somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনে আর কোন দিন বিদেশীদের টাকা ভাংতি দিমু না!!!X((X(X((X(X((X(

১১ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েক দিন আগের ঘটনা।
সারা দিনের ব্যস্তাতার শেষে বিকেলে অফিসে বসে আছি। এর মধ্যে একজন বিদেশী অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে আমাকে ১০০০টাকার একটি নোট দেখিয়ে বললো, আপনার কাছে ভাংতি হবে? আমি সত্যি বলতে খুব কমই ভাংতি দেই, কারন পরে দেখা যায় নজেই ভাংতি সংকটে পরে যাই। আমি তাকে ভাংতি নাই বলতে যেয়ে ভাবলাম, বিদেশি মানুষ কেনা কাটা করতে এসে ভাংতি পাচ্ছে না এটা ঠিক না। আমি তাকে ভিতরে আসতে বললাম। লোকটি ভিতরে প্রবেশ করতে করতে তার সাথে আরো একজন বিদেশী লোক প্রবেশ করলো রুমে। আমি তাদের বসতে বললাম। কিন্তু তারা বসবে না। আমি ড্রয়ার থেকে দুটি ৫০০টাকার নোট বের করে তার হাতে দিলাম। সে নোট দুটি হাতে নিয়ে আমাকে একটি ফিরিয়ে দিয়ে বললো এটাকে বদলে দিতে। আমি বদলে আরেকটি নোট দিলাম। এবার সে আমাকে বললো, না তার অন্য কোন রং বা ডিজাইনের টাকা চাই। আমি ভাবলাম আমারটা পুরাতন ৫০০টাকার নোট। লোকটি হয়তো নতুন নোট চাচ্ছে। আমি জানি আমার কাছে নেই, তাই আমি তাকে আবার না করলাম যে আর কোন নোট নেই, নিলে এটাই নিতে হবে। তখন সে তার মানি ব্যাগ বের করে বিদেশী একটি নোট দেখিয়ে বললো, সে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন নোট সংগ্রহ করে। আমি তাকে বললাম, এর বাইরে আর কোন নোট নেই। কিন্তু সে মানতে নারাজ। সে আমাকে বললো আপনি ড্রয়ারটা ভালো ভাবে চেক করুন পাবেন। এই বলতে বলতে সে আমার ড্রয়ারে কাগজের খাম দেখিয়ে বললো, এটার মধ্যে দেখুন। আমি অবাক হলাম এখানে টাকা আছে ও জনলো কি করে?? আমি ড্রয়ার থেকে খামটা বের করে দূরে সরিয়ে রাখলাম। কিন্তু ব্যাটা নাছোড় বান্দা। সে আমাকে অনুরোধ করেই যাচ্ছে। এক সময় আমি অনুভব করতে পারলাম আমি বিষয়টা নিয়ে অনেক বিরক্ত কিন্তু আমি ওদের কিছুই বলতে পারছি না। এবং আমি শেষ পর্যন্ত খাম খুলে টাকা বের করে দিলাম, এটা দেখাতে যে এখানে অন্য রং বা ডিজাইনের টাকা নেই। আমার হাত থেকে কিছু টাকা সে দেখতে নিয়ে ফ্লরে ফেলে দিলে আমি তার উপর নজর রেখেই টাকা গুলো তুললাম। এভাবে আরো অনেকটা সময় কেটে গেলো। আমার সব কিছু এলোমেলো লাগছে। এবং আমার নিজেকেই বিভ্রান্ত মনে হচ্ছে। ঠিক ঐ সময় আমার রুমে পাশের এক ব্যবসায়ী প্রবেশ করলো। এবং এসেই বললো, ড্রয়ারটা বন্ধ করে ওদের সাথে কথা বলেন। এই কথা শুনেই যেন আমি আমার মাঝে ফিরে এলাম। আমি সাথে সাথে ড্রয়ার বন্ধ করে দিলাম। আর ঐ দুই বিদেশী আর অপেক্ষা না করে আমাকে এতক্ষন বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত বলে দ্রুত চলে গেল। এই হলো এই দিনের ঘটনা।


কিন্তু পরের দিন জানতে পারলাম তারা দুজন আমার এখান থেকে বের হয়ে পাশের এক মার্কেটের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এমনি ভাংতি চেয়ে তার ড্রয়ার থেকে ৬০০০টাকা নিয়ে গেছে। এবং আরো জানতে পারলাম যে, তারা বিভিন্ন মার্কেটে এভাবেই ঘুড়ে বেড়ায় আর ভাংতি করার মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করে টাকা নিয়ে চলে যায়। /:)/:)/:)

অতএব সাবধান হোন অন্ততো বিদেশী কাউকে টাকা ভাংতি দেওয়ার আগে। আমি ঐ যাত্রায় বেঁচে গেছি বিপদের হাত থেকে। আমার কাছ থেকে কোন টাকা নিতে পারে নাই। আল্লাহ্‌কে অসংখ্য ধন্যবাদ ঐ বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য।
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×