somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্মৃতিকথনঃ ডিপার্টমেন্ট ট্যুর টু সেন্টমার্টিন

২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই লেখাটা বেশ কয়েকদিন আগেই ড্রাফট করেছিলাম। শেষ করতে পারিনি বলে পোস্ট করা হয়নি। অবশেষে আজকে লেখাটা শেষ করতে পারলাম। অনেক দিন পর ব্লগে ঢুঁ মারছিলাম। দেখলাম স্মৃতি নিয়ে অনেক লেখাজোকা চলতেছে। প্রতিযোগীতার সময় কি এখনো আছে না শেষ হয়ে গেছে?

নিজে থেকে বানিয়ে সম্পূর্ণ নতুন কিছু লেখা আমার পক্ষে খুবই দুঃস্যাধ্য ব্যাপার। আমি যদি কখনো কোনো গল্প-টল্প কিছু লিখি তা আসলে প্রকৃত কোনো ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। সেজন্যই স্মৃতিকথা লেখা আমার জন্য তুলনামূলক সহজ। তাই কিছু লিখতে বসলাম।

আমাদের ডিপার্টমেন্টের রীতি ছিল ৩য় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা বিভাগের সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। সেটা হোক নবীণবরণ বা বিদায় অনুষ্ঠান কিংবা শিক্ষাসফর। আমাদের বিভাগের শিক্ষাসফরকে মূলত বনভোজন বা পিকনিক বলা যেতে পারে। তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্র। ঠিক আমাদের ইমিডিয়েট সিনিয়র ভাইদের দায়িত্ব ছিল শিক্ষাসফর আয়োজনের। র‍্যাগিং কালচারের জন্য বড় ভাইদের সাথে আমরা খুবই ফ্রী, বিশেষ করে ইমিডিয়েট সিনিয়রদের সাথে। তাই ট্যুর নিয়ে খুব এক্সাইডেট ছিলাম। তার উপর ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রথমবার সেন্টমার্টিনে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া গেছে।

আমাদের ট্যুর প্ল্যান ছিল ক্যাম্পাস থেকে সোজা টেকনাফ হয়ে সেন্টমার্টিন। কক্সবাজারে থেকে সময় নষ্ট করতে চাই নি। ছাত্রছাত্রী সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন। সম্ভবত তিনটি বাস আগের দিন রাত ৮-৯ টার মধ্যে সেই উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস থেকে ছাড়ে। নুরজাহানে যাত্রাবিরতী ছিল। মাঝে জ্যামের কারণে অনেকটা সময় নষ্ট হয়। সকাল ৮ টার কাছাকাছি সময়ে আমরা চট্টগ্রামে পৌছাই। সকাল ৯ টায় টেকনাফ থেকে শীপ ছাড়ার কথা। শীপ ধরতে পারবো কিনা তা নিয়ে সবাই সংকিত ছিলাম। সেজন্য বাথরুম পেলেও বাস আর থামতে দেওয়া হয় নি। আমাদের বাস থেকে ক্রমাগত শীপের দায়িত্বরত একজনের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অবশেষে আমাদের জন্য একটা শীপ ৯:৩০ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বলে জানায়। কিন্তু বিধী বাম। টেকনাফে পৌছাতে পৌছাতে ৯:৪৫ পার। শীপও আমাদের ছেড়েই চলে গেছে। সারা সকাল মুত্রচেপে রেখে যে কষ্ট পেয়েছি তার চেয়েও বেশী কষ্ট পেলাম শীপ মিস করায়। তবে একটি দেখার মত দৃশ্যের অবতারনা হলো যখন সবাই বাস থেকে নামলাম। টেকনাফে শীপে ওঠার ঝেটিতে যে দুএকটা জরাজীর্ণ টয়লেট ছিল সেগুলো মেয়েদের দখলে দিয়ে আমরা ছেলেরা সবাই পাশের ধানক্ষেতে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে গেলাম। একজন আবার পিছন থেকে ছবিও তুলল। পরে গুণে দেখা গেল প্রায় ৩০ টা ছেলে এক লাইনে দাঁড়িয়ে মুত্রবিসর্জন করছে।

