somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি ব্যাকড্রপের আত্মকাহিনী

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ১৯ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পালিত হয় সঞ্জীব চৌধুরী ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ'র স্মরণে কবিতা ও গানের অনুষ্ঠান । ১৮তারিখে আড্ডা দেয়ার সময় শুনলাম রাতে টিএসসিতে করা হবে অনুষ্ঠানের ব্যাকড্রপ।অবাক হয়ে গেলাম।তাও নাকি আবার পোস্টারের মত করা হবে।কিভাবে একরাতের মধ্যে করা সম্ভব জানতে চাইলে সংসদ(ছাত্র ইউনিয়নের শিক্ষা,প্রযুক্তি এবং গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক) বললো সম্ভব।খুবই সম্ভব।থাকতে চাইলাম রাতে।বললাম যদি পার্টি থেকে কোন সমস্যা না হয় তাহলে থাকতে চাই।সংসদ খুশীই হইলো কারণ কিছু কিছু কম্পজের কাজও তখনও বাকি।বললাম ল্যাপটপ নিয়া আসবো কিনা।ও বললো তাইলে তো আরো ভাল হয়।এরপরে আমি আসলাম বাসায়।বাসায় এসে খেয়ে ল্যাপটপ নিয়ে আবার দৌড় দিলা টিএসসিতে।গিয়ে দেখি সংসদ নাই।তার মোবাইল বন্ধ।কয়েকজনরে ফোন দিলাম।নাহ!!!কুন খবর নাই তার। ওয়েটাইতে ওয়েটাইতে তিনি আসলেন ১২টার কিছুক্ষন আগে।এরপরেই চইলা গেলাম টিএসসির দোতালায় সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের রুমে। গিয়ে পরিচয় হইলো সুমন'দার সাথে। ওই রাতের মাস্টারমাইন্ড যিনি।আর সজীব ভাই।ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি।অচাম একটা মানুষ।আর সুমন'দা তো গজব।কিছুক্ষণ খোশ গল্পের পরে আমারে সংসদ একটা কাগজ ধরাইয়া দিয়া কইলো এইটা কম্পোজ করতে থাকো।ব্যাস।শুরু হইয়া গেলো কর্মযজ্ঞ।আমি কাজ করি আর দেখি তারা রঙ বানাইতেছে ব্যাকড্রপের জন্য।এরপরে কম্পজ শেষ হইয়া গেলে গেলাম যেখানে তারা ব্যাকড্রপের কাজ করতেছে।দেখলাম শুরু হইছে। (এরপর থেকে ছবি কথা কইবে,আমার যা কওনের কইয়া দিছি)
সংসদ আল্লাহর নাম নিয়া লেখা শুরু করলো

আরেকভাইয়া শুরু করলেন রুদ্র এবং সঞ্জীবদার প্রতিকৃতি আঁকার কাজ

এরপরেই এইদুইজনের সাথে যোগ দিলেন সজীব ভাই

চলছে লেখার কাজ আর আমি অবাক হয়ে ভাবতেছি কিভাবে দুইটা মানুষের লেখার স্টাইল এক হয়


চলছে তিনজনের একসাথে কাজ করা
সুমন'দা দা মাস্টারমাইন্ড

হায় হায় কি করলাম? ঃসজীবভাইর মাথায় হাত

বাদ দেই,চালাইয়া যাই ঃসজীব ভাই

চলছে রুদ্র প্রতিকৃতি আঁকার কাজ(অনেক কষ্টরে ভাই)

সজীবভাই কাজ করতেছে ভরপুর উদ্যমে

হায় হায় ,কি করলাম?এইবার আমার কি হইপে?ঃসজীব ভাই

কথা না শুনলে এমনই হয়,বুঝলা বাবু।ঃসংসদ

একদিকে চলছে রুদ্রর স্কেচের কাজ আরেকদিকে ব্যানারের শিরোনামের কাজ

মনযোগী সজীব ভাই


অবাক হয়ে যাই যখন দেখলাম ৪/৫জন একটা জায়গায় কাজ করছে কিন্তু কারো কোন অসুবিধা হচ্ছে না!!!


