অনেকেই রাজনীতি কথা বললেই দুই দলের তুলনা করেন। নিচে বর্তমান সরকারের সাথে বিরুধী দলের কাজের কিছু পার্থক্য দিলাম।
১। খালেদার ভাল কথাও তো মিডীয়ায় তুলেনা। আপনারা কি খেয়াল করেছিলেন, সংসদে প্রথম দিন খালেদা যোগ দেন।
২। স্পিকার নির্বাচনে বিএনপিও আব্দুল হামিদকে ভোট দেয়।
৩। সংসদে খালেদা বলেছিলেন, সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করবেন।
৪। হাসিনা ইন্ডীয়া যাওয়ার আগে সোনারগাওয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বেগম জিয়া বলেছিলেন, দরকষাকষীতে আপনি পিছপা হবেননা, আমরা আপনাদের সহযোগিতা করব।
৫। বিকল্প বাজেট পেশ করছেন প্রতি বছর, এতে সরকারকে অনেক পরামর্শ থাকে।
৬। কয়েকদিন পুর্বেও বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক দিন, পাচ বছর নিরাপদে দেশ চালান।
৭। প্রধানমন্ত্রী স্বামী ওয়াজেদ মিয়া মারা গেলে খালেদা সাথে সাথেই সুধাসদনে যান, হাসিনাকে জড়ীয়ে ধরেন। হাসিনার কান্নায় নিজেও সমব্যথী হন।পক্ষান্তরে আধুনিক অর্থনীতির রুপকার সাইফুর রহমান মারা গেলে হাসিনা একটী বিবৃত দেননি।
৮। (বিতর্কিত) সমুদ্র বিজয়ে সংসদে অভিনন্দন
বিনিময়ে বিএনপি পাইছে,
১। বাড়ী থেকে উচ্ছেদ,
২। সংসদ সহ মাঠে-ঘাটে জিয়া খালেদা-তারেককে নিয়ে অনবরত কুতসা।এতে তাদের পারিবারিক চরিত্রই ফুটে উঠে, বাংলায় প্রবাদ আছে ব্যবহারে বংশের পরিচয়।
৩। হাসিনা, সাজেদা, শেখ সেলিমদের মত নেতারা জিয়ার বিরুদ্ধে কুৎসা রটোনায় মেতে উঠেন সংসদে।শয়নে স্বপনে তারা জিয়া-খালেদা তারেকের নাম জপেন।
৪। খালেদা তারেক সহ বিএনপির লক্ষ নেতা কর্মির বিরুদ্ধে মামলা, হামলা।
৫। ইলিয়াস আলীর মত নেতা গুম, চৌধুরি আলমের মত নেতা গুম, মৃধার মত একটীভ নেতা গুম।
৬। বিএনপি অফিসে হামলা।
৭। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে চীফ হুইপকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিঠানো।
৮।জেনেরেল সেক্রেটারিকে বার বার গ্রেফতার,
৯। অফিস থেকেই শতাধিক এর উপর নেতা গ্রেফতার।
১০।মানব বন্ধনেও বাধা, মিছিলে বাধা,
১১।হরতালে মোবাইল কোর্টে প্রহসনের বিচার, মিছিলে গুলি, কোর্টের মাধ্যমে ইচ্ছেমত নিজেদের পক্ষে রায় নেওয়া।
১২। খালেদাকে শহিদ মিনার ও সৃতিসৌধে যেতে ইচ্ছাকৃত বাধা।
এরপর ও বাংলাদেশের মানুষের ভালবসায় বিএনপি ঠিকে আছে। সর্বশেষ সকল জরীপেই দেখা গেছে জিয়া-খালেদা-তারেকের বিএনপির জনপ্রিয়তা ৪০% এর ঊপর। তাইতো তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে সরকারের এত ভয়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