তো মুত্রবিসর্জনের সমস্যা সমাধানের পর শুরু হলো নতুন চিন্তা। সেন্টমার্টিনে পৌছাবো কীভাবে। স্যার আর সিনিয়র ভাইদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত হলো ট্রলার ভাড়া করে যাব। কিন্তু এখানেও বিপত্তি। কয়েকজন ট্রলারে সমুদ্রপাড়ি দিতে ভয় পাচ্ছে। তাদের প্রস্তাব কক্সবাজারে ব্যাক করে ট্যুর সেখানেই করা। এখানে বলে রাখি, ট্যুর প্ল্যান ছিলো ২ দিন ৩ রাত। এক রাতে যাব আরেক রাতে ক্যাম্পাসে ফিরব আর মাঝের এক রাত সেন্ট মার্টিনে থাকবো। সে অনুযায়ী সেন্টমার্টিনের অবকাশ নামক হোটেলে বুকিংও করা হয়ে গেছে। এখন ফিরে যাবার অবস্থাও নেই। সবশেষে স্যারদের হস্তক্ষেপে সবাই রাজি হলো ট্রলারে করে যাওয়ার জন্য।

সিনিয়র ভাইরা আর স্যারেরা যখন ট্রলার ভাড়া করায় ব্যস্ত তখন আমরা ব্যস্ত টেকনাফের সবচেয়ে বিখ্যাত আর সস্তা লণ্ডন রাম কেনায়। সালটা ২০০৬। তখন ঢাকায় কেরুর বোতলও কিনতে হতো ৪০০-৫০০ টাকায়। আর সেখানে লণ্ডন রামের বোতল মাত্র ৫০-৭০ টাকা। জীবনে যে বন্ধু বা সিনিয়র ভাইরা কোনোদিন ড্রিংস করে না, তারাও দেখি দুই বগলে দুইটা লণ্ডন রাম নিয়ে ঘুরতেছে। সবার টালমাটাল অবস্থা। এর মধ্যে ট্রলার ভাড়া করা হয়ে গেলো। মোট ৩ টা ট্রলারে করে আমরা সমুদ্র পাড়ি দিব। আমার ট্যুর এক্সাইটমেন্ট তখন ট্রিপল। একেতো সেন্টমার্টিন ট্যুর তার উপর সস্তা রাম তার উপর ট্রলারে সমূদ্রপাড়ি দেওয়ার এডভ্যাঞ্চার। আমাদের মাঝে যারা ঝানু খোর ছিল তারা বুদ্ধি করে দুই ট্রলারে দুই স্যারকে তুলে দিলো। আর আমরা সব খোরেরা একটা ট্রলারে।

টেকনাফ ছাড়ার দুই মিনিটের মাথায় জিসান ভাই একটা বোতল ওপেন করল। খোলার আধা মিনিটের মাথায় দেখলাম বোতল খালি। সবাই একেরপর এক ঢকঢক করে পুরো বোতল সাবার করে দিল। সেদিন যাত্রাপথে সম্ভবত ৬-৭ টা বোতল শেষ হয়। দুপুর ২ টার দিকে যখন আমরা সেন্টমার্টিনে পৌছাই ততক্ষণে আমাদের ট্রলারের কারোরই আর সোজা হয়ে থাকার ক্ষমতা নাই। ঝেটিতে নেমেই পায়েচালিত ভ্যান ভাড়া করে আমরা অবকাশে পৌছাই। দুপুরে একটু খাওয়ার পরই ঘুম। ঘুম থেকে উঠি সম্ভবত ৪:৩০ এর দিকে। ঘুমিয়ে বেশ ঝরঝরে লাগছিলো। পড়ন্ত বিকেলে সমূদ্র দেখতে বেরিয়ে পড়লাম।

অবকাশের (হোটেল) পাশেই একটি সুন্দর বীচ ছিলো। সেখানেই চলল সমূদ্র দর্শন আর বীচ ফুটবল। সন্ধ্যার প্রাক্কালে আমাদের সার্কেলের সবাই সবজি (গাঁজা) নিয়ে বসে পড়লাম। আমি, মাহমুদ, অভি, সাইফুল, মনোয়ার-১ (মটু), জিকো, আতা আর রুবেল। পার্থ আর মনোয়ার-২ (ডাকু) সবজি না খেলেও আমাদের সাথেই বসল। মনোয়ার-২ এর ডাকনাম ডাকু। নামের পেছনে একটা ছোট্ট ইতিহাস আছে। ক্লাসে দুইটা মনোয়ারের কারণে এমনিতেও কনফিউশন থাকতো তাই দুজনকে আলাদা করার জন্য মোটা মনোয়ারকে মটু বলে ডাকতাম। মনোয়ার-২ এর চোখের নিচে কালো জন্মদাগ ছিল। ফার্স্ট ইয়ারে একদিন সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন হঠাৎ অভি মনোয়ার-২ এর দিকে তাকিয়ে বলে "চোখের নিচে তোর কালো দাগের জন্য তোরে আলিফ লায়লার ডাকাতের মত লাগে।" তখন থেকেই মনোয়ার-২ এর পার্মানেন্ট নাম হয়ে গেল ডাকু মনোয়ার ওরফে শুধু ডাকু

