somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতীয় ছবি আমদানীর বিরুদ্ধে তথ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসুচীতে পুলিশের বাঁধা

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুলিশি বাধার মুখে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় পণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিরুদ্ধে সমাবেশ এবং তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালিত

আজ ২১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সিনেমা হলে বাণিজ্যিকভিত্তিতে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে ভারতীয় বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র আগ্রাসন প্রতিরোধ আন্দোলন এর উদ্যোগে সংহতি সমাবেশ এবং তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান, দেশপ্রেমিক জনগনের মঞ্চের আহ্বায়ক ম. ইনামুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল হাসান রুবেল, সংগীত শিল্পী অরূপ রাহী, চলচ্চিত্রকার মঞ্জুরুল হক পান্না। সমাবেশে জানানো হয় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হান্নান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি শাকিব খান, লেখক, সমুদ্র আইন বিশেষজ্ঞ নূর মোহাম্মদ, নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক আকমল হোসেন, জ্বালানী বিশেষজ্ঞ বি.ডি. রহমতুল্লাহ প্রমুখ এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন। এছাড়া সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রাবন্ধিক, রাজনীতিক ফিরোজ আহমেদ, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, চলচ্চিত্রকার হাসান জাফরুল, ছাত্রফ্রন্টের রাহাত আহমেদ, ব্লগার মাহবুব রশিদ, চলচ্চিত্র কর্মী নাজমুন নাকিব, চলচ্চিত্র কর্মী হাবিবুর রহমান। সমাবেশে উপস্থিত থেকে সংহতি জানিয়েছে- গণসংহতি আন্দোলন, স্টামফোর্ড ফিল্ম স্টুডেন্ট সিনে ফোরাম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমোর্চা, ছবির লড়াই, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গন, সংস্কৃতি মঞ্চ, গানের দল লীলা, তরুনদের সংগঠন স্পর্ধা , সংস্কৃতির নয়া সেতু, জাগরণের পাঠশালা, সৃষ্টিগড় প্রভৃতি।
সমাবেশে বক্তারা দেশি চলচ্চিত্রের মানহীনতা ও সিনেমা শিল্পের মন্দার দোহাই দিয়ে সরকারী যোগসাজশে যে একদল চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর এদেশের প্রেক্ষাগৃহে বাজারসফল ভারতীয় হিন্দি ও বাংলা ছবি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সুস্পষ্ট প্রতিবাদ জানান। এই ঘটনা কৃষি, নদী ও খনিজ সম্পদের মতই সংস্কৃতির উপরও ভারতীয় আগ্রাসনের নগ্ন প্রকাশ। তাই, এই আন্দোলন সংস্কৃতি ও সম্পদ রক্ষার জন্য গণমানুষের আন্দোলন। প্রতিটি সচেতন মানুষকে তারা এই আন্দোলনে শরিক হতে আহ্বান জানান। তারা ভারতীয় বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র আমদানি বন্ধ করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্প বিকাশের জন্য ফিল্ম ইন্সিটিউটসহ প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল আকারে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করার জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রা করে। পুলিশ হাইকোর্টের সামনে মিছিলকে বাধা প্রদান করে।







বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান


বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল হাসান রুবেল


আরো বক্তব্য রাখেন দেশপ্রেমিক জনগনের মঞ্চের আহ্বায়ক ম. ইনামুল হক


এরপরে বক্তব্য দেন সঙ্গীতশিল্পী অরুপ রাহী


এছাড়া সংহতি বক্তব্য রাখেন চলচ্চিত্রকার মঞ্জুরুল হক পান্না


ফোরামের পক্ষ থেকে ৯দফা দাবী পড়ে শোনান ব্লগার ও এক্টিভিস্ট মাহবুব রশীদ



এছাড়াও সমাবেশ চলাকালীন সময়ে প্রেসক্লাবের সামনে বিলি করা হয় সচেতনতা মুলক লিফলেট।





৯দফা দাবী শোনানোর মধ্য দিয়েই শেষ হয় সমাবেশ।এর পর তথ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল শুরু করলে কিছুদুর পরেই পুলিশ বাঁধা দেয় মিছিলে।




কিছুদুর যেতে না যেতেই পুলিশ এসে দাঁড়ায় আমাদের সামনে।বাঁধা প্রদান করে।
পরে পুলিশের বাধার মুখ আর এগোতে না পেরে সেখানেই স্লোগান এবং পরবর্তী কর্মসুচীর ঘোষণা দিয়ে শেষ হয় আজকের সমাবেশ এবং ঘেরাও কর্মসুচী।












বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও ভারতীয় পণ্য চলচ্চিত্রের আগ্রাসন প্রতিরোধে আগামী কর্মসূচি
২৩ ডিসেম্বর, শুক্রবার, যেসব প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় পণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে সেসব প্রেক্ষাগৃহের সামনে প্রতিবাদ ও অবস্থান ধর্মঘটের উদ্দেশ্যে জমায়েত- সকাল ১১ টা। জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ।

ভারতীয় বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র আগ্রাসন প্রতিরোধ আন্দোলন এর দাবিসমূহ:
১। আমদানিকৃত ভারতীয় পণ্য চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২। দেশের চলচ্চিত্র শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে একটি সমন্বিত জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। বিদেশী চলচ্চিত্র আমদানি ও প্রদর্শন এ নীতিমালার অন্তর্র্ভূক্ত হবে।
৩। চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে ফিল্ম ইন্সিটিউটসহ প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।
৪। বর্তমানে চালু সিনেমা হলগুলো ডিজিটাল প্রযুক্তিতে উন্নীত করাসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালু করা ও নতুন সিনেমা হল নির্মাণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেই উদ্যোগ নিতে হবে। টিকিটের উপর আরোপিত কর সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে হবে।
৫। ‘চলচ্চিত্র সংসদ নিয়ন্ত্রণ আইন’ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
৬। বৃহত্তর জনগণের স্বার্থ ও মূল্যবোধের নিরীখে দেশী-বিদেশী স্যাটেলাইট চ্যানেল ও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৭। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দেশের সকল প্রেক্ষাগৃহে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮। মানসম্পন্ন চলচিত্রের চাহিদা পূরণে প্রতিবছর সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। অনুদান চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত হতে হবে এবং এ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৯। চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ও আনুষাঙ্গিক বিষয়ের উপর থেকে আমদানি কর সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে হবে।




ভারতীয় বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র আগ্রাসন প্রতিরোধ আন্দোলন
যোগাযোগ: ০১৯১৪৬৩৩২০৩, ০১৬৭৪৯৩৩৬২০, ০১৮১১৪২১৩৪৬
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৪
১১টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×