somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি সাধারন প্রেমের গল্প

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অমির মনটা ভাল নেই একদম। সব সময় কেমন অস্থির অস্থির লাগে। কোথাও মন বসে না - না বাসায়, না বন্ধুদের আড্ডায়। সেদিন খাবার টেবিলে যখন অন্যমনস্কভাবে আকাশ পাতাল ভাবছিল তখন অমির আম্মু জিজ্ঞেস করছিলেন, "কিরে অমি, খাচ্ছিস না যে! কখন থেকেই দেখছি খাবার নিয়ে শুধু নাড়াচাড়া করছিস। তোর কি হয়েছে বলতো বাবা।"
-"কই, কিছু হয়নি তো আম্মু"!
-"নাহ, কিছু একটা তো নিশ্চয়ই হয়েছে, মুখটা শুকনা শুকনা লাগছে। ক'দিন থেকেই দেখছি তুই কেমন অন্যমনস্ক থাকিস। ঠিকমত কারো সাথে কথা বলিস না, কোথাও স্থির হয়ে বসতে দেখি না। ক্লাসেও তো মনে হয় তেমন যাস না আজকাল! কোনো কারনে মন খারাপ? রিনির সাথে আবার ঝগড়া করেছিস?"
অমি শুকনো হাসি হেসে বলেছে, "রিনির সাথে শুধু শুধু ঝগড়া করতে যাব কেন?"
- "এটা তো নতুন কিছু না, তোরা তো মাঝে মাঝেই ঝগড়া করে কথা বন্ধ করে দিস দেখি। আবারও এমন কিছু হয়েছে?"
- "না আম্মু, ঝগড়া টগড়া কিছু না।সামনে একজাম, সেটা নিয়েই বিজি আছি, তাই হয়তো চুপচাপ দেখো আমাকে।"
- " ও আচ্ছা, তাহলে তো ভালই! রিনিকে যে আর দেখি না অনেকদিন। বাসায় আসতে বলিস একদিন। ওর ফেভারিট পায়েশ করে রাখব।"
- "ঠিক আছে আম্মু, ক্লাসে দেখা হলে বলব"।
অমি তার আম্মুকে বলতে পারেনি, রিনি কিছুদিন থেকেই ক্লাসে আসছে না। সে কারনেই তার মনটা খারাপ। ক্লাসেও যেতে ইচ্ছা করে না।
কয়েকদিন আগে রিনি হঠাৎ করেই ক্লাসে আসা বন্ধ করে দিল। প্রথম প্রথম ফোন করলে ঠিকমত রিসিভ করত না, রিসিভ করলেও কথা বলতো না বেশি। কি হয়েছে জানতে চাইলে শুধু বলতো, কিছু হয়নি রে, মনটা ভাল নাই, তাই ক্লাসে যেতে ইচ্ছা করে না। কেন মন ভাল নাই তারও কোনো উত্তর দিত না, ফোন রেখে দিত। কয়েকদিন এরকম দেখার পরে অমি নিজেই রিনিদের বাসায় উপস্থিত হয়েছিল। বাসায় ঢুকেই সোজা রিনির রুমে। এ বাসার সবকিছু অমির চেনা। পরিচয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই রিনি অমিকে তাদের বাসায় নিয়ে এসেছে, ওর বাবা মা, ভাই ভাবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। অমিই এখন রিনির সব থেকে কাছের বন্ধু, বলা যায় একমাত্র বন্ধু। কাজেই এ বাসার কোনো রুমে যেতে অমির বাধা নেই বিশেষ করে রিনির রুমে - অন্যদের মত ড্রইং রুম পর্যন্ত আটকে থাকতে হয় না।
