"হুক্কা"
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য হুক্কা এখন বিলুপ্তির পথে। এ অঞ্চলে এককালে হুক্কা ছিল ঘরে ঘরে। কদরও ছিল সর্বত্রই। কিন্তু আজ সহসা চোখে পড়ে না। বর্তমান প্রজন্মের কাছে হুক্কা শুধুই ইতিহাস। ভবিষ্যত্ প্রজন্মের কাছে পরিচয়ের জন্য হুক্কা সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।
সেকালের হুক্কা এ অঞ্চলে পল্লী সংস্কৃতির প্রাচীন নিদর্শন। এক সময় বেশ মনোহর রূপায়ন ছিল। ক্ষেতমজুর থেকে শুরু করে জমিদার বাড়ি পর্যন্ত হুক্কার প্রচলন ছিল। বাহারি ধরনের হুক্কা তৈরি হতো নারকেলের মালাই বা খুঁটি দিয়ে। তার সঙ্গে সাবধানে সংযুক্ত করা হতো কারুকার্য করা কাঠের নল আর তার ওপরে মাটির ছিলিম বা কলকি বসিয়ে তামাক সাজানো হতো। এছাড়াও নারকেলের মালাই ভর্তি থাকতো পানি। সেকালে নিকোটিন থেকে রেহাই পেতে এ পানির ব্যবহার হতো। মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই হুক্কা টানতেন। শীতের সকালে মোড়ল বাড়ির কাচারি পর্যন্ত হুক্কা ছিল দম্ভভরে। হুক্কা টানার সময় একে অন্যকে টানতে দেয়। এভাবে বন্ধুত্বের গাঢ়তা প্রকাশ পেত। জমিদার বাড়ির এবং সচ্ছল পরিবারগুলোতে হুক্কা ছিল আভিজাত্যের প্রবর্তক। মনোমুগ্ধকর সেসব হুক্কায় থাকতো লম্বা পাইপ, আর সেই লম্বা পাইপের মাথায় থাকা হুক্কার নলটি মুখে দিয়ে আয়েশ করে টানত জোতদার শ্রেণীর মানুষ। হুক্কার উপকারিতাও ছিল অনেক। মানবদেহের পেটের পীড়া, শরীরের আঘাতসহ নানাবিধ রোগে হুক্কার পানি ছিল মহৌষধ। এছাড়াও গরুর ক্ষুুরা রোগে চোখ দিয়ে পানি পড়াসহ বিভিন্ন রোগের চিকিত্সা করা হতো। কিন্তু সেই হুক্কা আজ আর নেই। আধুনিক যুগের ছেলেমেয়েরা হুক্কা দেখেনি। তাদের কাছে এ এলাকার প্রাচীন ঐতিহ্য হুক্কার পরিচিতি ঘটানোর জন্য সংরক্ষণ প্রয়োজন বলে মনে করি। তাই আর দেরী না করে হুক্কাটা নিয়ে নিলাম।
“হুক্কা………..
মারো টান………..
গড়……গড়…..গড়……
হুইস……………..
আহ শান্তি……………..”
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের...
...বাকিটুকু পড়ুন ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের...
...বাকিটুকু পড়ুন মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি...
...বাকিটুকু পড়ুন বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন