হে মানব!
তুমি নদী নও যে তোমার উৎস হিমালয় কিংবা কাঞ্চন জঙ্ঘা হবে।
হে মানব!
তুমি বৃক্ষ নও যে তোমার শিকড় থাকবে।
মানুষের তুলনা শুধু মানুষই। মানুষকে আল্লাহ্ পাক জ্ঞান দিয়েছেন, বুদ্ধি দিয়েছেন আরো দিয়েছেন দ্বীন। এই দ্বীন মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধির নাগালের মধ্যে রেখেছেন। যে এই দ্বীনের বিরোধীতা করে সে জেনে শুনেই করে। যখন সে বেপরোয়া হয় তখনই সে আল্লাহ্র হুদুদের বাইরে পা রাখে। আপন মতবাদে সন্তষ্টি তাকে সীমালঙ্ঘনে উৎসাহ যোগায়। তখন সে অনেক দূরের বস্ত দেখতে পাচ্ছে মনে করে। অনেক দুর্বোধ্য কিছু বুঝতে পারছে বলে মনে করে। অথচ তারা খুব কাছের জিনিসও দেখতে পায় না; সহজ সত্যকে উপলব্ধি করতেও ব্যর্থ হয়। তারা শুধু অহংকারকে বৃদ্ধি করে। অন্যের অস্তিত্বকে কলুষিত করার ফন্দি-ফিকির করে।
সে কি জানে না, প্রত্যেক মানুষকে দুইবার করে প্রসাবের রাস্তা অতিক্রম করে দুনিয়াতে আসতে হয়েছে? তার সৃষ্টির দুই নিকটতম উৎসের করলেই মাথা নীচু হয়ে যাবে, অহংকার তার পায়ের তলায় আশ্রয় নেবে।
রাহমানুর রাহীম তাকে সুন্দর অবয়ব দিয়েছেন, দুনিয়াতে আসার পর ইজ্জত দিয়েছেন, সম্মানিত করেছেন, দ্বীনের দৌলত নসীব করেছেন, তার পবিত্র সত্ত্বাকে সিজদাহ করার অনুমতি দিয়েছেন।
মানুষ তার জন্মের উৎস থেকে শুরু করে জীবনের বিচিত্র গতি আর পরিণতির কথা স্মরণ করবে, অজান্তে তার অন্তরাত্মা বলে উঠবেঃ আল্লাহু আকবার- রাহমানুর রাহীম তুমিই শ্রেষ্ঠ।