অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ৫৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতের দায়ে এক বাংলাদেশি তরুণী মোমেনা সোমা ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী । সম্প্রতি সে লাটরবি ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ পায় এবং ১ ফেব্রুয়ারি স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে আসে।মিলি পার্কের ক্যলিসটেমন রাইস এলাকায় আহত ওই ব্যক্তির বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঐ ব্যক্তি ঘুমিয়ে থাকার সময় কালো বোরকা পরা অবস্হায় মোমেনা তার ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায়।এতে তার ঘাড় ও কাঁধে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্থানীয়রা হট্টগোলের শব্দ পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সেখানে তার অপারেশন হওয়ার বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন। হামলার সময় বাড়িতে ওই ব্যক্তির পাঁচ বছরের কন্যা থাকলেও তার কোনো ক্ষতি হয়নি।মেলবোর্ন পুলিশ বলছে, ২৪ বছর বয়সী মোমেনা সোমা ‘ইসলামিক স্টেট অনুপ্রাণিত হয়ে’ এ হামলা চালিয়েছে।
সোমাকে শনিবার মেলবোর্নের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালতে তার পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হয়নি। ২ মে তার পরবর্তী হাজিরার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বসবাসরত মোমেনা সোমা চাচা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ডঃ মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ পত্র দি এ্যাজকে বলেন এই ঘটনা তাদের পরিবারের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় , সন্ত্রাসী হামলার সাথে সোমার যোগসূত্র আছে তা তার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন “আমরা তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি এবং তার বাবা তার সাথে কথা বলতে চেষ্টা করছেন।”
সে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চেয়েছিল। সোমার মা প্রায় এক বছর আগে মারা গিয়েছে এবং তার বাবা, একটি বীমা কোম্পানির ব্যবস্থাপক। যিনি ঘটনার শোনার পর মারাত্মকভাবে মুষড়ে পড়েছেন।
ডঃ আজিজ আরো বলেন, তিনি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে তার ভাতিজির সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং সে তাকে বলেছিল যে সবকিছু ভালো ভাবে চলছে এবং আরো বলেছিল ঐখানকার মানুষগুলো “চমৎকার” এবং “ভালো” । তার কোন ধরনের মানসিক সমস্যা ও ছিল না। তার পর ও সে কেন এটা করল তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
ঘটনায় আহত রজার মেলবোর্নের উত্তর-পূর্বে মিল পার্কের ওই বাসাটিতে গত ৫ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের থাকতে দিচ্ছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩০