somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শেখ হাসিনা মানুষ চিনতে ভুল করেন

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এ. কে. খন্দকার সাহেব বই লিখেছেন। ১৯৭১ ভিতর বাহির বইটিতে তিনি যা লিখেছেন তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সব অন্যায়ের ক্ষমা হয় না। তিনি যা করেছেন তা অবশ্যই ক্ষমার অযোগ্য।

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক স্যারেন্ডারের দিন এ. কে. খন্দকার সাহেব উপস্থিত ছিলেন। যে চেয়ার টেবিলে বসে নিয়াজি সাহেব পাকিস্তানের পরাজয় মেনে নিয়েছিলেন। সেই চেয়ার টেবিল কোথায়? ঐ চেয়ার টেবিলও আমাদের ইতিহাসের অংশ।

কোথায় দেবতা মুজিব আর কোথায় এ. কে. খন্দকার! দেবতা মুজিব জনগনের ভোটে দুই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর এ. কে. খন্দকার সাহেব সামান্য একজন বিমান বাহিনির স্টাফ ছিলেন। এ. কে. খন্দকার সাহেব এহেন একটি বিষয়ে কখনই মিথ্যে তথ্য, শোনা কথা ও অনুমানের সাহায্য নিতে পারেন না। তিনি গুরুতর অপরাধ করেছেন। খন্দকার সাহেব ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের মহান স্বাধীনতা ও জাতির পিতাকে সরাসরি অপমান করেছেন এবং ভুল তথ্য-প্রমাণ দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন।

এমন একজন আধপাগলা মানুষকে শেখ হাসিনা কেনো পরিকল্পনা মন্ত্রী বানিয়েছিলেন? আবার আজকের যে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ.হ.ম. মোস্তফা কামাল তিনিও বা কোন যোগ্যতায় পরিকল্পনা মন্ত্রী হলেন। আমাদের বুঝতে হবে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় কোনো মিনিষ্টার দিয়ে একপৃমেন্ট করার জায়গা না। পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়। যা নিয়ে কখনও কোনো এক্সপৃমেন্ট করার উপায় নেই।

এ. কে. খন্দকার সাহেব জাতির সাথে এতোবড় একটি বেয়াদবি করলেন তারপরও বি.এন.পি. এর কোনো প্রতিবাদ তো করলেনই না। সেই সাথে এমন কিছু বলে দিলেন যাতে মনে হয় এ.কে. খন্দকার সাহেব জীবনের সব থেকে ভালো কাজটি করেছেন।

এ. কে. খন্দকারের এই দৃষ্টতার দ্বায় অবশ্যই শেখ হাসিনার ঘারে নিতে হবে। কারণ শেখ হাসিনাই এ. কে. খন্দকারকে বেশি বিশ্বাস করেছেন। যেমন করে দেবতা মুজিব অন্য আর এক খন্দকার অর্থাৎ খন্দকার মোশতাককে বিশ্বাস করেছিলেন। শেখ হাসিনা এই সব খাসি/পাগল/ছাগল কে সরাসরি মন্ত্রী পরিষদের ফুল মন্ত্রী ও দলের উপদেষ্টার পদ দিয়েছিলেন। আজকে এই এ.কে. খন্দকার নামের কুলংগার যা বলেছেন তার দ্বায়ভার অবশ্যই শেখ হাসিনাকে নিতে হবে।

শেখ মুজিব একজন বীর ছিলেন। দেবতা মুজিব বাঙালী জাতির ইতিহাসে সব থেকে বড় বীর। শেখ মুজিব নিঃসন্দেহে একজন মহামানব। মহামানবরা কখনই অহেতুক রক্তারক্তি পছন্দ করেন না। আমি আপনাদের বলেছি, বাঙালী জাতি সবসময় ডিফেন্সিভ ছিলো। বাঙালী জাতি কখনই অন্যায়ভাবে কারও উপর আক্রমন করে নি বা উপনিবেশের দিকে যায় নি। এই নিরিহ ভদ্র শান্ত বাঙালী অনেক অত্যাচার মাথা পেতে নিয়েছে অথবা নিয়তির বাজে লিখন তুল্য ভেবে নিয়েছেন। শেখ মুজিব এই বাঙালী জাতির জাতির পিতা। আমাদের পিতা চেয়েছিলেন স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের স্বাধিনতা অর্জন করে দিতে। কিন্তু পাকিস্তানি কুলংগারদের জন্য আমাদের এই বাঙালী জাতির উপর বিশাল বড় দুর্ভোগ নেমে আসে। বাঙালী জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারিশমাটিক নেত্রীত্বে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ও বিশ্বের বুকে নতুন একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এ.কে খন্দকার কে কেনো বিরউত্তম খেতাব দেয়া হলো? ১৯৭১ এর স্বাধিনতা যুদ্ধে তিনি কি এমন বড় ভূমিকা রেখেছিলেন, যে তাকে বিরউত্তম উপধি দিতে হবে? এই উপাধি গুলোই আসলে বড় এক ঘাপলা। সব উপাধি সামরিক বাহিনি জোড় করে নিয়ে নিয়েছে। আমাদের সাধারণ বাঙালী শহীদদের সাথে উপাধী নিয়ে বেঈমানী করা হয়েছে।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষনের পরপরই মূলত বাঙালী স্বাধীন হয়ে যায়। ২৫শে মার্চ দেবতা মুজিব কে পাকিস্তান সরকার গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এই গ্রেফতারে শেখ মুজিবুর রহমানের দোষ কোথায়?

