শেষ কবে যে বাংলা ছবির রিভিউ লিখেছি তা প্রায় বুলতে বসেছি. ওহ মানে পড়েছে আরো ভালোবাসবো তোমায় ,এর রিভিউ শেষ রিভিউ ছিলো , না বাংলা ছবি বা কারোর সাথেই আমার ব্যাক্তিগত আক্রোস নেই , কিংবা আমি বিন দেশী কোন লোক ও নই , বাহিরের কেউ আমায় এসে বলে ও দেয় নাই যে আপনি ইংলিশ মুভি দেখেন আপনাকে আমরা কিছু দেবো , যথারীতি আমি একজন দর্শক মাত্র, মুভি দেখতে ভালো লাগে , তবে হ্যাঁ অবশ্যই মুভির মানের দিকে খুব নজর দেই বলা যায় , আর কাহিনী বিন্যাস তো আছেই । যাই হোক এই প্রেম কাহিনী-২ ছবি দেখতে যাওয়ার ২ টি কারণ ছিলো , এক হলো আজ শুক্রবার হলে খুব দর্শক থাকবে , আসলে হল হাউজ ফুল না হলে ছবি দেখে মজা নেই, আর দুই হলো ছবিটি ক্রিকেট নিয়ে গল্প ছিলো আর প্রিয় মুখ আসিফ আকবর ছিলেন তাই, যা দেখলাম তাই আপনাদের সাথে আলাপ করি....
নাম : প্রেম কাহিনী-২
দৈর্ঘ্য : ২ ঘন্টা ২৮ মি ,
ফরমেট : ডিজিটাল
দেশ : বাংলাদেশ
সুটিং লোকেশান : বাংলাদেশ, এবং ভারত ,
অভিনয়ে : শাকিব খান, জয়া আহসান, ইমন, মৌসুমী হামিদ,ওমর সানী আরও বেশ কয়েকজন কলাকুশলী ,
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান : ফ্রেন্ডস মুভিজ ইন্টারন্যাশনাল,
পরিচালক :সাফি উদ্দিন সাফি
গল্প : একটি টিভি টকশো , বিষয় বস্তু চলমান ক্রিকেট সিরিজ , পাকিস্তান বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান , যেখানে দেশের খ্যাতিমান ক্রিকেটার আসাদ এর পারফমেন্স নিয়ে ,( আসাদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ) যে কিনা আগের সিরিজ গুলো খুব ভালো পারফমেন্স করেছে , অথচ এই সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ ভালো ভাবে জিতেও এখন ও সিরিজ নিজেদের করে নিতে পারি নি , কি হবে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ কি পারবে বিজয়ের এই মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই সিরিজ জিততে , হঠাৎ আসাদের এমন পারফমেন্স মিডিয় সহ , জন সাধাণর কেউ ভোগাচ্ছে , তার পিছনের কারণ কি ? এই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে , অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হাবিবুল বাসার সুমন , আর জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী আসিফ আকবর , আর আসাদের এই পারফমেন্স এর কারণ নিয়ে আলোচনা করেন আসিফ , বলতে থাকেন তার এই পারফমেন্স এর কারণ সর্ম্পকে , বলেন জড়িত বিষয় , তার প্রেম নিয়েও , এই ভাবে এগুতে থাকে পূর্নদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী-২ এর গল্প..
