কয়েকদিন থেকেই মনটা বেশ খারাপ যাচ্ছে। অনেক সময় মন খারাপের কারন বুঝতে পারি না। কিন্তু এবার আমি বুঝতে পারছি, কেন আমার মন খারাপ। মন খারাপের কারন হচ্ছে বউটা কাছে নেই। এখন আমি বুঝতে পারছি একজন প্রিয়জন কেন কাছে থাকা প্রয়োজন। মানুষ কাছে থাকলে তার প্রয়োজনটা বেশী অনুভব করা যায় না। এর জন্য অবশ্যই আমিই দায়ী। আমারে আবেগ বেশী হওয়ার কারনে মানুষের কাছে বেশী বেশী প্রত্যশা করি। কিন্তু এ ব্যস্ত পৃথীবীতে এখন সবাই ব্যস্ত। কেউ কাউকে সময় দেওয়ার সুযোগ পায় না। একটা সময় ছিল যখন কিছু বন্ধ ছিল যাদের সাথে অনেক সময় কাটাতে পারতাম। এবং মনের কথা বলার সুযোগ পেতাম। কিস্তু এখন আজ আমার সময় আছে তো, ওর সময় নাই। আবার অন্যদিন আমার কাজ আছে তো অন্যজন ফ্রি আছে। এভাবেই কারো সাথে সময়মত মেশা হয় না।
যেহেতু আমার মানষিক অবস্থা বেশী ভাল যাচ্ছে না। তাই সুযোগ খুজছিলাম কোথাও যাওয়ার। ঐদিন সাহাদাতকে ফোন দিতেই দেখা করতে বলায়, ওর অফিস ছুটির পর আসার কথা বলল। আমিও রাজী হলাম। সাথে ওর দুই বান্ধবী কাম কলিগ ছিল। অফিসের সামনে ওদের সাথে দেখো করলাম। দেখলাম ওরা কত ফ্রি, আর কত আনন্দ-ফুর্তি করে। আমার ঐ বন্ধু খুব ফ্রি এবং মিশুক যার ফলে ওর বন্ধুর অভাব হয় না। ওকে দেখে খুব আসছোস হয়। কারন আমি কেন ওর মত ফ্রি হতে পারি না। যাই মাঝে মাঝে এগুনের জন্য ওর প্রতি খুব রাগ হয়। কারন মাঝে মাঝে একটু একসেস করে ফেলে। যাহোক ও আমাকের ওর বাসায় যাওয়ার আমন্ত্রন জানালো। আর আমিও রাজি হলাম। ওর বাসায় থাকার সমস্যা, তারপরও আমার একটা সমস্যার বিষয়ে আলোচনার করা এবং মন ভাল করার জন্য ওর সাথে যেতে রাজী হলাম। ও অবশ্য আরও একটি অফার করেছিল যা এরকম ওর বাসায় ভাল-মন্দ রান্না হয়েছে। আমরা ভাল-মন্দ বলতে অনেক পদের রান্নার কথা বুঝি। কি্ন্তু ওদের জন্য মুরগীটাই ওদের জন্য ভাল-মন্দ। যাহোক আমার খাওয়ার বিষয়ে কোন চাহিদা নেই। শুধুমাত্র বন্ধর ছোয়া পাওয়ার জন্য গেলাম।
ওর সুখী পরিবার। এক মেয়ে, এক ছেলে, সুন্দরী বউ। কারন অল্প টাকায় ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ওর সাধ্যমত খরচ করে এবং হাসি-ঠাট্টায় ভরে থাকে ওর সবসময়। অফিসের ছোট থেকে বড়, ছেলে-মেয়ে সবার কাছেই ও খুব প্রিয় মানুষ। এর একটা কারন হল ও সব পরিবেশে খুব সহজে মিশতে পারে। দরকার হলে এখনই মাথায় মালামালের বোঝা নিয়ে হাটা দিবে আবার বসের পাশে বসে বসদের সাথে আলোচনায় অংশগ্রহন করতে পারে।
পুর্বের বা আমার মুল আলোচনায় আশা যাক, বউ কাছে না থাকায় আমার মন খারাপের কারনটা কি শুধুই জৈবিক চাহিদার অপূর্ণতা নাকি অন্যকিছু। যদি তাই হয় তাহলে অনেক মানুষ আছে যারা এখনও বিয়ে করে নি আবার অনেকে বিয়ে করেওে দেশে-বিদেশে থাকে। তাদের কি অবস্থা। তারা কি করে এতদিন বউ দুরে রেখে থাকে।
মানুষের মনে কেন খারাপ প্রবৃত্তি জাগে। কেন মানুষ পাপ করে বা পাপের চিন্তা মাথায় আসে। যখন মানুষের যা প্রয়োজন হয়। সেটা যখন না পায় তখনই তা পুরন করার জন্য মানুষ পাপের চিন্তুা করে।
কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারলে অনেক পাপ, অনাচার থেকে বাঁচা যায়। অলস মস্তিষ্ক অনেক পাপের জন্ম দেয়। তাই সব সময় ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