আমি রকিব হাসানের বৈজ্ঞানিক গোয়েন্দা কাহিনী ‘ ডেথসিটির ড্রাগন’ এই বইটা আজকে পড়ে শেষ করেছি। বইটা পড়তে আমার মোট তিন দিন লেগেছে। আমি ঠিক করেছি আমি আর বই পড়বো না। কারণ বই পড়লেই আম্মু বলবে বইটা কেমন লেগেছে এই বিষয়ে লিখতে। কিন্তু বিষয়টা তো আমার মাথায় আছে, ওইটা লিখলে কি হবে আম্মুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। আম্মু বলেছে এটাকে রিভিউ বলে। আমার সাহত্যিক হবার ইচ্ছা নাই। কিন্তু আম্মু খালি পড়তে বলে, লিখতে বলে। স্কুলের বইও, গল্পের বইও।
এই বইতে মোট আটটি চরিত্র আছে। প্রথম ছয়জন হলো গোয়েন্দা। তাদের নাম হলো গ্র্যাহাম, নিমো, রিয়া, কারিনা, রোডা ও জোসেফ। আর বাকি দুইটা চরিত্র হলো ড্রাগন। তারা মা ও ছেলে। মায়ের নাম জেড্রা। ছেলেটির নাম ম্যাক্রন। তাদের মধ্যে এক গোয়েন্দা রিয়া ড্রাগন মা আর ছেলেকে ধোঁকা দিয়েছিলো। ম্যাক্রন তাদেরকে গুপ্তধনের নকশা দিয়েছিলো। তারপর সবাই মিলে গুপ্তধনের খোঁজে পাহাড়ে যায়। সেখানে একটা শুকতারা তাদের পথ দেখাতে সাহায্য করেছিলো। শুকতারা সাহায্য করলে গুপ্তধনের পাহাড়ের দরজা খুলবে। তারপর সবাই মিলে পাহাড়ে উঠলো। কিন্তু লিডার গ্র্যাহাম উঠলো না। কারিনা, জোসেফ, নিমো, রোডা উঠলো। তারপর সবাই গুহাতে ঢুকল।
গুহাটা খুব অন্ধকার ছিলো। কিছুদূর যাবার পর সেখানে একটা পুকুর দেখা গেলো। সে পুকুরটা যেন কেমন ছিল! আর তারপাশে ছিল একটা ড্রাগন। কিন্তু সবাই সাবধানে সেখানে গেলো এবং গুপ্তধন নিলো। সেখান থেকে তারা সোনা, রূপা আর পান্না নিলো। হঠাৎ ঐ পাহাড়ের গুহা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো। তারপর জেড্রা উঠে কারিনা ও জোসেফকে ধরল এবং সবাই একে একে বের হয়ে গেলো। পরে তারা তাদের অভিযান সফল করলো। তারা সব গুপ্তধন ড্রাগনকে দিয়ে দিলো। এর আগে তারা মা ড্রাগন কে একবার মেরেছিল, এজন্য লিডার আর বাকি সবাই জেড্রার কাছে ক্ষমা চেয়েছিল।
বইটা অনেক বড়। ১২৬ পৃষ্ঠা। আমি আর লিখতে পারবো না আম্মু। যা লিখেছি ওইটুকুই গল্প। তারপর শেষ।
তোমার বাবুই
১৪/০৬/২০১৪
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৮