''অগনিত মানুষ, গ্রাম, নগর, লোকালয় ছেড়ে
এইখানে এসে গিয়েছি থামি
নদীর বুকে ঢেউ খেলে যেথা সুবিশাল অস্থিরতা
আর ঐ দূরে দিগন্ত গিয়েছে নামি ।
বাংলার নদী আর ওপার দিগন্তে সূর্য লাল
মোহন ভাল লাগা গোধূলির খেলা
এই সব দেখে দেখে ভুলে যাই আকাল
কেটে যায় দিন মোর কেটে যায় বেলা ।
রাতের আকাশে ওঠে মেঘের ভাঁজে রূপালী চাঁদ
জ্যোৎস্না নেচে যায় গাছের পাতায়
সেই সাথে নেচে যায় মন দুলে ওঠে জীবনের সাধ
আলো আঁধারির খেলা দেখি গাছের ছায়ায় ।
আষাঢ়ের মেঘে মেঘে ছেয়ে যায় সূর্য-রবি
কলকল জল নামে অবিরল
এই সব দেখে দেখে গেয়ে ওঠে ভেতরের কবি
বৃষ্টির পরে দেখি আলো ঝলমল ।
ঘাসের শিশিরে ঝরে পড়ে বিন্দু সম রাতের কণা
কালোতে অন্ধকার আলোতে মুক্তোর দানা
তার সাথে মিশায়ে মনের মাধুরী আর গভীর চেতনা
দেখি বিশ্বয়ে প্রকৃতির আরাধনা ।
হেলেঞ্চা আর দূর্বা ঘাসে বসে দেখি বৈকালী রোদ
লুটিয়ে পড়ে দ্রুত আকাশের সীমানায়
প্রশান্তির আলো ছড়ায় আর জাগায় অনাবিল বোধ
অবশেষে সকলি মিলায় আকাশের ঐ দূর নীলিমায় ।''
কবিঃ রুদ্র আতিক, সিরাজগঞ্জ
৬ আষাঢ় ১৪২৬ বঙ্গাব্দ ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৪৮