শাহবাগ মোড়ে প্রজন্ম চত্বরের সমাবেশে ছাত্রশিবির আজ এক অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে এখন পর্যন্ত শিবিরের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। ধারণা করা হচ্ছে তারা টেলিপ্যাথির মাধ্যমে এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। বাংলার অন্যতম হলুদ পত্রিকা বঙ্গনিউজ২৪ এর বরাত দিয়ে আমাদের হলুবেদক জানান- হঠাৎ করে চত্বরের ঠিক মাঝে ‘শিবির আইছে শিবির আইছে’ এমন একটি গায়েবী আওয়াজ শোনা যায়। তার ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সাহসী যোদ্ধারা ভয়ে-আতঙ্কে কেঁপে ওঠেন। কেউ কেউ কেঁদেও ফেলেন।
তবে, বেশির ভাগই সম্ভাব্য শিবিরের আক্রমণ প্রতিহত করতে চোখ-মুখ বন্ধ করে, দাঁত খিচিয়ে বিভিন্ন দিকে দৌঁড় দেন। এসময় এক পাপড় বিক্রেতার কড়াইয়ের তেলে আছড়ে পড়ে ঝলসে যান তিনজন মুক্তিযোদ্ধা(!!!)। পরে, তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তৎক্ষণাৎ সেই পাপড় বিক্রেতাকে আটক করে। ধারণা করা হচ্ছে সে জামায়াতের সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য এবং হরকাতুল জিহাদের বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। ইতিমধ্যেই পাপড় বিক্রেতাকে দশদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
খবরে প্রকাশ, আক্রমণের ব্যাপারে পুলিশের এক দায়িত্বশীল জানান, ''এটি শিবিরের নাশকতার নতুন কৌশল। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মহান মুক্তিযোদ্ধা তরুণদেরকে আক্রমণ করতে শিবির এই অত্যাধুনিক পদ্ধতি আবিস্কার করেছে। এই পদ্ধতির নাম হচ্ছে ফেয়ার বোম্ব (Fair Bomb)। তারা দূর থেকেই তাদের নাম ব্যবহার করে মানুষকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে। কিছুদিন আগে আমাদের ডিএমপি স্যার ডেন্জার আহমেদ এই আক্রমণের শিকার হয়ে দারুণ ভয় পেয়েছিলেন। এই আক্রমণ প্রতিরোধে আমরা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছি।''
এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় স্বাচিপ নেতা ইমরান এইচ সরকার বলেন, ''স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করার জন্যে রাস্তায় রাস্তায় পাপড় ভাজার কড়াই বসিয়েছে। যেগুলোর কারণে আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন আজ হুমকির সম্মুখীন। আমরা দেশের সকল পাপড় ওয়ালাদের ফাঁসি চাই।'' পাশ থেকে কে একজন সে সময় বলে উঠেন,
প—তে পাপড় মামা,
তুই রাজাকার… তুই রাজাকার।।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খান আলমগীর ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটা আধুনিক মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই একটি জঘন্য সড়যন্ত্র। এর প্রতিরোধে এবং দোষীদের সাজা দিতে আমরা যথাযথ আইন খুঁজছি। প্রয়োজনে আমরা সংসদে পাপড় ভাজাকে নিষিদ্ধ করে আইন পাশ করব।
দোষী সাব্যস্থ পাপড় ওয়ালার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি হলুবেদককে বলেন, ‘'মামা আমি আসলে কিছুই জানি না। লোকজন আজাইরা বইয়া থাইকা আমার পাপড় খায় দেইখা এহানে ব্যবসা লইয়া বইছিলাম। হেরা যে এমন কইরা আইয়া আমার কড়াইয়ের উপর পড়বো তা আমি কেমনে বুঝমু??’'
এদিকে, কেন তারা দৌড় দিয়েছিলেন এই ব্যাপারে জানতে আক্রান্তদেরকে ফোন দেয়া হলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্র: দৈনিক হলুদ আলো ও খেরোখাতা
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




