'সিলেটের স্বাধীনতা' নিয়ে কথা বলেই মনে হয় ভুলটা করে ফেলেছেন তিনি। তার জানা উচিৎ ছিলো, বাংলাদেশে আজকাল অনেক কিছুই 'নিষিদ্ধ'। তার বোঝা উচিৎ ছিলো, বাংলার মানুষ আজ নিজের মতামত তুলে ধরতেই ভয় পায়, পাছে গুম-খুন হয়ে যায়, মামলা-হামলা হয়ে বসে। আর, উনি কিনা একদম বাংলাদেশের ভিত নিয়ে নাড়া দিয়েছেন, যাকে বলে নাড়ি ধরে টান দেওয়া! উনি বুঝেননি বাংলাদেশের নাম,অস্তিত্ব, স্বাধীনতা নিয়ে অনেক দিন ধরে চেপে রাখা প্রশ্নগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরার সময় এটা নয়। বাঙালী এখনো ততোটা মুক্ত-স্বাধীন নয়। এটা তার ভুলই! বোঝার ভুল। উনি বাংলাদেশের মানুষকে যে দৃষ্টিতে দেখেন, বিদেশে বসে দেশ সম্পর্কে যে রঙিন স্বপ্ন আঁকেন, ডজকে বুঝতে হবে আমরা এখনো তার জন্যে তৈরী নই। আমরা এখনো বুবু-ম্যাডাম ছাড়া চিন্তা করতে পারি না। জাতির পিতা, স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে ক্যাচালের আবর্তেই আমরা এখনো আবদ্ধ, নিষ্পেষিত, দলিত-মথিত।
তাই, এ-ই তার পাওনা। এ থেকে যদি তার একটু বোধদয় ঘটে। কি জানি এই আবেগী মানুষের তাতেও কোন শিক্ষা হয় কি না। যে আবেগের বসে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন অনেক দূরে, ফেরার জীবনকে বেছে নিয়েছেন নিজের নিয়তি হিসেবে, তাকে আমি আর আর কি বুঝাবো আবেগ বিষয়ে। শুধু বলি, আমরা আরেকটা স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপ্ন দেখি, গাই আরেকটা নতুন জীবনের গান, যে সাম্যের গান পুস্পিত হয়নি সেই ৪০ বছর আগের স্বাধীনতার সমরে। সেই সমরে যে দরকার আরো সৈনিক! এখনই তা ফুরিয়ে গেলে চলবে কি করে!
সকালের ঘুমটা ভাঙলো ডজ-এর রিং পেয়ে। ফোন করে কথা বলে যা বুঝলাম, 'সিলেটের স্বাধীনতা' নিয়ে ক্যাচালটা করায়ই মনে হয় উনাকে ব্লক করা হয়েছে। কোন নোটিশ এখন পর্যন্ত পাননি বেচারা। তাই, বলতে পারছেন না কোন আইন তিনি ভঙ্গ করেছেন। মন খারাপ করে অফিসে গেছেন আজকে। আমার আমন্ত্রনেই উনার সামুতে লেখা-লিখি শুরু। একটু খেয়ালী প্রকৃতির মানুষ তিনি। ৩ বছর ৩ মাস ধরে খুব বেশি পোস্ট দেননি। এক 'আরিফুর' ছাড়া কারো সাথে তেমন ভেজালও করেননি। অনেকটা নির্বিবাদই বলা যায় এই মানুষটার ব্লগিয় জীবনকে। খেয়াল হলে লিখেন, মন চাইলে মন্তব্য করেন, বেশির ভাগ সময় তাও করেন না।
কিনতু, সিলেট নিয়ে তার লেখার একটা উদ্দেশ্য ছিলো। সেটা তিনি মুনতাসির মামুনের কমেন্টের উত্তরে লিখেওছিলেন। একটা পোস্টও দেওয়ার কথা ছিলো এ নিয়ে। কিনতু....
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




