মনি কিশোর স্পষ্টতই সনাতন ধর্ম ফলো করেছেন জীবনের শেষ সময়ে। নব্বই দশকরে শুরুতে তিনি তার প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হন। তার সেই ঘরে একটি মেয়ে ছিল। ২০০৫ সালের শেষের দিকে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে দেয়। যার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন, সেই স্ত্রী তার সন্তানকে নিয়ে আমরিকা পারি দেয়। জীবনের শেষ দেড় যুগ একাকী জীবন পার করেন মণি কিশোর। তিনি তখন তার নিজ ধর্ম অনুসরণ করতেন। এটা তার রিসেন্ট ছবিগুলোতে প্রমাণ পাওয়া যায়, তিনি তুলসির মালা পরতেন, হাতে লাল সুতো পরিধান করতেন।
এখন নিউজে খবর প্রচার করেছে যে তার মেয়ে ফোন করে বলেছে তার বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল তাকে যেন দাফন করা হয়। এটা কতটা হাস্যকর দাবী চিন্তা করুন। যারা কোন দিন খোঁজ রাখে নি, মারা যাওয়ার পাঁচ দিন পরে যার মৃতদেহ উদ্ধার করে ভাড়া বাড়ীর মালিক সেই লোকটি নাকি মৃত্যুর পূর্বে শেষ ইচ্ছা জানিয়ে গেছেন তার মেয়েকে !!!
মিডিয়া এই খবর প্রচার করার পরে এখন শুনছি তার মৃতদেহ নাকি কবর দেয়ার জন্য দেয়া হবে!
যাইহোক, একটা কথা আছে "দেহ পাবি কিন্তু মন পাবি না", এখানেও ঘটনাটি সেরকম হয়ে গেল। যিনি মণি কিশোর (আত্মা), তিনি দেহটিতে থাকা কালীন সনাতন ধর্ম পালন করতো। এখন ছেড়ে যাওয়া দেহটি নিয়ে মিথ্যাচার করে কবর দিলেই তো আর সব উল্টে যাবে না। তার আত্মার মুক্তি তার কর্মে হবে, তার দেহ কি করলো বা না করলো ওতে কিছু যাবে আসবে না।
ঈশ্বর কাউকে যেন এমন মিথ্যা ভালোবাসায় না ফাঁসায়, যে ভালোবাসার জন্য নিজের সব ত্যাগ করতে হয় আর শেষ সময়ে প্রবঞ্চনার শিকার হতে হয়!!
ভালো থাকবেন প্রিয় মণি কিশোর, আপনার দেহটিকে তারা নিয়েছে, কিন্তু আপনাকে নিতে পারে নি।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




