>তারপর? তারপর আর কি!!! শুরু হইবো এলোপাথারী মাইর-
>হাত তুলে ক্ষমা চাইলেও কুনু লাভ নাই। ''মাছের রাজা ইলিশ, আর ফাজিলের রাজা ফুলিশ''-এই কথাডা লাঠির বাড়িতে, বাড়িতে বুঝায় দেওয়া হইবো-
>শুধু কি তাই! আমার কথা না শুনে ব্লগে ঢুকার শাস্তি হিসেবে এইভাবেই মাথা ফাটায় দেওয়া হইবো তাদের-
>দৌড়ায় পালাবেন!!! আপনাগো সাহসের বলিহারি যাই! আরে আমার ''জয় বাংলা ঠেঙারে বাহিনী'' আছে কি বইসা বইসা আঙুল চোষার জন্য? খুব ভালো কইরা লক্ষ করেন। যারা পালাতে চেষ্টা করবে, তাদের ঠেঙ্গাতে আমার ''বাংলার ঠেঙারে বাহিনী''-র সদস্যরা প্রথমে ঠিক এইভাবেই হাতের গদা তুইলা টার্গেট করবে-
>তারপর, তাগো পায়ে সজোরে বসায়ে দেবে পলায়নরত ব্লগারদের পা বরাবর। ঠাস! ঠাস! তখন শুধু লাঠির সাথে হাড়ের সংঘর্ষের এই আওয়াজই শোনা যাইবো চারদিক থেইক্কা-
>এইভাবে পিটাতে পিটাইতে সবাইরে এক জায়গায় জটলা করা হইবো এরপর-
>ব্যস। এইবার দেওয়া হইবো মাইরের দ্বিতীয় পর্ব। তয় এইবারে মাটিতে বসায়ে ও শু্য়ায়। পার্থক্যটা শুধু এইটুক-
> আর ছেলে-ছোকরা ব্লগারগো!?? ওরা কি বাদ!!! আররে না, এতোই সুজা! ছেলে-ছোকরাদের গায়ে তেজ বেশি বইলা তাগো দৌড়ানি বা পিটুনি দিতে ব্যবহার করা হইবো থ্রি নট থ্রি রাইফেলের কুদো-
>লৌড়ায় বাচতে পারলে তো ভালা, নাইলে কপালে খারাবি আছে এই কইয়া রাখলাম। ধরা পড়ার সাথে সাথে প্রথমেই তাগো পেট বরাবর চালানো হইবো বুটের মক্ষম বাড়ি-
>তারপর রাস্তায় ফেইলা শুরু হইবো উত্তম-মধ্যম-
>বিশেষ কইরা তাগো পা লক্ষ কইরা এমন ভাবে সজোরে বাড়িগুলান বসান হইবো যাতে সেইগুলা ভাইঙ্গা কয়েক'শ টুকরো হইয়া যায়। এটা করা হইবো যাতে জিন্দেগীতে আর কখনো ঐ পা দিয়া হাঁইটা আইসা পি.সি.-এর সামনে গুতোগুতি কইরা আমার ব্লগে ঢুকার নাম না করে-
>বয়স্ক ব্লগারদেরও ছাইড়ে দেওন হইবো না এই কইয়া রাখতাসি। নিদেনপক্ষে কয়েকটা কইরা লাঠির বাড়ির ভাগ্য তো তাদের কপালে আছেই!-
>সামুতে কিছু ক্ষুদে ব্লগার আছে। ''কাঁচা মরিচের গায়ে যেমন ঝাল বেশি'' তেমনি এই ব্লগারদেরও বুঝি খুব তেজ। ফুলিশ তো ফুলিশ, ড়্যাব দেখলেও ডরায় না। উল্টা তাদের নিয়ে তামাশা
শুরু করে। আমার ঠ্যাঙারে বাহিনীর উপরের এ্যাকশন দেইখা এনারা মাইনড খাইতে পারেন, কেউ কেউ হয়ত খুব গোস্বা হইতে পারেন-
>তয় চিন্তা নাই। এদের ঠেকাতে আমার ঠেঙারেদের একটি বিশেষ একটি স্কোয়াড সব সময় রেডি। শুধু একবার হাতের কাছে পাইলেই হইসে, মাইর একটাও মাটিত পড়বো না এই কইয়া রাখলাম কিনতু! তাই সাধু সাবধান!-
>আর মাইর মাটিত পড়বো কি!!! উল্টা ঐ 'ঢেঙা মরিচদের'-ই মাটিতে ফেইলে এইভাবে মার দেওয়া হবে-
>তারপর শুরু হইবো ফুটবল খেলা। বল নাই তো কি হইছে, 'মানব বল' আছেনা! এমন 'মানব বল' তো আর রোজ রোজ পাওয়া যায় না!!! আমার বাহিনী ঐ 'মানব বল' নিয়া পাসিং, ড্রিবলিং, প্যানাল্টি শুট আউট....সবই প্র্যাকটিস করবো, আমি উপস্থিত না থাকলেও তারা ফাঁকি মারবো না তাদের উপর আমার এই আস্থা আছে-
>তয়, খেলার আগে অবশ্য তাদের পেটে চাপ দিয়া পরীক্ষা কইরে দেইখা নেওন হইবো তাতে ঠিকঠাক মত পাম্প দেওন আছে কি না। আরে বুঝেন না নাইলে তো খেলা জমবে না!
>সবার শেষে ধরা পড়া হগ্গলরে আমার বিশেষ বাহিনী'র হেডকোয়র্টারে নিয়া শুরু করা হইবো জিগ্যাসাবাদ। তেমন কিছু অবশ্য জিগ্যাস করা হইবো না। ''তারা আমার ব্লগে ঢোকার পিছনে অপজিশন পার্টির কোন ইন্ধন আছে কি না'' এই ধরণেরই কিছু ছোটখাটো প্রশ্ন
আর কি-
>এইটা অনেক সময় কাজে দেয়। যোগাযোগ না থাকলেও মাইরের ভয়ে অনেকেই 'হ্যাঁ' বইলা দেয়, তাতে অপজিশন পার্টিরে চিপায় ফেলতে সুবিদা অয়। যদি মানে মানে 'হ্যা' কইয়া দেয় তো ভালো। আর যদি না কয়.....তাতেও অসুবিধা নাইক্কা। আমার বিশেষবাহিনীর বিশেষ ডলা তো আছেই!!!
তাই হগ্গলরে আবার অনুরোধ করতাসি। এখনো সময় আছে আপনারা আমার কথা শুনেন। এখনো অ-আম.লীগ যারা আমার ব্লগে উঁকি-ঝুকি মারতাছেন, ধরা-পড়ার আগেই কাট দেন। পরে আমাকে দুইষেন না যেন আবার আপনাদের সাবধান করি নাই এই বইলা!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