অমিকে ঘরে ঢুকতে দেখেই রিনি বলে উঠলো, "কি খবর দোস্তো, কোনো খবর টবর না দিয়েই একেবারে বাসায় হাজির! কেমন আছিস?" উত্তরে অমি বলতে যাচ্ছিল, "তার আগে তোর খবর কি বল!" - কিন্তু রিনির মুখের দিকে তাকিয়ে আর কথা শেষ করতে পারল না। মুর্তির মত দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষন। ক্ষণিকের জন্য মনে হচ্ছিল, এ তো রিনি নয়, অন্য কেউ। মুখটা শুকিয়ে এতোটুকু হয়ে গেছে, চোখের নীচে কত দিনের রাত জাগার চিহ্ন, চোখ দুটো কোটরাগত। এ তার চেনা রিনি হতে পারে না। পরক্ষনেই সম্বিত ফিরে পেল রিনির কথায় - "কিরে অমি, হা করে তাকিয়ে আছিস কেন? আমাকে চিনতে পারছিস না?" অমি কি বলবে ভেবে পেল না, অবাক হয়ে ভাবতে লাগল, মাত্র তো কয়েকটা দিন দেখা হয়নি তাদের, এর মধ্যেই কি হলো রিনির যে সবকিছু এমন পাল্টে গেল! চোখের সামনেই রিনিকে দেখছে কিন্তু অমির বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে এটাই তার এতদিনের চেনা রিনি। তার সারা শরীরে যেন ক্লান্তি ভর করেছে, কথাতেও স্পষ্ট ক্লান্তির ছোঁয়া। অথচ ক'দিন আগেও কি প্রান-চাঞ্চল্যে ভরা একটা মেয়ে ছিল রিনি। নিজে অানন্দে ভাসতো, আশে পাশে সবাইকেও হাসি-খুশীতে মাতিয়ে রাখত সারাক্ষন। সেই রিনি কেন এমন হয়ে গেল?
কিছুক্ষনের নিরবতা ভেঙ্গে দিয়ে রিনিই আবার কথা বলল, "আমাকে দেখে খুব অবাক হয়েছিস, না? হবারই কথা, শরীরটা খুব খারাপ হয়েছে। সে জন্যই তো আর ক্লাসে যাই না।"
অমির এখনো ঘোর কাটছে না, কোনো রকমে বলতে পারলো, "কি হয়েছে তোর? আমাকে কিছু জানাসনি ক্যান?"
- জানিয়ে আর কি হবে বল। তোর শুধু শুধু মন খারাপ হতো।
-এটা শুধু শুধু? তোর শরীরের কি হাল হয়েছে দেখেছিস?
-হুম, জানি তো।
- কি হয়েছে তোর, বল।
- জানিস অমি, আমার খুব ভয় করে ইদানিং। আমি মনে হয় আর বাঁচব না।
- কি আবোল তাবোল বলিস। একটু অসুখ করলেই মরে যাবি নাকি! সব ঠিক হয়ে যাবে, দেখিস।
- না রে দোস্তো, সত্যিই বলছি। কতদিন তোর সাথে দেখা হয় না, মনে হচ্ছিল আর কখনো দেখাই হবে না।
- এই তো দেখা হয়ে গেল। একটা ভয় তো কেটে গেল, এখন ওই ভয়টাও ভুলে যা। মনে সাহস রাখ।সব ঠিক হয়ে যাবে।
- তুই বড় পন্ডিত হয়ে গেছিস, না? ডাক্তাররা যেখানে ভরসা দিতে পারছে না আর তুই বলে দিচ্ছিস সব ঠিক হয়ে যাবে!
- কেন ভরসা দিতে পারছে না? কি হয়েছে তোর, বলছিস না কেন?
