জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন ৩০ ভাগ কমে যাবে। একই কারণে এই সময়ের মধ্যে দণি এশিয়ার ২২ শতাংশ কৃষি জমি ধ্বংস হয়ে যাবে। অথচ দণি এশিয়ার মোট জিডিপির ২৬ ভাগ আসে কৃষি খাত থেকে। এ অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানুষের আয় বাড়ার কারণে খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করবে। পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য,ঔষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে জীববৈচিত্র্যের প্রতি মানুষের বিরূপ কর্মকাণ্ড যে হারে বাড়ছে, তাতে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
পরিবেশের ভারসাম্য রা ও বনজ সম্পদের চাহিদা মেটানোর জন্য দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বন থাকা আবশ্যক। কিন্তু দেশে বর্তমানে এর পরিমাণ অনেক কম। সরকারি হিসাবে দেশের মোট বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক পাঁচ দুই মিলিয়ন হেক্টর। বিশ্বে প্রতি মিনিটে ৮ হেক্টর করে বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ুণ্ন হচ্ছে। ২০১৫ সালের মধ্যে বনাঞ্চলের পরিমাণ ২০ ভাগে উন্নীত করতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পরিবেশবিষয়ক এক রিপোর্টে বলেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ পাঁচ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও একই সময়ে শুধু পরিবেশ বিপর্যয়জনিত অর্থনৈতিক তির পরিমাণ চার শতাংশ জিডিপির সমান। দেশে ওষধি, বনজ ও ফলদসহ ৫ হাজারেরও বেশি গাছপালা ছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইতিমধ্যে এর ১০ শতাংশ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
পরিবেশ অধিদফতর বলছে, রাজধানী ও আশপাশের শিল্প-কারখানা থেকে মোট ৬২ ধরনের মারাত্মক তিকর রাসায়নিক বর্জ্য নদীর পানিতে পড়ছে। পরিবেশ দূষণের কারণে বছরে ১৫ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। দূষণের ফলে দেশের প্রায় ৭০ লাখ মানুষ নানা রোগে ভুগছে। এর ফলে বছরে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবী ক্রমাগত উষ্ণ হচ্ছে গ্্
মতামত দিতে লগইন করুন