আগামী শুক্রবার আমার পরিসংখ্যান পরীক্ষা কিন্তু পড়াশুনা কিছুই হচ্ছে না। কি করব বুঝতে পারছি না। পড়তে বসলে ঘুম পায়। পড়া মাথায় কিছুই ঢুকে না। সহজভাবে নেওয়ার চেষ্টা করি। সবাইকে পরামর্শ দিতে পারি। পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে সুস্থভাবে ধীরে ধীরে লিখলেই মোটামুটি ভাল পাশ সম্ভব। কিন্তু নিজের বেলা নিজেকে বুঝ দিতে পারি না। আসলে সকলকে পরামর্শ দেয়া যায়। কিন্তু নিজে মানা কষ্টকর হয়ে যায়।
এক বন্ধু বলল মাষ্টার্সের এতো খাতা দেখার মত সময় আছে। বিষয়ের উপর ভিত্তি করে খাতা ভরে বানিয়ে বাণিয়ে লিখে দিয়ে আসবি। দেখবি পাশ হয়ে গেছে। ওর কথা শুনে মনে খুব সাহস পেয়েছিলাম। কিন্তু সামান্য ধারনা নেওয়ার জন্য একবার দুবার সকল বিষয়গুলো পড়তে হবে। সারাদিন অফিস শেষে বাসায় গিয়ে আর বসে থাকতে ভাল লাগে না। তখন ইচ্ছে করে শুয়ে একটু বিশ্রাম নিতে কিন্তু বিশ্রামে গেলে আর উঠতে মন চায় না। এটা কি আমার শারিরীক দূর্বলতা নাকি অন্যকিছু। রাতে আশা করি এখন ঘুমিয়ে পড়ি। আবার সকালে তাড়াতাড়ি উঠে পড়ব। কিন্তু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতেই পারি না। আর উঠলেও আরও বেশী ঘুম পায় তাই আর বসে থাকতে পারি না। জানী না আমার কি হবে। সবাই আশা করছে ভালমত পরীক্ষা দিব। ভাল একটা রেজাল্ট করব। কিন্তু আমার অবস্থা যে কি তা আমিই বুঝতে পারছি।
পড়াশুনার জন্য কোথাও যেতে চাই না। কিন্তু থাকলেও তো ঐসময়টা কাজে লাগাতে পারি না। ঐসময়টাতে ভালমত পড়াশুনা করে ভালমত তৈরী হতে পারি না। তাহলে ঘুরে ফিরে আনন্দে থাকাই ভাল। এতো দুশ্চিন্তা করে লাভ কি?। তখন আবার পুরনো কথায় ফিরে যেতে ইচ্ছে করে যা হবার তাই হবে। এটা যদি ভেবে বসে থাকি তাহলে আবার আমি হাল ছেড়ে দিলাম। আমি চেষ্টা করলাম না। তাহলে আমি কি করব কেউ বলতে পারেন।
অফিসে কাজ কম। খুব খারাপ লাগে। খুব লজ্জা লাগে। বেতন নিচ্ছি। কিন্তু ঐভাবে কাজ করতে পারছি না। কিন্তু আমার চেয়েও যারা অনেক বেশি টাকা বেতন পায়। তারাও তো আমার মত কম কাজ করছে। তারাওতো দিন পার করছে। তাহলে তাদের যদি কোন দুশ্চিন্তা না থাকে তাহলে আমি দু টাকার চুনোপুটি আমি কেন এতো মন খারাপ করব। আবার যখন কাজ খুব বেশী থাকে তখনতো মালিকপক্ষ একেবারে খুব বেশী কিছু দিয়ে দেয় না। তো সমান সমান।