আজকের আলোচনার বিষয় হলো কেন তারা সফল হচ্ছেন না?
দেশের মানুষ প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ডে বিরক্তই নয় বরং ক্ষুদ্ধও বটে। জনগন দুই জোটের হাত থেকে মুক্তি চায়, দেখতে চায় তৃতীয় একটি রাজনৈতিক শক্তি। বেশ অনেক দিন আগে থেকে বিভিন্ন টক-শো এবং কোন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৃতীয় একটি রাজনৈতিক শক্তি দাঁড় করাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু তা সফল হচ্ছে না।
মূলত ১/১১ র পর আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের যারা দন্ড-মুন্ডু তাদের চরিত্রের অন্ধকার দিক গুলো জাতির কাছে দিনের আলোর মত করে পরিস্কার হয়ে যায়। আর তখন থেকেই মূলত সাধারন মানুষ এদের শোষন থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে তৃতীয় কোন রাজনৈতিক শক্তির আশ্রয় কামনা করতে শুরু করে যা দিনে দিনে বাড়তে থাকে। মানুষের এই আকাংখাকে রসদ জোগায় টিভি টক-শো গুলো।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির কথা বলে মাঠে-ময়দানে, টিভি টক-শো গুলোতে ঝড় তুলতে থাকেন। এদিকে সাধারন মানুষও চাইছেন দুই জোটের বাহিরে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি। তারপরেও কেন তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি তৈরীতে যারা দৌড়-ঝাপ করছেন তা আলোর মুখ দেখছেনা? এই কেন এর উত্তর যে সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দৌড়-ঝাপ করছেন তাদের নিকট প্রশ্ন করা হলে তারা কি উত্তর দিবেন আমার জানা নেই।
তবে একজন সাধারন মানুষ হিসেবে আমার উত্তর হলো, যে সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কোমরে রশি বেঁধে নেমেছেন তারা সকলেই কোন না কোন সময় এই দুই জোটের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, যদি সরাসরি জড়িত না থেকে থাকেন তবে দেখা যাবে এদের কাছে থেকে তারা বিভিন্ন সময় বিভন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহন করেছেন। আজ তারা উভয় জোটের নিকট অবহেলিত বা ঘাড় ধাক্কা খেয়েছেন। আজ তাদের যাবার কোন স্থান নেই। এমন সময় এসে তারা জনগনকে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন যা জনগন গ্রহন করছে না। কেননা জনগনের নিকট দুই জোটের মতই তাদের অবস্থান। কেননা জনগনের নিকট যদি তারা দুই জোটের চাইতে আলাদা কিছু হতেন তবে তাদের দৌড়-ঝাপ অনেক আগেই সফল হতো।
প্রকৃত অর্থে সাধারন মানুষ তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি বলতে এমন একটি শক্তির অপেক্ষায় আছে যারা হবেন পথ থেকে সাধারন মানুষের মাঝ থেকে উঠে আসা জনগনের সত্যিকারের প্রতিনিধি, যাদের থাকবে না কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আতাত বা এক সাথে বসবাসের অতীত ইতিহাস। যারা উঠে আসবে সাধারন মানুষের মাঝ থেকে সাধারন মানুষের আকাংখার ফল হয়।