়ে দেখো আমার চোখের দিকে। তোমার কি মনে হয় যে আমার চোখ মিথ্যে বলতে পারে? কোনোদিনও না। আমার চোখের দিকে ভালোকরে তাকিয়ে দেখো। দেখবে আমি তোমার থেকেও তোমার বেশি কাছে থাকি। আমি তোমার থেকেও তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসী।

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×