রিনি অস্ফুট স্বরে বলল, "টিউমার! মাথার মধ্যে।"
অমি ধমকে উঠি বলল, চুপ কর। মুখে যা আসে তাই বলিস। ফাজলামো রাখ দোস্তো, সত্যি করে বল তো কি হয়েছে।
রিনি আগের মতই বলল, ফাজলামো না রে। সত্যিই বলছি।
অমি যখন বুঝলো রিনি সত্যি কথাই বলছে, ফান করছে না, তার বুকটা যেন দুমড়ে মুচড়ে গেল। রিনির জন্য খুব কষ্ট হতে লাগল। কি বলবে কিছুই ভেবে পেলো না। কোনো রকমে জিজ্ঞেস করতে পারলো, "এর কি কোনো চিকিৎসাই নাই? মেডিকেল সায়েন্স তো এখন অনেক এগিয়ে গেছে।"
রিনি ক্লান্তভাবে অমির পাশে বসে বলল, "ডাক্তার বলেছে, অপারেশন করতে হবে। ফিফটি ফিফটি চান্স। অপারেশনে কেউ কেউ সেরে উঠি, সবাই না।"
অমি যেন কিছুটা আশার আলো দেখতে পেল, ব্যাকুল হয়ে জানতে চাইল, "কবে করবে অপারেশন?"
- কিছুটা সময় লাগবে। আগে মেডিকেশন দিয়ে শরীরটাকে অপারেশনের ধকল সইবার উপযুক্ত করতে হবে।
- তোর অপারেশন নিশ্চয়ই ভাল হবে, সব ঠিক হয়ে যাবে, দেখিস।
- দোয়া করিস তাই যেন হয়। খুব বাঁচতে ইচ্ছে করে রে।
সেদিনের পর থেকেই অমির মনটা অস্থির। এই মনে হয় সব ঠিক হয়ে যাবে, আবার মনে হয় যদি ঠিক না হয়। এরপরেও কয়েকবার রিনিদের বাসায় গেছে অমি। রিনির পাশে চুপচাপ বসে থাকে। কেউ বেশি কথা বলে না। মাঝে টুকটাক কথা হয়। রিনি বন্ধুদের খোঁজ খবর নেয়। "সাদিয়ার খবর কি রে? এখনো কি সোহেলটা ওর পিছু লেগে আছে?" অথবা, "রবিনের কথা তো বলিস না, ওর জ্বর হয়েছিল না? সেরেছে?"
- আচ্ছা অমি আমাদের প্রথম যেদিন কথা হয় সেদিনের কথা তোর মনে আছে?
- মনে থাকবে না আবার! এরকম একটা ঘটনা কেউ ভুলে?
- আমাকে দেখে খুব ভড়কে গেছিলি, না? কেমন হা করে তাকিয়ে ছিলি!"
- জ্বী না ম্যাডাম, আমি এতো সহজে ভড়কাই না। তুই কোন শেওড়া গাছের পেত্নি যে তোকে দেখে ভড়কাবো?
- কিন্তু আশাও তো করিসনি যে আমি এভাবে তোর পাশে গিয়ে বসব। তুই তো শুধু দুর থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে তাকাতি আমার দিকে।
- মোটেও না, তুই কি এমন হয়ে গেছিস যে তোর দিকে লুকিয়ে তাকাতে হবে? তবে তোকে আমার পাশে দেখে অবাক একটু হয়েছিলাম সত্যি।
- তাহলেই বল!

