২৭/১০/২০১৫
আমার মাঝে মাঝে কিছু ব্যাপার নিয়ে অনেক রাগ হয়। আমি আম্মুর সাথে নাহলে আমার কাজিনদের সাথে,আমার নানির সাথে অনেক জোরে ধমক দিয়ে কথা বলি। একটু কিছু হলেই কেঁদে ফেলি। এজন্য আমার কাজিনরা আমাকে ক্ষেপায়। সবচেয়ে বেশি ঝগড়া হয় আমার নানির সাথে। আম্মু সন্ধ্যার পর অফিস থেকে বাসায় ফিরলে নানি খালি আম্মুকে বিচার দেয়। তখনো আমার অনেক রাগ হয়। অবশ্য আমার আম্মু আমাকে সবসময় বকা দেয় না। আর কখনো মারেও না। আম্মু সবসময় বলেছে আমি বাসায় ফিরলে তুমি বা তোমার নানি আমাকে কেউ নালিশ দিবে না। রাতে আম্মু আমাকে অনেক বুঝায়। আমাকে এটাও বলেছে এসব আমার বয়ঃসন্ধিকালের লক্ষণ। আমার শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বইতে এই বয়সন্ধিকাল শব্দটা পেয়েছি। আমাদের একটা চ্যাপ্টার আছে এই বিষয়ে। আম্মু কিছু বিষয় আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে। আর বাকি বিষয় পরে বুঝাবে বলেছে। কিন্তু আমি সব ব্যাপার গুলো জানতে আগ্রহী। বলেছে আমি ক্লাস সেভেন বা এইটে উঠলে ভালো ভাবে বুঝতে পারবো।
আমি জোরে জোরে ,ধমক মেরে কথা বলতে চাই না। কথায় কথায় কেঁদে ফেলতে চাই না। কিন্তু আমার মামাতো ভাই বোন গুলো আমাকে অনেক ডিস্টার্ব করে। তাই আমার রাগ ওঠে। কিন্তু আমার খালাতো ভাই রাফি ভাইয়া অনেক ভালো। রাফি ভাইয়া ক্লাস টেনে পড়ে। কয়দিন আগে রাফি ভাইয়া আমাদেবাসায় বেড়াতে এসেছিলো। কিন্তু সিয়াম এসে রাফি ভাইয়াকে তাদের বাসায় চুপি চুপি নিয়ে চলে গেছে, রাতে ওদের বাসায় ঘুমাতে হবে এজন্য। ঐদিন আমার খুব মন খারাপ হয়েছিলো। তারপর গত পরশু দিন আমিও আমার খালামনির বাসায় গিয়ে বেড়িয়েছি। রাতে রাফি ভাইয়া আর রাব্বি ভাইয়ার সাথে কম্পিউটারে গেমস খেলেছি । ক্রিকেটের গেমস টা আমার অনেক পছন্দ। আমার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলে আমি আমাদের গ্রামের বাড়ি আর খালামনিদের বাসায় বেড়াতে যাবো। আমার খালামনি অনেক মজার মজার খাবার বানাতে পারে, খালামনি অনেক আদর করে আমাকে।
আজকে বিদায়। আর লিখবো না।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২