ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে লাভ নাই। ধর্মভিত্তিকটা নিষিদ্ধ হবার সাথে সাথে ওরা সব দলে ছড়িয়ে পড়বে। স্যাবোটাজ হবে। আরো ভয়ানক হবে যখন বিএনপি বা এমন কোন ধর্ম বাধ্যবাধকতা হীন দলকেই তারা পরিণত করবে আসল জামায়াতে ইসলামী তে। এই তামাশা আমরা তুরষ্কে দেখেছি। হেসেছি। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করা হোক বা না হোক, দুইটা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে-
১. জামাত যেন কোনদিনই রাজনীতি করতে না পারে।
২. জামাতের নেতা ও কর্মীদের লিস্ট ওদের কাছেই আছে, সেইসব লোক যেন করতে না পারে, সেটা আইন করে বন্ধ করতেই হবে।
কারণ জামাতিরা কতবড় পারভার্ট এটা এই ব্লগে ব্লগিঙ করে এমন প্রতিবন্ধীও জানে। ওরা রাজনীতি করার সুযোগ নিজ দলে বা অন্য দলে পেলে আর কথা নাই। একেবারে শেষ।
জামাতের আদর্শ ও বুদ্ধিজীবী হত্যার ব্যাকগ্রাউন্ড
মৌদুদী বলেছিল, ইসলাম (পড়তে হবে জামাতের ধর্মটি) কোন ধর্ম নয়, এ হল আন্দোলন!
তাই জামাতিরা কোনদিনই ক্ষমতার স্বপ্ন ছাড়বে না। আর বাংলাদেশে ছাড়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। বুদ্ধিজীবী হত্যার কারণ মাত্র একটাই- এই জাতির পরবর্তী প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষা দেয়ার যেন কেউ না থাকে। জামাতিতের কথায় পাওয়া যায় তার প্রতিদ্ধণি- মাত্র একটা জেনারেশন দরকার তাদের। মাত্র একটা। আর তাই শুনতে পাওয়া যায় বাহাত্তরে ভুট্টো জাতিসংঘে যাবার সময়-
আমার সোনার বাংলা আবার আমার হবে।
নিষিদ্ধ কীভাবে করা যায়?
বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ থাকা সংগঠনের সবাই নিষিদ্ধ ব্যক্তিগতভাবে, কারণ তারা রাজনীতির সুযোগ পেলে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।
আর জামাতিদের উদ্দেশে
একাত্তরে কোন ব্যক্তি রাজাকারি করুক আর না করুক, জামাতি সঙ্গঠন সাঙ্গঠনিকভাবেই রাজাকারি করেছে।
এটা ছিল তাদের প্রতিষ্ঠাতা আবুল মিয়ার নির্দেশ। আবুল জামাতি (জামাতিদের পিতা) একাত্তরেও মিডিয়াতে রাজাকারির নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান থেকে-
*সেই নির্দেশ গোআ, ম.র.নিজামী, আআ মুজাহিদ, ওরা পালন করেছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ সারা বাংলার রেজাকার, আল বদর, আল শামস, শান্তি কমিটি পালন করেছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ বর্তমান জামাত পালন করছে মাত্র।
*সেই নির্দেশ পালনের জন্যই আজো শিবির বলে, 'একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেক বার।'
*সেই নির্দেশ পালন করেই তোরা সব সত্যিকে অস্বীকার করিস। একাত্তরকে অস্বীকার করিস।
*সেই নির্দেশ পালন করেই তুই এখন প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছিস।
*সেই নির্দেশ পালন করেই তুই বাংলাদেশের মানুষকে শত্রু বানিয়েছিস।