রুদ্রকে আঁকা

রক্তস্রোতে জ্বলুক আগুন


চলছে গ্রাফ দেখে রুদ্র এবং সঞ্জীব'দাকে আঁকার কাজ




সজীব ভাইঃকি করতে কি খাইয়া ফালাই!ধুর!!!!

দেখছস,কি করলো সজীব?ঃসুমন'দা

কি করা যায়?ঃসংসদ আর সজীবভাইর মাথায় চিন্তা চলতেছে

আমার এখন কি হইপে?

গুরু এইবার কাজে হাত দিছে নিজেই

অবশেষে সজীবভাইর লেখা শেষ হইছে

এইদিকে গুরু(সুমন'দা) হাত দিয়া রুদ্রকে আঁকার কাজ শেষ কইরা ফেলছে

রুদ্রর ছবিতে ফাইনাল টাচের কাজ করছে এক ভাইয়া আর সুমন'দা তখন শুরু করলেন সঞ্জীব'দাকে ক্যানভাসে ধরার মত দুঃসাধ্য কাজ


রুদ্রকে আঁকা শেষ

এরপরেই টিএসসির দেয়াল টপকাইয়া আমি আর সংসদ নামলাম
উদরপুর্তি আর ধুম্রশলাকা কেনার উদ্দেশ্যে।রাত ৪টায় শীতের মধ্যে(আমার শীত এট্টু বেশী) হাটতে হাটতে গেলাম মেডিকেল এর সামনে।ওইখানে গিয়া খাইলাম রুটি আর ডিমভাজা।অসাম ছিলো(আমার সবসময়ই পছন্দ)।আর সুমন'দা,সজীব ভাইয়া সাথে আরো দুইভাইয়া যারা ছিলেন(নাম ভুলে গেছি) তাদের জন্য কেক কিনে নিয়ে আসলাম।এসে দেখি সজীব ভাই ভাগম ভাগ।আর কেক আনার জন্য সুমন'দা রক্তাক্ত চোখ গরম করে বল্লেনঃতাও যে তোরা আনিছিস সেই ভালো।
এসে দেখলাম সঞ্জীবদাকেও আঁকার কাজ প্রায় শেষ।তখন একটু ঘুমাইলাম।চেয়ারে বসে।কিছুক্ষণ পরেই হঠাত শব্দ পেয়ে ঘুম ভাংলো।দেখলাম পুরো ব্যানারটাই আঁকা শেষ।সারা রাতে যা কাজ হইছে শেষ একঘন্টায় সুমন'দা প্রায় ততটুকু শেষ করছেন।সঞ্জীব'দাকে আঁকার কাজটা ছিলো অনেক কঠিন।
কাজ শেষ হওয়ার পরে।


এখানেই শেষ হয় আমাদের কাজ/আড্ডা।পুরো রাতটাই কেটেছে দুই/তিন্টা গান শুনে।রুদ্রর ভালো আছি ভালো থেকো,সঞ্জীব'দার আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিলো চাঁদ এই গানদুইটাই বেশী শোনা হইছে।সবচেয়ে মজার ছিলো সুমন'দা আর সজীবভাইর মধ্যে কথোপকথন।সবচেয়ে মজার ছিলো এইটা।মজার ছিলো সংসদের সাথে কিছু আলোচনা,সুমন'দার কিছু কিছু কথা,সজীবভাইর হুট করে বুদ্ধিজীবী(!) হয়ে যাওয়ার কথা...হা হা হা হা হা হা হা...খুব বেশী মজার ছিলো সবকিছু।সবচেয়ে ভালো লেগেছে পরের দিন বিকেলে যখন টিএসসিতে যাই তখন ব্যাকড্রপ্টাকে রাজুভাস্কর্যে দেখে।অনেক সুন্দর ছিলো এবং বেশ কয়েকজনের কাছেই শুনলাম খুব সুন্দর হয়েছে।

আজকে এখানেই শেষ।বিঃদ্রঃ সজীবভাই'র কাছে মাফ।উনার কাজ-কর্ম ফাস কইরা দিলাম।










সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×