ঘটনায় ফিরে যাই। আমার কাজ ছিল সিগারেটের ভিতর থেকে তামাক বের করা আর সাইফুলের কাজ সবজি কুচি করা। সবশেষে মটু মনোয়ার আর বাকী সবাই সবজি আর তামাকের মিশ্রণ সিগারেটের ভিতরে ভরত। মানুষ বেশি থাকায় আমি ৩-৪ টা সিগারেটের তামাক বের করে ফেললাম। এদিকে সবজি কুচি শেষ হয় নাই। হঠাৎ ডাকু বলল সেও আজকে সবজি খাবে। সবাই হাসতে হাসতে পড়ে যাওয়ার অবস্থা। যে জীবনে সিগারেটও খায় নাই, সে খাবে সবজি!! এই ফাকে আমার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি আসল। আমি সবজি মিশানো ছাড়াই সিগারেট থেকে বের করা তামাকগুলা আবার আরেকটা সিগারেটের মধ্যে ভরা শুরু করলাম। সাইফুল বলে ওই ব্যাটা কী করছ্? আমি চোখ মেরে বললাম চুপ থাকতে। তামাকগুলা ভরা শেষ হওয়ার পর, মটুর দিকে এগিয়ে দিলাম। আর বললাম
আমি: "মামা তুই সত্যিই খাইতে চাস?"
ডাকু: "হ। আজকে আমি খামুই। দেখমু এইটার মধ্যে কী আছে।"
আমি: "এইটা খাইস না। তুই যদি খাইতেই চাস পরেরটা নে।"
ডাকু: "কেন? পরেরটা কেন?"
আমি: "এইটা একটু বেশি কড়া হইয়া গেছে। প্রথমটা একটু কড়া না হইলে চলে না। এইজন্য কইতাছি পরেরটা খা।"
ডাকু: "খামু যখন কড়াটাই খামু।"
মাঝখান থেকে সাইফুল বলে উঠল "শুভ, ওরে এইটাই দে। দেখি হালায় কত খাইতে পারে।" এই কথা শোনার পর ডাকুর আরও জেধ চেপে গেল। সে মটুরে বলল "মটু ধরাইয়া দে। আমি ধরাইতে পারুম না।" সবাই সমস্বরে বলল "হ। স্টিকটা ধরাইয়া ডাকুরে দে।" পার্থ আর ডাকু ছাড়া সবাই খুব মজা নিতাছে। ওই দুইজনের ধারণাও নাই স্টিকটায় কিচ্ছু নাই। ওইটা জাস্ট একটা সিগারেট। মটু ধরাইয়া
স্টিকটা ডাকুর কাছে দিল। অভি ডাকুরে বলল "মামা কইস্যা দুইটা টান দে। খবরদার আগুন যেন না পড়ে।" ডাকু খুব কনফিডেন্টের সাথে স্টিকটা নিয়া দিলো জোরে একটা টান। আর খুকখুক কইরা কাশা শুরু করল। আমি বললাম "বাদ দে। প্রথম দিন আর বেশি খাওয়ার দরকার নাই।" কিন্তু ডাকু ঘোরের মধ্যে তখন। সে বলে "না। আমি আরও খামু।" এই বইলা আরও দু-তিনটা টান দিল। তারপর তার মুখে রাজ্য জয়ের হাসি। হৈমন্তির স্বামীর নকল করে বলে উঠল "খাইছি। আজকে আমি তাহাকে খাইছি। অনেক শখ ছিল। আজকে সেইটা পূরণ হইল।" ওর এই কথা শুনে আমরা খাওয়ার আগেই টাল।

কিছুক্ষণ পরে আসল স্টিক বানানো হইল। আর সবার হাতে হাতে ঘুরতে লাগল। ডাকুরে সবাই বললাম "প্রথম দিনের জন্য এনাফ। আর খাইস না।" সে আর খেতে চাইল না। বেচারা বুঝতেও পারলো না তার সাথে কী হইতাছে। কিছুক্ষণ পর জিকো ডাকুরে বলল "প্রথম প্রথম খাইছস। একটু পরে মাথা ঘুরাইতে পারে। এইটা নিয়া ভয় পাইস না।" ডাকু সাথেসাথেই বলে উঠল "আসলেই আমার মাথা ঘুরাইতাছে।" আতা ডাকুরে ভয় দেখানোর জন্য বলল "প্রথম দিন খাওয়ার পর আমার নার্ভাস ব্রেকডাউন হইছিল।" আতার সাথে সুর মিলিয়ে মাহমুদ বলে "আমারও ব্ল্যাক আউট হইছিল"। এইসব কথা শুনতে শুনতে বেচারা ডাকু আরও ঘাবড়ে গেল। পার্থরে বলল "পার্থ, আমারে নিয়া রুমে চল। আমি একা একা যাইতে পারুম না।" পার্থ বেচারার মন খারাপ। বীচ থেকে যাইতে ইচ্ছে করতেছেনা আবার জিগরী দোস্তের মাথা ঘোরা নিয়াও চিন্তিত। শেষমেষ, পার্থ আর ডাকু রুমে চলে গেল আর আমরা আসর জমাইয়া ফেললাম।

