somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আংতঙ্কিত আমি, কাটাই অস্থির প্রহর দিবানিশি

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি.....

সত্যিই বাসি কিন্তু এই সোনার বাংলাতে আজি চলাফেরা করতে ভীষণ ভয় পাই। যাদের হাতে ক্ষমতা, যাদের হাতে অস্ত্র তারাই আজ যা খুশী তাই করছে। যে সন্ত্রাসী হউক কিংবা সরকারী পালিত কোন দলই হউক (র‌্যাব,পুলিশ...)

প্রতিটি দেশেই জনগনের সুবিধার্থে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী থাকে। তাদের দায়িত্ব জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশ্বের মনে হয় আমরাই একমাএ সৌভাগ্যবান(!) জাতি যারা নিরাপত্তা প্রদানকারী বাহিনীর কাছে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগী। পুলিশ নাকি জনগনের বন্ধু...!! এই কথা শুনলে যে অনুভূতি হয় তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারি না যখন মনে হয় এই বন্ধুরাই জনগনের হাতে তুলে গনপিটুনীর জন্য.........

বাংলাদেশে যখন র‌্যাব গঠিত হয় এবং তাদের কার্য্যক্রমে আমরা সাধারন জনগনরা কিছুটা হলেও স্বস্তি লাভ করেছিলাম। কিন্তু আজকাল উনাদের কর্য্যক্রম আপনাদের স্বস্তি দেয় কিনা জানি না তবে আমি কোন স্বস্তি পাই না বরং অস্থিরতায়,আতংকে থাকি। কারন আজ র‌্যাব মানেই মৃত্যু। কিন্তু মৃত্যুই কি সব কিছুর সমাধান?? হয়তো আজকাল আমরা তাই-ই ভাবি..... এজন্যই মানুষকে মারতে,নিজের হাতে আইন তুলে নিতে আমরা এতটুকুও কুন্ঠা বোধ করি না।

দেশের শান্তি শৃংঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে যেমন আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা অসীম তেমনি মিডিয়াও একটি বিশাল শক্তি। আজকাল আমাদের আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী যেমন কুলুষিত হয়ে গেছে তেমনি মিডিয়াও আজ এক শ্রেনীর রক্ষাবাহক ও সংবাদ পরিবেশনার কাজ করে যাচ্ছে (যদিও সবাই এক নয় কিন্তু ভালোর পরিমান এবং তাদের কাজের পরিধি খুবই সংকীর্ণ) যাতে আমার অস্থিরতা দিন দিন বেড়েই চলছে। আজকাল র‌্যাবের প্রতিটি হত্যা কান্ডের পর আমরা যে সংবাদ পাই তা আর বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। আমরা সাধারন জনগন হয়তো কিছুই করতে পারিনা কিন্তু প্রতিদিন তো ঘাস খাই না........অন্তত সাধারন জ্ঞাণ-বুদ্ধি তো আমাদের আছে। যা দ্বারা আমরা এতটুকু তো বুঝতে পারি যে ইচ্ছেমতো ছাই পাশ বক্তব্য আমাদের জোর করে গিলানো হচ্ছে।

আমার এই পর্যন্ত লিখা পড়ে হয়তো কেউ কেউ বলতে পারেন- যারা মরে তারা কি খুব ভালো নাকি?? তাদের নিয়া আপনার এতো দরদ ক্যান!!!!
আমি শুধু এইটুকুই বলতে চাই.... কোনদিনও সন্ত্রাসীর সমর্থন দেই না কিংবা সন্ত্রাসী কার্য্যকর্মেরও সমর্থন করি না। মৃত্যু তো সব কিছুর সমাধান হতে পারে না। মানবিক চিন্তা করলেও তো আঁতকে উঠার কথা যে আত্নপক্ষের কোন কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই এইভাবে হত্যাকান্ড ঘটানো কতটা যুক্তি সংঙ্গত? আর সরকারী বাহিনী কিংবা অস্ত্র ব্যবহার করার বৈধতা আছে বলেই তাদের সব কর্মকান্ডই বৈধ নাকি? যারা মারা যাচ্ছে তারা সবাই কি ভয়ংকর? বাংলাদেশে এর চেয়েও ভয়ংকর লোকজন প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াচ্ছে আমাদের আশেপাশে যাদের এতো ক্ষমতা যে তাদের লোম স্পর্শ করার ক্ষমতাও আমাদের প্রশাসনের নেই। সরিষার মধ্যে যদি ভূত থাকে তবে সেই সরিষা দিয়ে কি আর ভূত তাড়ানো যায়??


আমি কঠিন হিসাব কিতাব বুঝি না। সাধারন জনগন হিসেবে নিজের নিরপত্তা চাই। সন্ত্রাসীদের কাছে থেকে এবং সরকারী অস্ত্রধারীদের কাছ থেকেও। না হলে হয়তো একদিন আমিও কোন এক রাস্তারধারে পড়ে থাকবো এক মস্তবড় সন্ত্রাসী পরিচয়ে। সংবাদ পত্রে ফলাও করে আসবে র‌্যাবের/পুলিশের/দু'পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে অমুকের মৃত্যু ও অনেক অস্ত্র উদ্ধার।

অথচ খবরের অন্তরালেই থেকে যাবে মৃত যুবকের পকেটে ছিলো মায়ের জন্য কেনা ঔষধ কিংবা আদরের স্ত্রী বা কন্যার জন্য কেনা লাল চুড়ি.............

...................................................................................................


যখন আমি এই লেখাটি পোষ্ট করি তার কিছুক্ষন পরেই জানতে পারি আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনের এক উজ্জল নক্ষত্রের পতনের সংবাদ............. মৃত্যু চিরন্তন সত্য কিন্তু এমন মৃত্যু মেনে নেয়া সত্যিই অনেক কষ্টের। প্রথমে বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো। প্রতিদিন,প্রতিনিয়তন ঝরে যাচ্ছে অমূল্য কত প্রাণ। আমরা কি এমন একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম যেখানে আমাদের জীবনের কোন মূল্য নেই? প্রতিনিয়ত অংতঙ্কিত প্রহর কাটাতে হয়... আজকাল মনে হূয় আমার সোনার বাংলাতে সব কিছুর মূল্য বাড়লেও দিন দিন কমছে মানুষের জীবনের মূল্য। তাই বিধাতার কাছে সব প্রার্থণার সাথে এই প্রার্থণাও করতে হচ্ছে....... আল্লাহ..আমার মৃত্যুটা স্বাভাবিকভাবে করো


যারা চলে গেলেন তারা আর ফিরবেন না। সময়ের স্রোতে হয়তো এদের কথাও এক সময় বন্দী হয়ে যাবে নির্দিষ্ট মৃত্যু দিবসের গন্ডিতে। সরকার,প্রশাসনের নিকট একজন সাধারন মানুষ হিসেবে আকুল আবেদন দয়া করে এই ঈদ মৌসুমে নতুন করে আর একটি জীবনও যাতে ঝরে না যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

জীবন একটাই............. সময় মূল্যবান কিন্তু জীবন তাঁর চেয়েও বেশী। দয়া করে সবাই সাবধানে থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:২০
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×