একাত্তরের বিশিষ্ট্য মুরগী চোর নাস্তিক্যবাদীদের কুখ্যাত চেতনাজীবি গুরু শাহরিয়ার কবীর নাকি বলেছে "অনুষ্ঠানের শুরুতে বিসমিল্লাহ এবং বক্তব্যের শেষে আল্লাহ্ হাফেজ বলার দরকার নেই।" এসব নাকি জিয়াউর রহমান চালু করেছেন। এতে পাকিস্তানী ভূত রয়েছে।
সে দাবী করেছে সে নাকি বিসমিল্লাহ'র বিরুধীতা করে নি। বিসমিল্লাহ'র যদি নাই করলি তাহলে অনুষ্ঠানের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে আপত্তি করছিস কেন হে কমিউনিজমের পদলেহী নাস্তিক্যবাদী মুরগী চোর??
রাসুলুল্লাহ সাঃ আমাদের আদেশ করেছেন প্রত্যেক কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে। বিসমিল্লাহ বলে শুরু করতে। আর মুরগী চোর বলছে বিসমিল্লাহ বলার দরকার নেই। এটা জিয়ার প্রচলন। পাকিস্তানি ভূত। "আল্লাহ্ হাফেজে" ও তার আপত্তি। মুরগী চোরের ভাষাজ্ঞান দেখেও অবাক হতে হয়। এটা নাকি উর্দু-ফারসি মিশেল। এই বেটা মুরগী চোর তুই যে বললি "আল্লাহ্ হাফেজ" উর্দু-ফারসি মিশেল। আল্লাহ্ তো আরবী শব্দ অন্য কোন ভাষায় যার রুপান্তর নাই। তাহলে উর্দু-ফারসী কোত্থেকে আবিষ্কার করলি?? উর্দুর প্রতি তোর যদি এতই আপত্তি থাকে তাহলে তোর স্বাধীনতার চেতনাবাজ দলের নাম থেকে উর্দু "আওয়ামী" শব্দ বাদ দিয়ে দেখা।
বাঙলার বিরানব্বই ভাগ মুসলিম তোর মত নাস্তিক্যবাদী নয় যে ভিন্ন ভাষার খুঁড়া অজুহাত তুলে "আল্লাহ্র নামে/আল্লাহ্র জন্য/বিসমিল্লাহ" বলা কিংবা "আল্লাহ্ তায়ালা রক্ষা করুন/আল্লাহ্ হাফেজ" বলা ত্যাগ করবে।
"আল্লাহ্ হাফেজ" মানে "আল্লাহ্ তায়ালা রক্ষা করুন"।
এটা একটা দুয়া। কোন নাস্তিক কী কখনো চাইতে পারে আল্লাহ্ তায়ালা কাউকে রক্ষা করুন। কখনোই না। কারণ সে তো আল্লাহ্ তায়ালাকেই বিশ্বাস করে না। এই মুরগী চোর যদি আল্লাহ্ তায়ালাকে বিশ্বাস করতো তাহলে অবশ্যই "আল্লাহ্ হাফেজ" বলতে আপত্তি করত না। মূলত জিয়াউর রহমান ভূত, পাকিস্তানি ভূত এসব কিছুই না। এসব নাস্তিক্যবাদীদের আসল লক্ষ্যই হচ্ছে ইসলাম, ইসলামী মূল্যবোধ, জীবন ব্যাবস্থা, আদর্শ। তাই এরা কখনো বিএনপির ধুয়া তুলে, পাকিস্তানের ধুয়া তুলে, মুক্তিযুদ্ধ ও চেতনার ধুয়া তুলে ইসলামী মূল্যবোধের উপর আঘাত হানে।
এসব নাস্তিক্যবাদীদের ঠিক করার জন্য আজ উমর ইবনুল খাত্তাব, মুহাম্মাদ বিন মাসলামার মত বীরপুরুষদের দরকার ছিল। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করুন আমরা রাসুল প্রেমিক বীর সাহাবীদের অনুসরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছি।