এখানে উল্লেখ্য, ফেসবুকে হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)-এর কার্টুন আঁকা প্রতিযোগিতার প্রতিবাদে সারা বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের যে ঢেউ উঠে, তার ছোঁয়ায় বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোও সম্মিলিত আন্দোলনে প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা যায়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জায়গায় এনিয়ে তারা সভ-মিছিলেরও আয়োজন করে। তাতে দেশের ইসলাম-প্রেমী সাধারণের বিপুল সাড়াও মেলে।
তবে কি সরকার ইসলামী দলগুলোর ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করতেই সরকার এধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
তাছাড়া, আরেকটা দিক ভেবে দেখা দরকার। আজ রাষ্ট্রপতি মরহুম জিয়াউর রহমানের মৃত্যবার্ষিকী। এদিনকে ঘিরে নেওয়া অনুষ্ঠানলোতে বিরোধীদলগুলো তাদের আসু সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রস্তুতিক্ষেত্র তৈরী করতে জনগণের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য বিবিধ সভা-র্যালি'র আয়োজন করেছে। দেশের রাজনীতি সচেতন জনসাধারণও অপেক্ষা করছিল তারা এদিনে কি পদক্ষেপ নেয় তা জানার জন্য। এখানে বলা প্রয়োজন, আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরীর ভুমি হিসেবে শহর, বিশেষ করে ঢাকাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক দিনের পুরোনো স্ট্রাটেজী।
কিনতু, সরকারের ফেসবুক বন্ধের হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত দেশের শিক্ষিত ও শহুরে তরুণ-প্রবীণ জনগণের দৃষ্টি কিছুটা হলেও অন্য দিকে সরিয়ে দিয়েছে। এ নিয়েই এখন চারদিকে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশের শহরকেন্দ্রিক রাজনীতিকে ব্যবহার করে মরহুম জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষনের বর্তমান বিরোধী দলগুলোর পরিকল্পনা সত্যিই থেকে থাকলে, ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়ার সরকারের এ হঠাৎ সিদ্ধান্ত কিছুটা হলেও সেটা ভেস্তে দিতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১০ রাত ২:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




