প্রাইমারির গন্ডি পেরিয়ে সবে মাত্র হাই স্কুলে উঠেছিলো সে।আর আমি স্কুল শেষ করে কলেজে।
মফস্বলে বেড়ে ওঠা আমি দেখা পেয়েছিলাম তার বন্দর নগরীতে।
পাশের বাসার মেয়েটিকে যেদিন আমার চোখের সীমানায় আবিস্কার করেছিলাম
সেদিন ই দেখলাম, সে আমাকে দেখছে ত্রিমাত্রিক চাহুনিতে।জানিনা তার সেই শিশুসুলভ চাহুনিতে কি যাদু ছিলো।তার মিষ্টি হাঁসি আমাকে ভাবাতে শুরু করলো নতুন ভাবনা, যেটা কখনো ভাবিনি আগে কাউকে নিয়ে।
একদিন বুঝতে পারলাম, এই ভাবনার নাম বোধয় ভালোবাসা।আমি তাকে ভালোবেসে ফেলেছি।
কিন্তু,
আমি যে তাকে বলবোনা ভালোবাসি।সেতো অপরিপক্ব সদ্ব কৈশরে পা দেওয়া ছোট্র শিশু।
তাকে নয়ন ভরে দেখতাম বেলকনি থেকে।
দেখতাম তাকে তাদের বাগানে ঠিক তার মত করেই,
সে যেভাবে আমাকে দেখতো।
কখনো তার রাস্তা আগলিয়ে কথা বলিনি,
তবে রাস্তায় তার পথ চলা দেখেছি মুগ্ধ নয়নে।
যদি কেউ দেখে ফেলে হয়তো তার অসম্মান হবে।
ভালোবেসে ভালোবাসার মানুষটির পরিবারের প্রতি সম্মাব বোধ থেকে গুটিয়ে রেখেছিলাম নিজেকে।
তখনি সিদ্ধান্ত নিয়েছি,
নিজেকে তৈরী করে তাকে বলবো ভালোবাসি।
আজ সে স্কুল শেষ করে কলেজে পা রেখেছে,
আর আমি কলেজ থেকে ভার্সিটিতে।
৫টা বছর পেরিয়ে গেলো, ভালোবাসি সেই প্রথম দিনের মতই।
আজো বলিনি ভালোবাসি,
তাতে কি?তবুওতো ভালোবাসি।