সত্যিই প্রথম দিন অমি খুব অবাক হয়েছিল। মাত্র কিছুদিন হলো তারা ভর্তি হয়েছে, খুব বেশি ক্লাসও হয়নি। ক্লাসে বা ক্লাসের বাইরে দু'জন দু'জনকে দেখেছেও, কিন্তু পরিচয় হয়নি সেভাবে, কথাও হয়নি। একদিন ক্লাস শুরু হবার ঠিক আগ মুহূর্তে একটা মেয়ে এসে তার পাশে তড়িঘড়ি করে বসে ব্যাগ থেকে তার নোটবুক বের করে ডেস্কের উপর গোছাতে লাগলো। হঠাৎ করেই মেয়েটিকে তার পাশে দেখে অমি খুব অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। মেয়েটিই কথা বলে উঠলো প্রথম, "কি ব্যাপার, এমন করে তাকিয়ে আছো যে, চিনতে পারোনি? আগেও তো দেখেছো আমাকে!" অমি আমতা আমতা করে বলতে লাগল, "হ্যাঁ ক্লাসে তো তোমাকে দেখেছি মনে হয়।" মেয়েটা কিছুটা রাগের সাথে বলে উঠলো, "জ্বী না, ক্লাসে বা ক্যাম্পাসে না, তারও অনেক বছর আগে তুমি আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে, মনে নেই?" অমি মেয়েটার কথায় আরো অবাক হলো, একে সে ক্যাম্পাসের বাইরে কখনও দেখেইনি, লুকিয়ে দেখা তো অনেক দুরের ব্যাপার। অমিকে চুপ দেখে মেয়েটিই আবার কথা বলে উঠলো, "কী, মনে পড়ছে না তো? অনেক বছর আগে আমি যখন সখীদের নিয়ে স্বর্গের বাগানে ফুল তুলে আর গান গেয়ে বেড়াচ্ছিলাম তুমি তখন দীঘির ঘাটে বসে লুকিয়ে লুকিয়ে আমাকে দেখছিলে, মনে নাই? আমি কিন্তু সবই টের পেতাম!" বলেই মেয়েটা আশ্চর্য সুন্দরভাবে হেসে উঠল - কোথাও যেন রিনিঝিনি শব্দে নুপুর বেজে উঠলো। হাসি কিছুটা থামিয়ে বলল, "আরে ভয় পেওনা, মজা করছিলাম তোমার সাথে। যাইহোক, এটা তো জানো যে আমরা একই ক্লাসের স্টুডেন্ট। আমি রিনি।
অমিও এবার একটু মজা করে বলল, ঋণী? কার কাছের ঋণী?
- আরে বোকা ঋণী না, আমার নাম রিনি, র এ হ্রস্ব-ই রি, ন এ হ্রস্ব-ই নি, রি-নি। এবার বুঝছো, মিও?
- মিও মানে? মিও কে?
- তুমিই মিও।
- আমি অমি।
-ওই একই কথা, অমি কে উল্টালে মিঅ হয়, আমি মিও করে নিয়েছি।
- ও আচ্ছা, তাই নাকি। তা তুমি আমার নাম জানলে কি করে?
- নিজেকে এমন ইম্পর্টেন্ট ভাবার কিছু নাই যে আমি তোমার নাম লোককে জিজ্ঞেস করে বেড়িয়েছি্। ওই তো তোমার নোটবুকের উপরে লেখা আছে।
এর মধ্যে স্যার ক্লাস শুরু করে দিলেন, কথা আর আগালো না। কিন্তু তাদের সম্পর্কটা দিনে দিনে অনেক এগিয়ে গেল। এখন তারা দুজন দুজনের সব থেকে কাছের বন্ধু, রিনির ভাষায় "বেস্টেস্ট ফ্রেন্ড"। যদিও অন্যরা তাদের সম্পর্ক নিয়ে আরো অনেক কিছু ভাবে এবং বলাবলিও করে, কিন্তু তারা তা গায়ে মাখে না। তাদের দুজনেরই এক কথা আমরা শুধু্ বন্ধু।
