রাজু এক কোটি টাকার বাজেট কিভাবে করবে তা ভেবে পাচ্ছে না। কাকে কত দিবে, কম দিবে কাকে বেশী দিবে, ইত্যাদি ভাবতে লাগল। এটা রাজুর অনেকদিন আগের পরিকল্পনা। বড় ভাইকে ৫ লাখ, মেঝ ভাইকে ৫ লাখ, ছোট ভাই ভাইকে ৫ লাখ এবং দুই বোনকে ২ লাখ করে। নিজের জন্য একটি বাড়ি, একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর দেশের বাড়িতে একটি বাড়ি তোলা। এই হচ্ছে রাজুর প্রাথমিক বাজেট।
ভাইদের টাকা দেওয়ার কারন তারা ব্যবসা করে কিন্তু টাকার জন্য ভালমত ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে না। আর বোনরা গরীব বলে তারাও যাতে এই টাকা দিয়ে কিছু একটা করে সাবলম্বি হতে পারে।
চাকুরিটা রাজু ছেড়ে দিবে কিনা ভাবে। কারন অফিসের নিয়ম নীতি দিন দিন বেড়েই চলছে। আজ এই নিয়ম কাল ঐ নিয়ম। আজ লেটের জন্য বেতন কাটা আর কাল আগে যাওয়ার জন্য বেতন কাটা। চাকুরি ছাড়বে কিন্তু আজকাল ব্যবসা-বানিজ্যের যে বেহাল অবস্থা তাতে অনেক ভাল ভাল প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরাই ধরা খেয়ে যাচ্ছে। তাই কষ্ট করে হলেও চাকুরী করাটা নিরাপদ।
বাড়িতে ঘর দেওয়ার দরকার কারন বছর শেষে গ্রামের বাড়িতে গেলে নিজেদের ঘরে উঠার এবং সেখানে দু-একদিন থাকার সুযোগ নেই। এ খুবই লজ্জার বিষয়। রাজুর বাপ-চাাচারা গরীব বিধায় ভেঙ্গে যাওয়া ঘরটা আর তুলতে পারেনি। যাইহোক রাজু চাচ্ছে ঐঘরটা বেশী কাজে না লাগলেও যাতে তাদের বাড়ির স্বাক্ষী হিসেবে থাকে। এতে তার বাপ-দাদার আত্বা শান্তি পাবে বলে সে মনে করে।
এগুলো সবই রাজুর কাল্পনিক চিন্তা বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। সে যদি ১ কোটি টাকা পায় তাহলে সে এই টাকা দিয়ে কি করবে সব সময এই চিন্তা করে। আবার এও চিন্তা করে এই টাকা আসবে কোথা থেকে। আল্লাহ যদি চায় তাহলে অনেক জায়গা থেকেই আসতে পারে।
রাজুর এই পরিকল্পনাটা ভালই লাগে। জানীনা টাকা পয়সা হওয়ার পর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না। টাকা পয়সা হলে মানুষ বেশী হিসেবী হয়ে যায়। যার যত টাকা আছে তার আরও বেশী টাকা লাগবে। তখন মানুষ অতিত ভুলে যায়। অবশ্য সবাই ভুলে না। রাজু চায় সে যেন অতিত ভুলে যাওয়া মানুষের মত না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:২১