somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসাধারন এক বাংলা সিনেমা পলাতক

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবির নামঃ পলাতক, জেনরঃ কমেডি ড্রামা

পলাতক প্রথম দেখি সম্ভবত ২০০৩ এ। তখন আমি শাবিতে পড়ি। আমাদের নিয়ম ছিল কেউ একজন সিডি আনলেই মেসের সবাই মিলে একসাথে দেখতাম। তো সবাই মিলে পলাতক দেখছি। opening credit আসতেই আমি টেনে দিলাম। এক বড়ভাই ধমক দিয়ে বললেন, দাদা, এই সিনেমাটা অন্তত পুরাটা দেখেন, এর প্রতি বিন্দুতেই রস। ঠিক তাই, পলাতক এমনই এক অসাধারন ছবি যার প্রতিটা মুহূর্তই উপভোগ্য। পুরো ছবিটাই যেন রসের একটা আধার। এই রস সংস্কৃতির রস যা আপনার মনকে তৃপ্তি দেয়। সেই সময় আমরা সুনীল, শীর্ষেন্দু আর সঞ্জীবে বুঁদ হয়ে থাকতাম। পলাতক দেখার পর মনে হল জহির রায়হান,সত্যজিত্‌ রায়, মৃণাল সেন ছাড়াও আরও অনেকেই আছেন যারা সেলুলয়েডের পাতায় সাহিত্য রচনা করতে পারেন। হ্যাটস অফ টু যাত্রিক দল (তরুণ মজুমদার, শচীন মুখোপাধ্যায় ও দিলীপ মুখোপাধ্যায়)।

পলাতক ছবির কাহিনি ভবগুরে বসন্তকুমারকে নিয়ে যে নিজেকে জমিদার আংটি চাটুজ্জের ভাই বলেই পরিচয় দেয় (ছবিটি মনোজ বসুর গল্প 'আংটি চাটুজ্জের ভাই' অবলম্বনে তৈরি)। ছবির শুরুতেই দেখি বিশ্ব (বখাটে) ভবগুরে বসন্ত খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। পায়ে তার ব্যান্ডেজ বাধানো ঘা (বসন্তের মতে এটা তার পোষা ঘা)। এই ঘা তৈরিতে লেগেছে ১০পয়সার আলতা আর ১০ পয়সার ব্যান্ডেজ। কিন্তু কেন? জানতে হলে দেখতে হবে।

ছবির গানগুলি যেমন অসাধারন, তেমনি অসাধারন অনুপকুমারের (বসন্ত) অভিনয়। গানে গল্পে অভিনয়ে জমজমাট পলাতক। বসন্ত যেখানেই গেছে মায়ার বাঁধনে জড়িয়েছে সবাইকে কিন্তু নিজে কোন বাঁধনে ধরা দেয় না ( এ যেন মাসুদ রানার চরিত্র- টানে সবাইকে কিন্তু...)। ছবির শেষ দৃশ্য আরো অপার্থিব, নামকরনের নির্মম স্বার্থকতা। জ্যোস্নার আলোয় জলের বুকে ভাসতে ভাসতে চিরতরে পালিয়ে যায় এক পলাতকা। আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় জীবনের উল্লাসের পাশে পাশে লোকান্তরের কথাও।

ছবিটা youtube এ palatak লিখে সার্চ দিলে পাবেন। দেখতে পারেন এই সাইটেও
click this

আই এম ডি বি রেটিং দেখতে ক্লিক করুন

নিচে ছবির শুরুর কিছু অংশঃ

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
১৩টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×