কী বিষ মাখাইছ তোমার বাঁশির ওই সুরের মইধ্যে!
এক্কেবারে কইলজার মইধ্যেখানে ওই বিষ শিস দিয়া উডে!
চৈৎ মাসের রইদে ঝিমাইয়া পড়া শইলডা আমার
মোচড় দিয়া যায়।
তোমার বাঁশির বিষের সুরে আমার ত ঘরেই থাহা দায়!
ওই সুরের বিষে,
আমার রক্তে যাইয়া মিশে
ক্ষ্যাপা চঞ্চলতা, ঘুর্ণিঝড়ের গতি।
মনও অয় ঘর-দর, কাজ-কাম
সবকিছু ফালাইয়া, সব বাধা ঠেইল্যা
বাঁশির টানে চইল্যা যাই ওই বট গাছের তলে।
লাজ-লজ্জা, লোকনিন্দা সব তুচ্ছ কইরা।
তোমার বাঁশির সুর আমারে কী জাদু করছে, কও!
আমার রান্ধন-বারন,
সবার শাসন-বারণ,
ঘর-সংসার, সব খালি অনর্থক মনে অয়!
রাইত যহন গভীর অয়,
দুই চোক্ষের পাতাডা জাইপটা ধরে ঘুম,
ওইসময়, তোমার বাঁশি রাইতের নিঝঝুম-
নীরবতা ভাইঙ্গা, আমার বুকের কপাট ভাইঙ্গা,
ডাহাইতের মতন হানা দ্যায়।
আমার ঘুম, আমার সুখ
সব হারাম কইরা দ্যায়।
আবার বন্ধ অইলে বাঁশি,
বিস্বাদ লাগে সব।
মনে অয় দুনিয়াত থামলো বুঝি
সব চাইয়া মধুর কলরব।
আবার কহন বাজবো বাঁশি
থাহি অপেক্ষায়
বাঁশির সুরের ভাবনা ভাইবাই
দিনরাইত যায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


