অবশেষে শিকে ছিড়লো। এতদিন লাগলো এটি ঘটতে সেটি বিস্ময়কর! তবে ব্যতিক্রম হয়নি এটা স্বস্তিদায়ক। গ্রামীন ব্যাংকের কর্ণধার অধ্যাপক ইউনুস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। না পেলে তার প্রতি বিরাট অবিচার করা হতো। পুজিবাদের এক ঘোরতর দূর্দিনে তিনি পুজিবাদ কে দেখিয়েছেন নতুন আশার আলো। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শ্রম শোষণের এক নবতর পথ নির্মান করেছেন সাফল্যের সাথে। হয়ে উঠেছেন শোষকদের ত্রাতা। পুরস্কারটা পেতে একটু বেশি সময়ই লাগলো!
অনেক দিন আগে র্কাল মার্কস নামের একজন দার্শনিক একটি বৈষম্যহীন সমাজ খুজে ফেরার তাড়নায় পুজিবাদের ক্ষয়ের বেশ কিছু দিক খুজে বের করেছিলেন। শ্রম শোষনের চুড়ান্ত মাত্রায় জমে যাওয়া পুজি সংক্রান্ত সমস্যা ছিল তার মধ্যে অন্যতম। মার্কস পরবর্তীকালে এ সমস্যা নিয়ে পুজিবাদীদের মধ্যে দুটি বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত হয়ে গেছে। বাজার খোজা ও বিনিয়োগ করা নিয়ে। সমঝোতা করার জন্য বানানো হলো বিশ্বব্যাংক যাতে বড়ো ভাইরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া ফ্যাসাদ না করে আপোষের ভিত্তিতে শোষণ-লুটপাট করতে পারে ছোটদের ওপর; তা নিশ্চিত করাই ঐ ব্যাংকের কাজ। জন্মলগ্ন থেকেই সে নিষ্ঠার সাথে পালন করছে তার ওপর অর্পিত দ্্বায়িত।্ব তারপর কতো ঘাটের জল কতো দিকে গড়ালো! অত কথা বলতে গেলে আসল কথাই বলা হবেনা।
সমসাময়িককালে পুজিবাদ আবারো যখন যুদ্ধ, বৈষম্য আর অমানবিকতার পর্বতসম ভাবমূর্তি নিয়ে প্রায় নুয়ে পড়তে যাচ্ছে, শোষণের মূল ক্ষেত্র তৃতীয় বিশ্ব নিয়ে পলিসির ক্রাইসিস কাটাচ্ছে, স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন প্রোপাগান্ডা অন্তসার শুন্য বলে প্রমানিত হয়েছে এবং ল্যাটিন আমেরিকাসহ তৃতীয় বিশ্বের মানুষ পুজিবাদের অনিবার্যতা যুদ্ধ এবং ক্ষুধা থেকে মুক্তি খুজছে তখনই আর্বিভুত হলেন একজন পয়গম্বর, ত্রাতা। যিনি চমৎকার সব মুখোশের আড়াল তৈরি করে পুজিবাদ দিলেন এক রঙীন, উজ্জল চেহারা। তার মতবাদের নাম ক্ষুদ্র ঋন। দরিদ্রের আসল পরিস্থিতির পরিবর্তন না ঘটিয়েই তার শ্রম শোষন সম্ভব হয় এই মতবাদে। সুদ আর বন্ধকীর ওাদে আটকে ফেলে পুজিবাদের মুঠোর মধ্যে পুরে নেয়া যায় নিরন্ন-অভাবী মানুষকে। সবচেয়ে বড়ো সুবিধা এই যে , এ ব্যবস্থায় দীর্ঘস্থায়ী দারিদ্র্য বিমোচনের কোন সুযোগ তৈরি হয়না। বাহ, এই তো চাই। যে পয়গম্বর পুজিবাদের ত্রাতা হয়ে আসলেন তিনি আমাদেরই অধ্যাপক ইউনুস।
ইউনুসের নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে খুব আড়ম্বর হবে নি:সন্দেহে। তাতো হবেই.........
বাবু বলেন চুদির ভাই,
আমরা আল্লাদে ভেসে যাই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০