এভাবে ক্লাস আড্ডা, পড়াশোনা, সবকিছু নিয়ে ভালই কাটছিল তাদের দিন। দেখতে দেখতে তারা ফাইনাল ইয়ারে উঠে গেল কিন্তু সম্পর্কটা বন্ধু পর্যন্তই রয়ে গেল, তা থেকে বেশি উঠতে দিল না, অন্তত তারা তাই ভাবে। এর মধ্যেই রিনিটা এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লো। অমির এখন কিছুই ভাল লাগে না। কোথাও মন বসে না। অস্থির লাগে সারাক্ষণ। কি যেন হলো না, কি যেন পেলো না এমন একটা ভাব। আজ ওরা দুজনে মিলে ঠিক করেছে বাইরে ঘুরতে যাবে। রিনিই অমিকে দুপুরে ফোন করেছিল, "চল না দোস্তো একটু বাইরে কোথাও থেকে ঘুরে আসি। বাসায় থেকে থেকে দম বন্ধ লাগছে।" রিনির কথা মত অমি বিকেলে বের হয়ে গেল রিনিদের বাসার উদ্দশ্যে। সে মনে মনে একটা জায়গা ঠিক করে রেখেছে। ঢাকা থেকে একটু বাইরে তুরাগ নদীর তীরে একটা পলাশের গাছ আছে, এখন লাল পলাশে ভরে গেছে গাছেটা। গাছের নীচেও পলাশ ফুল পড়ে লাল কার্পেটের মত হয়ে থাকে। সেখানেই রিনিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু রিনিদের বাসায় গিয়ে কাউকে বাসায় পেলো না। কাজের বুয়াটা জানালো দুপুরের পরে রিনি হঠাৎই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবাই তাকে নিয়ে হসপিটালে গেছে। অমি জানে রিনিকে কোন হসপিটালে নিতে পারে। সে ছুটে গেলো সেখানে। হসপিটালে গিয়ে শুনলো রিনি এখন কিছুটা সুস্থ, কিন্তু ডাক্তাররা তাকে পর্যবেক্ষনে রাখবে কয়েকদিন। ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে রিনির সাথে দেখা করতে গেল সে। অমির ডাকে রিনি চোখ খুলে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, কিরে কেমন আছিস? সরি দোস্তো, আজ আর বাইরে যেতে পারলাম না। অমি কিছুটা ধমকের সুরে বলল, চুপ করবি তুই? তুই জানিস কতটা ভয় পাইয়ে দিয়েছিলি আমাকে?
- ধুর পাগল, তুই এতো ভয় পাস কেন? আমিই তো এখন আর ভয় পাই না। যা হবার তা তো হবেই।
- কিন্তু আমি ভয় পাই। এই কয়েকটা দিন তোকে ছাড়া চলতে আমার কি কষ্ট হয় তা আমিই জানি।
- তাই নাকি! ঘটনা কি রে দোস্তো, কথাগুলো কেমন রোমান্টিক শোনাচ্ছে! প্রেমে টেমে পড়েছিস নাকি?
- হ্যাঁ, পড়েছিই তো, আগে বুঝিনি, আজ বুঝেছি তুই আমার বুকের কতটা জুড়ে আছিস। হসপিটালে আসার সময় মনে হচ্ছিল, তোকে যদি না দেখতে পাই, কি হবে আমার।
- কিন্তু আগে তো কখনো বলিসনি এসব কথা।
- আগে বলিনি, কারন আগে বুঝিনি, এখন বুঝেছি, তাই এখন বলছি।
- কই, কি বলছিস, বুঝিয়ে বল।
অমি রিনির হাতটা ধের বেডের পাশের মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসে বলল, আমি তোর সব কষ্ট আমার করে নিবো, শুধু তুই আমার হবি?
রিনি তার হাত ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করতে করতে বলল, কি পাগলামী করছিস, তুই জানিস আমার জীবনটা অনিশ্চিত। আর কয়দিন বাচবো তার ঠিক নেই, কেন লোভ দেখাস আমাকে?
- তুই কয়দিন বাঁচবি, কয় ঘন্টা বাঁচবি, জানিনা কিন্তু যদি কয়েক মুহুর্তও বাঁচিস, আমার হয়ে বাঁচবি, বল - বলেই অমি কেঁদে ফেলল।
রিনি তার একটা হাত ছাড়িয়ে নিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে অমির দিকে তাকে রইল আর তার চোখের পানি মুছে দিতে থাকল। তার শুধুই মনে হচ্ছে এই ক্ষন যেন শেষ না হয় কখনো।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০০
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×