দাঁড়িওয়ালা হওয়ার কারণে পুলিশ কারো সাথে জঘন্য আচরণ করবে, তাও বাংলাদেশের পুলিশ?
বাংলাদেশের সব পুলিশ কি ভাই নাস্তিক হয়ে গেছে? তাও আবার কঠোর-বিদ্বেষী নাস্তিক? আর নাস্তিকরাও কি শুধুশুধু দাঁড়ি ধরে টানে?
কই, শোলাকিয়ার ইমামকে দাঁড়ি ধরে তো টানল না।
চট্টগ্রামে হাজার হাজার মাদ্রাসা ছাত্র, মসজিদের ইমাম নেমেছিলেন মাঠে, তাঁদের দাঁড়ি ধরে তো টানল না।
রাস্তাঘাটে বেয়াল্লিশ বছর ধরে কোটি কোটি ধার্মিক মুসলমান চলে। আজ পর্যন্ত আমার দাঁড়িতেও তো কেউ হাত লাগায়নি!
কই, শাহবাগে আসা প্রকৃতপক্ষেই লক্ষ লক্ষ দাঁড়ি ও সুন্নত ওয়ালা মানুষকে তো টানল না।
আপনারা কী বলতে চান? বাংলাদেশের পুলিশ কি মঙ্গলগ্রহ থেকে আমদানি হয়েছে যে দাঁড়িওয়ালা দেখলেই পিটায়?
কার কাছে কি গপ্প করেন?
এই গপ্প আরবদেশে ছড়ানগা, তারা বিশ্বাস করবে, দাঁড়িওয়ালার উপর নির্যাতন হচ্ছে। আরো পেট্টোডলার পাবেন। আরো পশ্চিমা সাপোর্ট পাবেন।
এটা হল আপনাদের অস্তিত্ব রক্ষা করার গোয়েবলসীয় চাল।
কালকে থেকে চেষ্টা করেছি, ভদ্রমুখ আর যেন নষ্ট না হয়।
আপনারা সব সময়ই প্রচার করে এসেছেন এইসব কথা।
বলেছেন, দাঁড়িওয়ালা মানেই জামাতি। উহু জনাব, সারা পৃথিবী এখন জানে, দাঁড়িওয়ালা মুসলিম মানেই জামাত বিরোধী, ২০% দাঁড়িওয়ালাও জামাতি নয়। কারণ জামাতিরা সুন্দর করে দাঁড়িও রাখে না।
আপনারা আপনাদের অননুমোদিত সমাবেশে বলেছেন, আলেম ওলামার সমাবেশে পুলিশ গুলি ছুড়ল।
প্রকৃত অর্থে, আপনাদের সাঙ্গঠনিক সমাবেশ এ পুলিশ ফাঁকা গুলি আর রাবার বুলেট মেরেছিল।
আপনারা আলেম ওলামা বেচে খাচ্ছেন। বাংলাদেশের মানুষ তো দুদু খায়, আলেম ওলামারা যে জামাতকে পুরোপুরি রিজেক্ট করেছে তা এখনো জানে না?
শিবির যদি ঠিক মসজিদের নামাজের জামাতের সময় ঝটিকা আক্রমণ করে, তারপর মসজিদের ভিতর ফটোগ্রাফার রেডি করে রেখে ছুটে গিয়ে জামাতে শামিল হয়, তখন পুলিশের সময় আছে বুট খোলার? আর এমন ছবি তোলার জন্য সেটআপ রাখাতে বহু ধন্যবাদ শিবির কর্মীদের। আর একটা কথা, ফিতনা সৃষ্টিকারীকে মসজিদের ভিতরই নামাজরত অবস্থায় কতল করতে পাঠিয়েছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসটা আপনারা জানেন? পুলিশ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে ধরার জন্য ঢুকতে পারে, এটা শরীয়তসম্মত, এবার চলবে?
শিবির না সৌদি টাকায় চলে? সৌদি আরবের ফোর্স মসজিদুল হারামের ভিতর বুট পরে ঢুকে যায় তখন জামাতি ধর্মের মহাভারত অশুদ্ধ হয় না? ধর্ম ইসলাম আর জামাতে ইসলাম ক্রমেই আলাদা উপনীত হচ্ছে।
এই সংগঠনটার কাজ মাত্র একটা। বাংলাদেশের বদনাম করা। একাত্তর থেকে আজ অবধি।
আপনারা এখনো নয়া বাঁশের কেল্লায় বলে বেড়াচ্ছেন,
আমাদেরকে নাকি ধরে ধরে জোর করে শাহবাগ নেয়া হচ্ছে। এতবড় কাতুকুতু অবোধ ছাড়া আর কে দিতে পারে? সত্যবাদিতার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দরকার: ইবনে সিনায় যাব? নাকি ই. ব্যাংক হাসপাতালে?
আর এই জিনিস গিলছে নয়া বাঁশের কেল্লার পনের হাজারের বেশি বুদ্ধিমত্তাপ্রজননরহিতপ্রাণী।