কদিন আগে রোহিঙ্গাদের ধর্ষন করে, বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছিল বার্মিজরা। শাহবাগিরা তখন চুপ। প্রাণ বাঁচানোর আশায় অজানার উদ্দেশ্যে সাগরে নেমেছিল কিছু রোহিঙ্গা। একটু আশ্রয়ের জন্য সে কী আকুতি! আশ্রয় মেলে নি। শাহবাগিরা তখনও চুপ। এমনকি কিছু কিছু শাহবাগি তখন খুশিতে বগল বাজিয়ে রোহিঙ্গা নিধনের পক্ষে কথা বলেছিল। …
আজ বার্মিজদের গুলিতে বিজিবি মারা যাওয়ায় এরাই আবেগাপ্লুত হয়ে মায়াকান্না দিয়ে নিউজফিড ভাসিয়ে দেশপ্রেমিক সাজার চেষ্টা করছে।
মিজানুর হত্যায় অবশ্যই আমরা ক্ষুব্ধ, শোকাহত, আই রিপিট ইট, মিজান হত্যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, আমরা ক্ষুব্ধ।
কিন্তু, শাহবাগিদের প্রতি প্রশ্ন হচ্ছে, মিজানুর আর একজন রোহিঙ্গার মধ্যে পার্থক্যটা কি? মিজান বর্ডারের এই পাশে আর রোহিঙ্গারা বর্ডারের ওই পাশে! তাই একজনের হত্যায় তোমরা খুশি হও, আরেকজনের হত্যায় মায়াকান্না দেখাও!
হে মানবতাবাদীর অভিনেতারা! তোমরাই বলো, সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহলে তোমাদের এই দ্বিমুখী খেলা কেন? যদি আসলেই তোমরা মানবতাবাদী হতে, রোহিঙ্গা হত্যাও তোমাদের কিছুটা হলেও নাড়া দিতো! মানুষ মানুষই। সে আফ্রিকার কালো আদমী হোক, ইংল্যান্ডের সাদা চামড়ার হোক, আর মরুভূমির বেদুইনই হোক। অত্যাচারের শিকার হয়ে মানুষের মৃত্যু কোন মানুষই মেনে নিতে পারে না! …
আসলে, শাহবাগিরা কোন মানুষের কাতারেই পড়ে না। মানবতা তো বহুদূর!
… বি এ হিউম্যান, ডোন্ট বি এ শাহবাগি!