মন্তব্য . হল ভর্তি দশূক , আগে থেকেই প্রচার আর অনেক পর নতুন কোন ছবির মুক্তি যে কারণেই হোক না কেন , হল ছিলো হাউজ ফুল , সিনেমার গল্প যাই ছিলো , ভালো বলবো না, তবে খারাপ ও নয়, ছলে , মেকিং এ ছিলো দুর্বলতা , আর ভালো গল।প খারাপ মেকিং অনায়াসে সিনেমা খারাপ এই ক্ষেত্রে ও তাই ঘটেছে ,
সিনেমার ভুল সমুহ : করা ভালো কিন্তু বেশি কিছুই ভালো নয় , সেই দৃষ্টিতে , সিনেমাটি একদম বাজে হয়েছে ,
লোকেশান সমূহ ছিলো খুব ভালো , তাই বলে যে একটি ভালো সিনেমা করার জন্য বিন দেশে যেতে হবে তা নয় , কারণ সত্যজিৎ রায় , জহির রায়হান কিন্তু এই দেশের পরিবেশেই সিনেমা তৈরি করেছেন , আর সেই গুলোও কিন্তু অনেক নাম করেছে , সুতরাং লোকেশান কোন সমস্যা নয় , আমার বাড়ির টয়েলেটের রাস্তায় দাড়িয়ে ছবি তুললেও অনেকে মনে করেন এই টা নিশ্চই বিন কোন দেশের লৌকেশান , এমন কি আমার পরিবার এর সদস্যরাও বলতে পারেনা , এইটা যে তাদের চিরো চেনা পরিবেশ,
সিনেমায় গানের / মিউজিক এর দরকার আছে , তবে তা গল্পের প্রয়োজনে , কারণ মিউজিক গল্পকে উজ্জিবীত করে তোলে দর্শকদের দেয় ভিন্ন এক আনন্দ , কিন্তু এই সিনেমায় , প্রয়োজনের তুলনায় মিউজক বেশি হয়ে গেছে , যা মোটেই ঠিক নয়,
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক / শব্দ , যা কোন কোন সময় গল্পের প্রতি দর্শক টানে , কিন্তু এই খানে তার উল্টোটা হয়েছে , দর্শক দের বিরক্ত করেছে ওই শব্দ ,
ডায়ালগ , সিনেমার প্রাণ , বা ভিত্তি যাকে বলা হয় , কিন্তু তা যদি মাত্র ছাড়িয়ে যায় , তাহলে সেই গল্প বা সিনেমা হয়ে উঠে নিষ্পাণ , যা এই সিনেমার ক্ষেত্রে ঘটেছে , ওভার যায়ালগ ,
কোরিওগ্রাফি । গানের কোরিওগ্রাফি ছিলো সম্পূর্ণ বিরক্তি কর ,
রেটিং : পরীক্ষায় যে ছেলে ফেল করে তাকে বলা হয় না তুমি কতো নাম্বার এর জন্য ফেল করেছো , ফেল মানে ফেল , এর কোন নাম্বার হয় না, সুতরাং এই সিনেমার রেটিং আার মতে ০ , কারণ এর কোন নিদিষ্ট মোটিব দাড় করাতে ব্যর্থ হয়েছেন পরিচালক, হয় প্রেম না হয় খেলা , একটা কে দাড় করাতে পারলে হতো , কিন্তু দুটার কোনটাই হয় নাই , আমায় যদি হাতে মারির মোয়া দিয়ে বলা হয় এই নাও আপেলটা খাও সেটা আমি যেমন মেনে নেবো না, ঠিক এই ক্ষেত্রে ও সমান ,
ভাবিনি ওনার মতো একজন পরিচালক এর কাছ থেকে এই রকম একটি সিনেমা পাবো , আরো ভালো আশা করেছিলাম , যাই হোক , সকল পরিচলক এবং সিনেমা নির্ণমাতাদের কাছে অনুরোধ রইলো, গল্পের প্রথম ৫ মিনিট যে বিষয়টির ভিত্তি দাড় করাবেন সেটাকে নিয়ে গল্প শেষ করার , আর নয়তো বো আগেই বলে দিবেন আমি একটি আবোল তাবোল সিনেমা বানিয়েছি , তবে তাবে কমেডি দিয়ে সাজাবেন যেমন টা হিন্দি মুভি থ্রি ইডিয়েট এ করেছিলো, দর্শক হাসতে হাসতে সিনেমা দেখবে , আর সিনেমা শেষ হাসি শেষ , এই রকম সিনেমা বানালে অস্কার তো দুরের কথা দেশীয় পুরুষ্কার ও মিলবে না..আরেক বার গ্রাম্য সেই প্রবাদটাকে বাস্তবে রুপ দিলেন , যত গর্জে তত বর্ষেনা.।.......।
আশা করি আপনাদের এই ছোট ছোট ভুল গুলো ঠিক করে দর্শকদের একটি ভালো মুভি উপহার দেবেন , এই প্রত্যাশায় রইলাম , আর ওহ কাউকে হেও করার উদ্দেশ্যে নয়, বাংলা সিনেমার একজন দর্শক , একজন শুভাকাঙ্খি হিসেবে বলছি । আমি ও চাই আমাদের দেশের এই সেক্টরটা বিদেশও নাম করুক , সবাই যানুক আমরাও ভালো কিছু করতে পারি ..আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন , ভালো থাকবেন সবাই , বাঙলা সিনেমার ভালো দিনের অপেক্ষায় রইলাম .।