যাই হোক, আমি ইতিহাসের দিকে যেতে চাই না। এই ইতিহাস আপনাদের জানা আছে। তাই প্রসংগে আসি। শেখ হাসিনা অনেকবার অনেকভাবে মানুষ চিন্তে ভুল করেছেন। এ. কে. খন্দকারের মতো একজন পাগলা কি করে এই বাঙালীর বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী হয়?

একটি দল যখন ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের দলীয় প্রধান কে শুধু রাষ্ট্রিয় ম্যানেজমেন্ট দেখতে হব- এমন না। দলের ভিতরের দলিয় ম্যানেজমেন্টের হেড হিসেবে তাঁকে দ্বায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথেও শেখ হাসিনা অনেক বাজে ব্যবহার করেছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে অনেক সময়ই মুল্যায়ন করেন না। এতো বড় একটি দল থাকতে তিনি কেনো বার বার বিতর্কিত মানুষদের কে ক্ষমতায় বসাবেন?

মানুষ মেরে, মানুষের ঘরে ডাকাতি করে যারা সর্বহারা নামে সাধারন মানুষের কাছে বাংলাদেশ ব্যাপি আতঙ্ক হয়ে ছিলো তারা কেনো আজ বড় বড় মন্ত্রী ও অন্যান্য বড় বড় দ্বায়িত্ব পালন করবে? ইনু কেনো তথ্য মন্ত্রী হবে? কমিউনিস্টরা বাংলাদেশের জন্য কি করেছে যে তাদের এতো সম্মান ও সহযোগীতা দিতে হবে? ১৯৭১ সালে এই কমিউনিস্টরা কোথায় ছিলেন? ১৯৭৫ইং সালে এই কমিউনিষ্টরা কোথায় ছিলো? ১৯৯০ইং সালে এই কমিউনিষ্টরা কোথায় ছিলো?

আজ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন কাল ক্ষমতায় নাও থাকতে পারেন। এজন্য এখন ক্ষমতা থাকা অবস্থায় অনেক শত্রুও নিজেদের মধ্যে ঢুকে ফায়দা লুটে নিচ্ছেন। একসময় এরাই আওয়ামীলীগকে ক্ষতি করার কায়দা কানুন বলবেন। তাই এখনই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলটাকে সুন্দর একটি সমন্নয় ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে নিয়ে আসা উচিত।

আজ আমার দুঃখ লাগে, যখন দেখি সেই আগেকার মতোই নোংড়া খবরে আমার বাংলার মিডিয়া সয়লাব। আমি একটি পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলাম। আমি আপনাদের সেবা করতে এসেছিলাম। একটি নষ্ট রাজনীতিকে ঠিকঠাক করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলাম। আজ যখন পত্রিকা ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার প্রধান নিউজগুলো দেখি- তখন খুব কষ্ট হয়।

মানিক মিয়ার ছেলে ডক্টর মইনুল কোন সাহসে বা কিসের জোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর সমালোচনা করতে সাহোস পায়? আমাদের জাতির পিতা কে অপমান করা আমরা কখনই মেনে নেবো না। তা সে যে ব্যক্তিই হোক না কেনো?

আজ আমি হাসু আপুকে স্পষ্ট ভাবে বলছি, আপনি আমার প্রতিটা কথাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন। কোনো কিছুতে ভাই বোনের রুচি একরকম ঠেকলে তাতে কারও অমর্জাদা হবে না বরং ভাই বোনের আন্তরিকতা আরও বাড়বে। এ. কে. খন্দকারের বেয়াদবির সমালচনা করার থেকে আপনার প্রতিটা কর্মঘন্টা খুব বেশি মূল্যবান। আমাদের প্রগতিকে ধরে রাখতে হবে। আমরা আগামী ২বছরের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমির প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে অবস্থান করে নেবো।

আসুন আমরা আমাদের জীবনের ভুলত্রুটি দিয়ে শিক্ষা লাভ করি।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×