ছোট্ট এ জীবন মোর সীমিত স্থায়িত্ব।
তারি তরে অজস্র অসম্পদ, সহস্র অনার্থ করিয়াছি সঞ্চিত।
আয়নার বুকে প্রতিফলিত আলোয় জীবন করেছি রঞ্জিত।
অচিরেই আমি একদিন চলে যাবো, সবই রেখে এ ধরায়।
কিছুদিন থাকিব অতীত হয়ে কাহরো ব্যথিত হৃদয়ে।
তারপর একদিন মুছে যাবে আমার সকল অস্তিত্ব সমস্ত কৃতিত্ব।
ক্ষনকালে উড়ে যাবো কাহারো দীর্ঘ শ্বাসের উষ্ণ হাওয়ায়,
ভেসে যাবো কাহারো তপ্ত আঁখির স্রোত ধারায়।
আমি একদিন বিলীন হয়ে যাবো কাহারো বক্ষ গর্ভে,
যেদিন কেউ থাকিবেনা এ ধরায় আমায় মনে করবে।
পড়িয়া থাকিবে রাজ প্রাসাদ, রাজ সিংহাসন।
আমার এ জায়গায় অস্ফুট কেহ পাতিবে আসন।
আমি তখন চিরপর তাহার প্রতি নিরাধিকার,
অধিকার দাবিলে হব মিথ্যাবাদী তার।
যেদিন ডুবিবে মোর জীবনের অস্তরবি উদয় হইবে না আর,
সে যেন কোন এক সন্ধ্যা লগনে ঝাঁক বাঁধা পাখি আকাশে,
ছুটিছে লক্ষ ফিরিবে নীড়ে, ফিরিতে হয়না খাচায় বন্ধি পাখি আমি,
তবুও ডানামেলি ভুলে।
আজ আমার অনেক অর্জন, অনেক কদর, আছে অনেক সম্মান, বুক ভরা অহংকার।
আবার আমি অকুল সাগরে মাত্র একটি ঢেউয়ের শিকার।
আমি যে খাচায় বন্ধি পাখির আকাশ ছুয়ার অর্থহীন চিৎকার।
ছোট্ট এ জীবনে মোর সুখ আসিয়াছে অনেক বার, যেটুকু সময় ছিল সুখ, দুঃখ ছিল পাহারায়।
ক্ষনপরে হারিয়েছে সুখ দুঃখ্ই রেখেছে বুকে জাড়িয়ে আমায়।
আমি কুন্ঠিত অজ্ঞান অন্ধ নয়ন। সৃষ্টির রূপে মুগ্ধ হয়ে বাজি রাখি এ জীবন ।
কে সেই কারিগর?
এত শৌভন, এত কান্তি কে করিলো সৃজন?
আমি কখনো করিনা তাহার অন্বেষণ!!!
সূর্যের আলোয় আলোকিত চন্দ্র, সূর্য আলোকিত কিসে?
আমার এ দেহ চালায় মস্তিস্ক, মস্তিস্ককে চালায় কে সে?
ভাবি, আমি পাপ পণ্যের কে রাখে হিসাব, কে বিচারক তার?
নির্যাতনের শিকার হয়ে সামলাতে পারিনা আর, তখন যে অদৃশ্যের হাতে ছেড়ে দেই আমার বিচারভার।
সেই দয়ালু সে-ই নিষ্ঠুর তুলনা না্ই যার।
সেইতো প্রভু মোর সর্বোচ্চ ক্ষমাতাবান।
মহা প্রলয়ের সম্মূখে দাঁড়িয়ে বিশ্ব শক্তি ব্যর্থ জানিয়া যার কাছে সাহায্য চা্ই পা্ইতে পরিত্রান।
........................................................................................................................ জসিম
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