আরবী বিশ্বের একটি প্রাচীন ও কালজয়ী ভাষা। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ছয়টি অফিসিয়াল ভাষারও একটি আরবী। বর্তমান বিশ্বের ৩৫০টি ভাষার মধ্যে আরবীর স্খান অনেক ঊর্ধ্বে। বিশ্বের ২২টি দেশে সরকারি ভাষারূপে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। কালের প্রবাহ কখনো এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যকে ক্ষুণí করতে বা অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারেনি। এই ভাষায় রয়েছে স্খিতিস্খাপকতা ও গতিশীলতার এক বিস্ময়কর সমাহার। আরবী সাহিত্য প্রায় দু'হাজার বছরের প্রাচীন সাহিত্য। অন্য সাহিত্যের ন্যায় আরবী সাহিত্যের প্রধান দু'টি ধারা আছে গদ্য ও পদ্য। যে কোন ভাষাতেই গদ্যের জন্ম হয় প্রথমে। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজন ও মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য মানুষ তুচ্ছ ও বৃহৎ ব্যাপারে অবলীলাক্রমে ভাষা ব্যবহার করে থাকে। আর সে ভাষা সাধারণত গদ্যে হয়। কেননা গদ্যে ভাবের আদান-প্রদান খুব সহজে সাধিত হয়। তবে পৃথিবীর অনেক ভাষার ন্যায় আরবীতেও সাহিত্য হিসেবে প্রথমে পদ্যের উন্মেষ ঘটে। তৎকালীন সময়ে লিখে রাখার ব্যবস্খা না থাকার কারণে প্রায়শ স্মৃতিশক্তির উপর নির্ভর করতে হতো। আর গদ্যের চেয়ে পদ্যে মুখস্খ করা সহজ ছিল। তাই বলা যায়, সাহিত্যিক গদ্যের আবির্ভাব আরবী সাহিত্যে পদ্যের পরে ঘটেছে। ইসলাম-পূর্ব যুগে গদ্যের যে সাক্ষাৎ পাওয়া যায়, তা প্রধানত প্রবাদ-প্রবচন, বাগ্মিতা ও অসিয়াত-অন্তিম উপদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এছাড়া জ্যোতির্বিদদের ভবিষ্যদ্বাণী, কিছু লোক-কাহিনী, পুরোহিত ও জাদুকারদের ব্যবহৃত ছন্দোবদ্ধ ভাষাকেও গদ্য সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত মনে করা হয়। তবে এগুলোর নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা বেশ দুরূহ ব্যাপার। ইসলামের চিরায়ত সাহিত্যে আরবের ইসলাম-পূর্ব যুগ ‘আইয়ামে জাহেলিয়া' বলে অভিহিত। এ সময়ে আরবের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্খা ছিল অত্যন্ত নৈরাজ্যকর। এ যুগে গদ্য সাহিত্যের ব্যবহার ছিল অপ্রতুল। শৈল্পিক মানসমৃদ্ধ গদ্যের অস্তিত্ব ছিল বলে ইতিহাসে যে প্রমাণ পাওয়া যায়, তাও স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা ও ছন্দ-মিলের অভাবে যথাযথভাবে সংরক্ষিত হয়নি। জাহেলী যুগে সাহিত্য মানে কবিতাকেই মনে করা হতো। কবিতায় আরবদের সমাজ জীবন ও ব্যক্তিজীবন সুন্দরভাবে উৎকীর্ণ হতো। এ সময়ে গদ্য সাহিত্যের তেমন প্রচলন লক্ষ্য করা যায় না। ছন্দোবদ্ধ গদ্য ছাড়া সাহিত্যের অন্য ধারা বিশেষভাবে মূল্যায়িত হতো না।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।