মিনিট দশেক পরে পার্থ দৌড়াতে দৌড়াতে এসে বলল "তোরা ডাকুরে কী খাওয়াইছস। ডাকু নি:শ্বাস নিতে পারতেছেনা। শ্বাসকস্ট হইতাছে।" সাইফুল আমারে বলে "তুই কি কিছু মিশাইছিলি?" আমি বললাম "শালা। আমি যখন ওই নকলটা বানাইছি, তখনতো তোর সবজি কাটাই হয় নাই। মিশামু কেমনে?" অভি বলে "শালায় ভং ধরছে।" পার্থ বেশ চিন্তিত হয়ে বলে "ভং ধরে নাই। আমার সাথে চল। গেলেই বুঝতে পারবি।" অগত্যা সবাই মিলে ডাকুর কাছে গেলাম। আমাদের কাতর কন্ঠে বলে, "তোদের কথা শোনা উচিৎ ছিল। প্রথম দিন এত বেশি খাওয়া উচিৎ হয়ে নাই।" মটু ভিলেনের মত হাহাহা করে হেসে বলে, "আমাগো কথা শোনো নাই মামা। এখন তুমি পালাবা কোথায়। সবজি তোর উপর ভর করছে।" আমাদের কেউ হাসি আটকে রাখতে পারতেছিলাম না। আমাদের হাসি দেখে বেচারা ডাকু আরও চুপসে গেল। সে বলে "সাইফুল একবার আমারে কইছিল, যদি বেশি নেশা উঠে যায় তাহলে তেতুল/লেবুর মত টক জাতীয় কিছু খেলে নেশা কমে যায়।" জিকো ডাকুকে বলে "মামা। তুই যে হাই হইছস তাতে লেবুতে কাজ হবে না। হাসপাতালে নিতে হবে। কিন্তু সেন্টমার্টিনে হাসপাতাল নাই মনে হয়। কোনোমতে আজকের রাতটা পার করে দে। কালকে সকাল সকাল ট্রলারে করে তোরে সোজা কক্সবাজারের কোনো হাসপাতালে নিয়া যাব।" এই কথা শুনে ডাকুর মুখ আরও শুকিয়ে যায়।

বেচারার কষ্ট দেখে একফাকে চুপি চুপি আমি বলে দিলাম যে সে শুধু সিগারেটের তামাক খেয়েছে। অন্য কিছু খায় নি। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ডাকু উল্টো ভাবা শুরু করল আমিই মশকরা করতেছি। এদিকে পার্থ হোটেল থেকে পুরো এক গ্লাস লেবুর রস নিয়ে আসল। ডাকু সেটা ঢকঢক করে এক নিমিষেই শেষ করে ফেলল। তার পাঁচ মিনিট পর ডাকু পুরোপুরি স্বাভাবিক। কে বলবে কিছুক্ষণ আগেই আমার এই বন্ধুটি শয্যাশায়ী ছিল। যদিও লেবুর রসটা পরদিন তাকে বেশ ভুগিয়েছে। একটু পর পর টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ায় সব জায়গা ভালো করে ঘুরতে পারে নাই। পুরো ট্যুরটা তার জন্য বিভীষিকাময় ছিল।

সেদিন একটা জিনিস বুঝতে পেরেছিলাম মানুষের মস্তিষ্ক বা মনই সবকিছুর মূল নিয়ন্ত্রক। ডাকুর সাথে এখনো দেখা বা কথা হলে আমার ওই ঘটনাটা মনে পড়ে। অবশ্য ট্যুর থেকে ফেরার পথে এর চেয়েও মজাদার একটা ঘটনা ঘটেছিল ডাকুর সাথে। ঘটনাক্রমে সেটারও মূল হোতা ছিলাম আমি। পুরো ঘটনা লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে। সেজন্য আজকে এপর্যন্তই।

বি.দ্র.: গাজা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলায় কেউ আবার এটার উপর উৎসাহী হয়ে যাবেন না। বিশেষ করে তরুণ ব্লগার যারা আছেন তাদের প্রতি কথাটা বললাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:০০
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×