সংসদ আল্লাহর নাম নিয়া লেখা শুরু করলো
আরেকভাইয়া শুরু করলেন রুদ্র এবং সঞ্জীবদার প্রতিকৃতি আঁকার কাজ
এরপরেই এইদুইজনের সাথে যোগ দিলেন সজীব ভাই
চলছে লেখার কাজ আর আমি অবাক হয়ে ভাবতেছি কিভাবে দুইটা মানুষের লেখার স্টাইল এক হয়
চলছে তিনজনের একসাথে কাজ করা
সুমন'দা দা মাস্টারমাইন্ড
হায় হায় কি করলাম? ঃসজীবভাইর মাথায় হাত
বাদ দেই,চালাইয়া যাই ঃসজীব ভাই
চলছে রুদ্র প্রতিকৃতি আঁকার কাজ(অনেক কষ্টরে ভাই)
সজীবভাই কাজ করতেছে ভরপুর উদ্যমে
হায় হায় ,কি করলাম?এইবার আমার কি হইপে?ঃসজীব ভাই
কথা না শুনলে এমনই হয়,বুঝলা বাবু।ঃসংসদ
একদিকে চলছে রুদ্রর স্কেচের কাজ আরেকদিকে ব্যানারের শিরোনামের কাজ
মনযোগী সজীব ভাই
অবাক হয়ে যাই যখন দেখলাম ৪/৫জন একটা জায়গায় কাজ করছে কিন্তু কারো কোন অসুবিধা হচ্ছে না!!!
রুদ্রকে আঁকা
রক্তস্রোতে জ্বলুক আগুন
চলছে গ্রাফ দেখে রুদ্র এবং সঞ্জীব'দাকে আঁকার কাজ
সজীব ভাইঃকি করতে কি খাইয়া ফালাই!ধুর!!!!
দেখছস,কি করলো সজীব?ঃসুমন'দা
কি করা যায়?ঃসংসদ আর সজীবভাইর মাথায় চিন্তা চলতেছে
আমার এখন কি হইপে?
গুরু এইবার কাজে হাত দিছে নিজেই
অবশেষে সজীবভাইর লেখা শেষ হইছে
এইদিকে গুরু(সুমন'দা) হাত দিয়া রুদ্রকে আঁকার কাজ শেষ কইরা ফেলছে
রুদ্রর ছবিতে ফাইনাল টাচের কাজ করছে এক ভাইয়া আর সুমন'দা তখন শুরু করলেন সঞ্জীব'দাকে ক্যানভাসে ধরার মত দুঃসাধ্য কাজ
রুদ্রকে আঁকা শেষ
এরপরেই টিএসসির দেয়াল টপকাইয়া আমি আর সংসদ নামলাম
উদরপুর্তি আর ধুম্রশলাকা কেনার উদ্দেশ্যে।রাত ৪টায় শীতের মধ্যে(আমার শীত এট্টু বেশী) হাটতে হাটতে গেলাম মেডিকেল এর সামনে।ওইখানে গিয়া খাইলাম রুটি আর ডিমভাজা।অসাম ছিলো(আমার সবসময়ই পছন্দ)।আর সুমন'দা,সজীব ভাইয়া সাথে আরো দুইভাইয়া যারা ছিলেন(নাম ভুলে গেছি) তাদের জন্য কেক কিনে নিয়ে আসলাম।এসে দেখি সজীব ভাই ভাগম ভাগ।আর কেক আনার জন্য সুমন'দা রক্তাক্ত চোখ গরম করে বল্লেনঃতাও যে তোরা আনিছিস সেই ভালো।
এসে দেখলাম সঞ্জীবদাকেও আঁকার কাজ প্রায় শেষ।তখন একটু ঘুমাইলাম।চেয়ারে বসে।কিছুক্ষণ পরেই হঠাত শব্দ পেয়ে ঘুম ভাংলো।দেখলাম পুরো ব্যানারটাই আঁকা শেষ।সারা রাতে যা কাজ হইছে শেষ একঘন্টায় সুমন'দা প্রায় ততটুকু শেষ করছেন।সঞ্জীব'দাকে আঁকার কাজটা ছিলো অনেক কঠিন।
কাজ শেষ হওয়ার পরে।
এখানেই শেষ হয় আমাদের কাজ/আড্ডা।পুরো রাতটাই কেটেছে দুই/তিন্টা গান শুনে।রুদ্রর ভালো আছি ভালো থেকো,সঞ্জীব'দার আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিলো চাঁদ এই গানদুইটাই বেশী শোনা হইছে।সবচেয়ে মজার ছিলো সুমন'দা আর সজীবভাইর মধ্যে কথোপকথন।সবচেয়ে মজার ছিলো এইটা।মজার ছিলো সংসদের সাথে কিছু আলোচনা,সুমন'দার কিছু কিছু কথা,সজীবভাইর হুট করে বুদ্ধিজীবী(!) হয়ে যাওয়ার কথা...হা হা হা হা হা হা হা...খুব বেশী মজার ছিলো সবকিছু।সবচেয়ে ভালো লেগেছে পরের দিন বিকেলে যখন টিএসসিতে যাই তখন ব্যাকড্রপ্টাকে রাজুভাস্কর্যে দেখে।অনেক সুন্দর ছিলো এবং বেশ কয়েকজনের কাছেই শুনলাম খুব সুন্দর হয়েছে।
আজকে এখানেই শেষ।বিঃদ্রঃ সজীবভাই'র কাছে মাফ।উনার কাজ-কর্ম ফাস কইরা দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




