ব্যাটালিয়ন,,,,,,,,,, সাবধান হবে,,,,,,,,সা,,
,,,,আ,,আ,,,আ,,,ব,,,ধা,,,ন,,,,,
-> হঠাৎ করেই আজ মনে পড়ে গেল সেই সকাল গুলোর কথা,,,
যা ই হোক,,আমার কয়েকজন বন্ধুর তাগাদা আর শ্রদ্ধেয় বড়ভাই আশরাফুল নবী ওসমানী"" ওনার ডাইরেক্ট নির্দেশেই বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে পোষ্ট করা শুরু করলাম,,,,
""""জার্মানদের ফ্রান্স যাত্রা"""
[১৭৯২ থেকে ১৮২৪ পর্যস্ত জার্মানী ফ্রান্সের পদানত ছিল।১৮০০ খ্রীষ্টাব্দে হোয়েনলিন্ডেনের যুদ্ধে অষ্ট্রিয়াকে পরাজিত করে ফরাসীরা ব্যাভেরিয়া প্রদেশের রাজধানী মিউনিখ শহর অধিকার করে। ১৮০৫ সালে নেপোলিয়ান ব্যাভেরিয়ার নির্বাচিত প্রতিনিধি কে রাজা করে একটি শর্তে। প্রতিটি যুদ্ধে তিরিশ হাজার সৈন্য দিয়ে ফরাসীদের সাহায্য করতে হবে।১৮০৬ খ্রীষ্টাব্দে "" চরম অবমাননায় জার্মানী" শিরোনামে একটা বিজ্ঞপ্তি প্রচার হয়। প্রচারক জোহানস ফিলিপ পাম কে পরে অত্যাচার করে প্রহসনের বিচারের পরে নেপোলিয়ানের নির্দেশক্রমে ২৬ শে আগষ্ট ব্রানাউয়ের মাটিতে গুলি করে মারা হয়।যেখানে তাকে মারা হয়, সেখানে পরবর্তীতে স্ট্যাচু গড়ে উঠে------- মাইন ক্যাম্ফ]
*
কে জানতো সেই ব্রানাউ এম নামক গ্রামেই ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে এ্যালোয়িস ও ক্লারা পোলজের ঘরে জন্ম নেবে বিশ্ব কাঁপানো এক চেতনা।
বলছি অ্যাডলফ হিটলারের কথা।
আদ্যি কাল থেকেই ফ্রাঙ্কো-প্রুশিয় দ্বন্দ্ব লেগেই আছে।সে দ্বন্দ্বের নতুন মাত্রা এসে যুক্ত হয় বিসমার্কেরর আমলে।তখন জার্মানরা আবার প্রাধ্যান্য বিস্তারের সুযোগ পায়।আমাদের আলোচ্য বিষয় বিশ্বযুদ্ধ বিধায় আলোচনার মোড় ওইদিকে ঘুরছে না,,,,
** আমি আমার লেখার সুবিধার্থে আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফ্রান্স -জার্মান দ্বৈরথ নিয়ে আলোচনা করবো।
**১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর। নাৎসী জার্মানী যখন পোল্যান্ডে আক্রমন শুরু করলো তখন পোল্যান্ড ফ্রান্স ও বৃটেনের কাছে জরুরি সামরিক সহায়তা কামনা করলো।যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপক অনুরোধ পাওয়া স্বত্তেও হিটলার নিরুত্তর ছিলেন।অনেক উন্মুক্ত পোলিশ শহরে বোমা পড়তে থাকে।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর বৃটেন,ফ্রান্স,কানাডা,নিউজিল্যান্ড এবং অষ্ট্রেলিয়া জার্মানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
*** ১৯৩৯ সালে এরিক ভন ম্যানস্ট্যাইন,হ
্যাডলার,গুইদেরিয়ান সহ একদল উর্ধতন জার্মান সামরিক অফিসার কর্তৃক উত্তর ফ্রান্সে ফরাসীদের শোচনীয়ভাবে পরাজিত করার পরিকল্পনা করেন।এ পরিকল্পনার চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিলো ম্যাজিনো লাইন এড়িয়ে ( ম্যাজিনো লাইন- তৎকালীন জার্মানী ও ফ্রান্সের বর্ডারে ফ্রান্স কর্তৃক নির্মিত প্রতিরক্ষা দেয়াল) ফরাসী সরকারকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করা।১৯৪০ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারী হিটলার এ পরিকল্পনার অনুমোদন দেন।
ফেডার ভন বক ৯ম পাঞ্জার ডিভিশন(জার্মান ভাষায় ট্যাংক ডিভিশন কে বলা হত পাঞ্জার ডিভিশন) নিয়ে ব্লিৎসক্রিগ রণকৌশলের আশ্রয় নিয়ে দ্রুতবেগে নেদারল্যান্ডের দিকে এগিয়ে যায়।বেলজিয়ামও আক্রান্ত হয়।বেলজিয়ামের সুরক্ষা ফ্রান্সের বর্ডারের নিশ্চয়তা।তাই ৭ম ফরাসী আর্মি ওলন্দাজ ও বেলজীয় বাহিনীকে সহায়তা দানে এগিয়ে আসে।এদিকে জার্মান কমান্ডার অরউইন রোমেলের নেতৃত্বে ৭ম পাঞ্জার, হেইঞ্জ গুইদেরিয়ানের নেতৃত্বে ১৯তম পাঞ্জার, গার্ড ভন রুডেস্টাডের নেতৃত্বে ৬ষ্ঠও৮ম পাঞ্জার ম্যাজিনো লাইনের উত্তর দিকে ঘন জঙ্গলে আবৃত আধা পাহাড়ি আর্দেনিজ এলাকা ধরে ফ্রান্সের দিকে এগিয়ে যায়।ফরাসীদের ধারনা ছিলো জঙ্গলের মধ্যদিয়ে কোন ট্যাংক চলাচল অসম্ভব।কিন্তু তাদের ধারনা মিথ্যা প্রমান করে দিয়ে ১২ মে'র মধ্যে ৭ টি পাঞ্জার ডিভিশন মিউজ নদদীর কিনারায় পৌছে যায়।(চলবে,,,,,,,,,)
★★★
ব্লিৎসক্রিগ-> বিদ্যূৎ গতিতে হামলা।জার্মান টেকনিকে, আকাশে শত শত জঙ্গীবিমান বোমারু বিমান সমেত ভূমিতে বৃহদায়তন আর্টিলারী সাপোর্টে ট্যাংকের সমর্থনপুষ্ট পদাতিক বাহিনীর দ্রুতগামী হামলা ই হলো ব্লিৎসক্রিগ।
* শুরুতেই একটা ভাবনায় ছিলাম,কোথা থেকে শুরু করবো।উপরের লেখাটার একটা বড় দুর্বলতা আছে।যাদের ভূ-রাজনীতি সম্পর্কে ধারনা কিংবা সামরিক শব্দগুলোর সাথে যারা পরিচিত নন,তারা সম্ভবত বুঝতে পারবেন না।আমি বর্ননার ধারাবাহিকতা রক্ষায় অনেক খুটিনাটি বিষয় এড়িয়ে গেছি।আশাকরি আপনাদের আগ্রহ থাকলে সেগুলোর অবতারনা ও ব্যাখ্যা দিতে পারবো।( উৎস--উইকি;দ্যা হিস্টরি অনলাইন ভিত্তিক; মাইন ক্যাম্ফ -এডল্ফ হিটলার; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ট্রাজেডি -সাহাদত হোসেন খান; হিটলার ওয়াজ মাই ফ্রেন্ড- হেইনরিচ হফম্যান;
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