১। বাড়ীওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে যদি কোন চুক্তিপত্র না থাকে, তাহলে পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
২। লিখিত চুক্তিপত্র আদালতে সাক্ষ্য প্রমান হিসাবে গ্রহনীয় হবে। তবে লিখিত চুক্তি প্রধানত ২টি অবস্থায় আদালতে সাক্ষ্য প্রমানের জন্য গুহীত হয় না। তারমধ্যে প্রথমটি হলো, যে চুক্তিতে বাড়ীর মালিক আ্ইন বর্হিভূতভাবে ভাড়াটিয়া থেকে সালামী বা একাধিক মাসের ভাড়া অগ্রিম হিসাবে গ্রহন করেছেন (31 DLR 155 AD)। দ্বিতীয়টি হলো, এক বৎসরের অধিক সময়ের জন্যে যদি কোন ঘর বা দোকান ভাড়া দেওয়া হয়, সে চুক্তিটি যদি রেজিষ্ট্রীকৃত না হয় (21 DLR 155 AD/6 BLD 317 HCD)।
৩। বাড়ীওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে যদি েএক বৎসর মেয়াদের কোন চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়, তাহলে সে চুক্তিপত্র রেজিষ্ট্রী করা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু অধিক সময়ের জন্য হলে তা অবশ্য িরেজিষ্ট্রী করতে হবে। রেজিষ্ট্রী না হলে সম্পত্তি হস্তান্তর আ্ইনের ১০৭ ধারা লঙ্ঘিত হয়। আর েএ কারনে ঐ চুক্তিপত্রটি সাক্ষ্য প্রমানের জন্য গৃহীত হবে না।
৪। ভাড়াটিয়া সত্ব State Acquisition and Tenancy Act 1950 এর ৭৫(ক) বা ৮১(ক) নং ধারা মতে বাধা প্রাপ্ত হবে না (30 DLR 164 AD)
৫। ভাড়াটিয়া স্বত্ব উত্তারাধিকার সুত্রে বর্তাবে না।
৬। বাড়ীওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে লিখিত চুক্তিতে অনুরুপ শর্ত থাকলে সময়সীমা বৃদ্ধি করা যেতে পারে (42 DLR 147)
৭। বাড়ীওয়ালার মৃত্যুতে বা অনুপস্থিতিতে তার ওয়ারিশদের মধ্যে কাকে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে, তা নিয়ে যদি কোন সন্দেহ দেখা দেয়, তাহলে মালিক নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত ঘর ভাড়া নিয়ন্ত্রনের নিকট ভাড়া জমা করে যেতে হবে।
৮। একাধিক মাসের ভাড়া একসঙ্গে পরিশোদ করলে, নিয়মমত ভাড়া না দেওয়ার কারনে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদযোগ্য হবেন।
৯। বাড়ীওয়ালা ভাড়াটিয়ার নিকট হতে নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে তা ভাড়াটিয়াকে ফেরত দানে বাধ্য থাকবেন।
(…………চলবে)
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত www.ainoainjibi.com
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



